ভোলায় বাস-সিএনজি চালকদের মধ্যে সংঘর্ষ: জেলা বাস মালিক সমিতির ধর্মঘট
ভোলায় বাস চালক ও শ্রমিকদের সঙ্গে সিএনজি চালকদের সংঘর্ষে বাস ভাঙচুরসহ বাসের শ্রমিক আহতের প্রতিবাদে মঙ্গলবার দিবাগত রাত থেকে অনির্দিষ্টকালের জন্য ধর্মঘট ঘোষণা করেছে ভোলা জেলা বাস মালিক সমিতি। এতে চরম দুর্ভোগে পড়েছে এসব রুটে বাসে চলাচলকারী যাত্রীরা।
মধ্যরাত থেকে ভোলার অভ্যন্তরীণ ৫টি রুট ভোলা-দৌলতখান, ভোলা-তজুমুদ্দিন,ভোলা-চরফ্যাশন,ভোলা-ইলিশা, ভোলা-ভেদুরিয়া রুটে বাস চলাচল বন্ধ আছে।
আহত ১৫ জন ভোলা সদর হাসপাতাল ও বরিশালের শের-ই বাংলা মেডিকেল চিকিৎসাধীন রয়েছেন।
গতকাল মঙ্গলবার রাতে জেলা শহরের বীরশ্রেষ্ঠ মোস্তফা কামাল বাসস্ট্যান্ডের অভ্যন্তরে সিএনজি রাখাকে কেন্দ্র করে বাস চালক ও শ্রমিকদের সঙ্গে সিএনজি চালকদের মধ্যে দফায় দফায় ব্যাপক সংঘর্ষের ঘটনায় ঘটে। ঘটনায় সংঘর্ষের সময় ৫ টি সিএনজিতে আগুন ও ৫টি সিএনজি ভাঙচুর এবং ২টি বাসে অগ্নিসংযোগ ৭টি বাস ভাঙচুর করা হয়েছে। এতে উভয় গ্রুপের অন্তত ৫০ জন আহত হয়েছেন বলে জানা গেছে।
বুধবার (২৯ জানুয়ারি) সকালে বীরশ্রেষ্ঠ মোস্তফা কামাল বাসস্ট্যান্ডে দেখা যায়, জেলার অন্যান্য উপজেলার উদ্দেশ্য কোনও যাত্রীবাহী বাস ছেড়ে যায়নি। বাস চলাচল বন্ধ হওয়ার খবরে চরম দুর্ভোগে পড়ছেন যাত্রীরা। যার কারণে কেউ কেউ দ্বিগুণ-তিনগুন বেশি ভাড়া দিয়ে বিকল্প উপায়ে গন্তব্যে যাচ্ছেন।
এদিন ভোর থেকে বাস শ্রমিকরা বাসস্ট্যান্ডের সামনের সড়কে অবস্থান নিয়েছেন। এতে থমথমে পরিস্থিতি বিরাজ করছে ওই এলাকায়। পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে সেখানে পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।
ভোলার বোরহানউদ্দিন উপজেলায় অবস্থিত পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটের শিক্ষার্থী মো.হোসেন বলেন, "কলেজে যাওয়ার উদ্দেশ্যে বাসস্ট্যান্ডে এসেছি। এসে জানতে পারলাম বাস চলাচল বন্ধ। এখন বিপাকে পড়েছি, কীভাবে কলেজ যাব বুঝতেছি না।"
চরফ্যাশন উপজেলা থেকে সন্তানকে ডাক্তার দেখাতে এসেছেন লাইজু বেগম। তিনি জানান, "গতকাল সকালে ভোলায় এসেছি। সন্ধ্যার দিকে বাসস্ট্যান্ডে সংঘর্ষের খবর পেয়ে রাতে এক আত্মীয়ের বাড়িতে ছিলাম। সকালে চরফ্যাশন যাওয়ার উদ্দেশ্যে বাসস্ট্যান্ডে এসেছি। এখন দেখতেছি বাস চলাচল করছেনা। অন্যান্য যানবাহনে ভাড়া অনেক বেশি চাচ্ছে।"