বাংলাদেশে বিদেশি এয়ারলাইনের আটকে থাকা তহবিল ছয় মাসে কমেছে ১২৪ মিলিয়ন ডলার
ডলার সংকটের কারণে টিকেট বিক্রির আয় পাঠাতে না পারায় – বাংলাদেশে বিদেশি এয়ারলাইনগুলোর বিপুল পরিমাণ অর্থ আটকে ছিল, যা এখন উল্লেখযোগ্য হারে কমে এসেছে। গত ছয় মাসে যা ১২৪ মিলিয়ন ডলার কমেছে বলে জানিয়েছে আন্তর্জাতিক বিমান পরিবহন সংস্থা – আইএটিএ।
সোমবার (৯ ডিসেম্বর) সংস্থাটি এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে দেওয়া বিবৃতিতে এসব তথ্য জানিয়েছে। এতে বলা হয়, গত এপ্রিল মাসে বাংলাদেশে আটকে থাকা তহবিলের পরিমাণ ছিল ৩২০ মিলিয়ন ডলার বা এখন ১৯৬ মিলিয়ন ডলারে নেমে এসেছে। তবে এয়ারলাইনগুলোর তহবিল আটকে থাকা শীর্ষ দেশগুলোর মধ্যে এখনও রয়েছে বাংলাদেশ।
আইএটিএ মনে করে, বাংলাদেশের কেন্দ্রীয় ব্যাংকের উচিৎ আন্তর্জাতিক অঙ্গীকার পালন করতে বিদেশি এয়ারলাইনগুলোকে ডলার বা বৈদেশিক মুদ্রায় লেনদেনে অগ্রাধিকার দেওয়া, যাতে তারা সব আয় প্রত্যাবাসন করতে পারে।
বিবৃতিতে আইএটিএ'র মহাপরিচালক উইলি ওয়ালশ বলেন, 'গত মাসে পাকিস্তান, বাংলাদেশ, আলজেরিয়া ও ইথিওপিয়ায় আটকে থাকা তহবিলের পরিমাণ আমরা ব্যাপকভাবে কমতে দেখেছি। এয়ারলাইনগুলো যাতে তাদের টিকেট বিক্রি ও অন্যান্য কর্মকাণ্ডের মাধ্যমে অর্জিত আয় প্রত্যাবাসন করতে পারে– সেজন্য সংশ্লিষ্ট দেশের সরকারগুলোকে আন্তর্জাতিক প্রতিশ্রুতি ও চুক্তিসমূহ মেনে (অর্থ প্রেরণের) সব ধরনের বাধা দুর করতে হবে।'
তিনি বলেন, বিমান চলাচল ব্যাহত হোক– কোনো দেশই তা চায় না। আকাশপথে যোগাযোগ ব্যবস্থা অর্থনৈতিক সমৃদ্ধিরও চালিকাশক্তি। কিন্তু, এয়ারলাইনগুলো যদি তাঁদের রাজস্ব প্রত্যাবাসন না করতে পারে– তাহলে তারা প্রত্যাশিত সেবাও দিতে পারবে না।
ওয়ালশ জানান, বিমান সংযোগ ব্যাহত হলে ক্ষতিগ্রস্ত হবে অর্থনীতি। তাই এয়ারলাইনগুলো যেন বাধা মুক্তভাবে তাদের তহবিল প্রত্যাবাসন করতে পারে সরকারসহ সবার স্বার্থে তা নিশ্চিত করতে হবে।
আইএটিএ'র তথ্যমতে, চলতি ২০২৪ সালের অক্টোবর পর্যন্ত বিভিন্ন দেশের সরকারের বিধিনিষেধের কারণে এয়ারলাইনগুলোর ১৭০ কোটি ডলারের তহবিল আটকে রয়েছে। এপ্রিলে যার পরিমাণ ছিল ১৮০ কোটি ডলার। অর্থাৎ, বৈশ্বিক হিসাবে তহবিল প্রত্যাবাসনের ক্ষেত্রে উন্নতি হয়েছে সামান্যই।