ভুলভাল কথা বলে পদ খোয়ানো মুরাদ ভুল করলেন পদত্যাগপত্রেও!
বিতর্কিত কথাবার্তার কারণে পদত্যাগ করতে বাধ্য হয়েছেন তথ্য ও সম্প্রচার প্রতিমন্ত্রী মুরাদ হাসান। আজ মঙ্গলবার তিনি নিজ দপ্তরে পদত্যাগপত্র পাঠিয়েছেন। যে পদত্যাগপত্র তিনি পাঠিয়েছেন, সেখানেও বেরিয়েছে ভুল!
পদত্যাগপত্রে মুরাদ লিখেছেন, তিনি তথ্য ও সম্প্রচার প্রতিমন্ত্রীর দায়িত্ব পান ২০২১ সালের ১৯ মে। তারিখ ঠিক থাকলেও সালটি ভুল লিখেছেন তিনি। তাকে আসলে ওই দায়িত্বে দেওয়া হয় ২০১৯ সালের ১৯ মে।
আজ দুপুর ১টার দিকে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগে মুরাদের পদত্যাগপত্র জমা দেওয়া হয়। ওই সময় ভুলটি সংশোধন করে দেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছে তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়।
এছাড়াও মুরাদের পদত্যাগপত্রটিতে পাওয়া গেছে একাধিক ভুল বানান। 'তেজগাঁও'কে লেখা হয়েছে 'তেঁজগাও', 'সশ্রদ্ধ'কে লেখা হয়েছে 'স্ব-শ্রদ্ধ' এবং 'অব্যাহতি'কে লেখা হয়েছে 'অব্যহতি'।
সম্প্রতি বিএনপি নেতা তারেক রহমানের কন্যা জাইমা রহমানকে নিয়ে ডা. মুরাদ হাসানের দেওয়া 'অশ্লীল ও কুরুচিপূর্ণ' বক্তব্যের একটি ভিডিও ভাইরাল হয়। এরপর রোববার রাতে ফাঁস হয় ঢাকাই সিনেমার একজন নায়িকাকে 'ধর্ষণ' এর হুমকি দেওয়ার একটি অডিও ক্লিপ। এরমধ্যে আরেকটি অনলাইন টকশোতে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের নারী নেত্রীদের নিয়েও কুরুচিপূর্ণ বক্তব্য দিতে দেখা যায় প্রতিমন্ত্রী মুরাদকে।
তার এসব বক্তব্যের সমালোচনায় সোচ্চার হয়েছিলেন নারী অধিকারকর্মীসহ বিভিন্ন শ্রেণি–পেশার মানুষ। খোদ আওয়ামী লীগ ও এর অঙ্গসংগঠনের নেতাকর্মীদের মধ্য থেকেও মুরাদ হাসানকে অব্যাহতি দেওয়ার দাবিও উঠেছিল।
মুরাদ হাসান নবম এবং একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হয়েছিলেন। স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয় বিষয়ক সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সদস্য ছিলেন।
২০০৮ সালের ৯ম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বাংলাদেশ আওয়ামীলীগ থেকে মনোনয়ন পেয়ে জামালপুর-৪ সংসদীয় আসন থেকে প্রথমবার সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন। ২০১৮ সালের একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে জামালপুর-৪ সংসদীয় আসন থেকে দ্বিতীয় বারের মতো সংসদ সদস্য হন। ২০১৯ সালের ১৯ মে থেকে তথ্য মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্বরত তিনি।
জামালপুর জিলা স্কুল, নটর ডেম কলেজ এবং ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজের শিক্ষার্থী ছিলেন মুরাদ হাসান। বর্তমানে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ে ক্যান্সারবিজ্ঞান বিভাগে কনসালটেন্ট (পরামর্শক) হিসেবে কর্মরত আছেন।