৪ নভেম্বর থেকে চট্টগ্রাম বন্দরে বিডব্লিউটিসিসি’র সিরিয়ালে চলবে লাইটার জাহাজ
চট্টগ্রাম বন্দর থেকে লাইটার জাহাজযোগে দেশের ৩৪টি নৌ-রুটে পণ্য পরিবহন কার্যক্রম আগামী ৪ নভেম্বর থেকে বিডব্লিউটিসিসি'র (বাংলাদেশ ওয়াটার ট্রান্সপোর্ট কো-অর্ডিনেশন সেল) সিরিয়াল অনুযায়ী শুরু হবে। তিনটি লাইটার জাহাজ মালিক সংগঠনের ঐক্যমতের ভিত্তিতে এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
শুক্রবার (১ নভেম্বর) সন্ধ্যায় চট্টগ্রামের হোটেল সেন্টমার্টিনে ইনল্যান্ড ভেসেল ওনার্স অ্যাসোসিয়েশন অব চিটাগাং (আইভোয়াক), বাংলাদেশ কার্গো ভ্যাসেল ওনার্স অ্যাসোসিয়েশন (বিসিভোয়া), এবং কোস্টাল ভেসেল ওনার্স অ্যাসোসিয়েশনের (কোয়াব) মধ্যে ত্রিপক্ষীয় চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়।
এ ছাড়া বিডব্লিউটিসিসি'র কার্যক্রম পরিচালনার জন্য তিন সংগঠনের নেতাদের নিয়ে একটি কমিটি গঠন করা হয়।
আইভোয়াকের মুখপাত্র পারভেজ আহমেদ জানান, ত্রিপক্ষীয় সভায় আগামী সোমবার (৪ নভেম্বর) সকাল ১১টায় সিরিয়াল পদ্ধতিতে জাহাজ পরিচালনার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। শনিবার ও রোববারের মধ্যে জাহাজের ভাড়া ও অন্যান্য আনুষঙ্গিক বিষয়গুলো চূড়ান্ত হবে।
চুক্তিতে স্বাক্ষর করেন বিসিভোয়ার সভাপতি সাঈদ আহমদ, সাধারণ সম্পাদক ইঞ্জিনিয়ার মেহেবুব কবির; কোয়াবের চেয়ারম্যান ইঞ্জিনিয়ার মেহেবুব কবির, সাধারণ সম্পাদক খুরশিদ আলম; এবং আইভোয়াকের সভাপতি হাজী শফিক আহমেদ ও ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক আজিজুর রহমান।
আইভোয়াক জানায়, বিডব্লিউটিসিসি'র কার্যক্রম পরিচালনার জন্য নয় সদস্যের একটি কমিটি গঠন করা হয়েছে।
এই কমিটি অন্তবর্তীকালীন সময়ের জন্য আগামী জুন পর্যন্ত দায়িত্ব পালন করবে। কমিটিতে বিসিভোয়ার পক্ষ থেকে সাইদ আহমেদ (কনভেনার), কামাল হোসেন ও মাসুদ করিম; কোয়াবের পক্ষ থেকে ইঞ্জিনিয়ার মেহবুব কবির, খুরশিদ আলম ও অমল মিত্র; এবং আইভোয়াকের পক্ষ থেকে হাজী শফিক আহমেদ, আজিজুর রহমান ও বেলায়েত হোসেন রয়েছেন।
আইভোয়াকের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, ভাড়া বাড়ানো হবে না। বিসিভোয়া ও কোয়াব ভাড়াকে যৌক্তিক রাখতে চেষ্টা করবেন।
জাহাজ মালিক সংগঠনের নেতারা বলেন, বর্তমান দুরাবস্থা এবং আমদানিকারকদের আমদানি ব্যয় সাশ্রয়ের কথা বিবেচনা করে ভাড়া নির্ধারণ করা হবে।
চট্টগ্রাম বন্দরে লাইটার জাহাজে পণ্য পরিবহনের সিরিয়াল প্রথা ২০২৩ সালে বাতিল করা হয়েছিল। তখন ডব্লিওটিসি (ওয়াটার ট্রান্সপোর্ট সেল) সিরিয়াল পরিচালনা করত।
এক বছর ধরে তিনটি পৃথক সংগঠন এবং আমদানিকারক জাহাজ মালিক দরকষাকষির মাধ্যমে ভাড়া নির্ধারণ করায় পণ্য পরিবহনে অন্তত ২০ শতাংশ ব্যয় কমে এসেছে।
ডব্লিউসিটির নিয়ন্ত্রণে প্রায় ১,৩০০টি জাহাজ ছিল। এছাড়া বড় শিল্পপ্রতিষ্ঠানের মালিকানাধীন ৪০০টি জাহাজ বন্দর থেকে পণ্য পরিবহনে যুক্ত আছে।
চট্টগ্রাম বন্দরে বড় জাহাজে খাদ্যপণ্য, শিল্পের কাঁচামালসহ বিভিন্ন পণ্য আমদানি করার পর সেগুলো লাইটার জাহাজে দেশের ৩৪টি নৌ রুটে গন্তব্যে পৌঁছে দেওয়া হয়।
গত ১৫ অক্টোবর নৌপরিবহন অধিদপ্তর অনুমোদিত লাইটার জাহাজের মাধ্যমে বাংলাদেশের সমুদ্র বন্দরসমূহে পণ্য পরিবহন নীতিমালা, ২০২৪ প্রণয়ন করে নৌ পরিবহন মন্ত্রণালয়।
এই নীতিমালার আওতায় বিডব্লিউটিসিসি'র নিয়ন্ত্রণে সিরিয়াল পরিচালনার বাধ্যবাধকতা দেওয়া হয়েছে।