সারিয়াকান্দির বাঁধ: মরিচের রঙে লাল
বগুড়ায় ২০২০-২১ অর্থবছরে অন্তত ৩০০ কোটি টাকার মরিচ উৎপাদন হয়েছে। এর মধ্যে শুধু সারিয়াকান্দি উপজেলাতেই ১১৩ কোটি টাকার মরিচের আবাদ হয়।
জেলাটিতে এবার মরিচ উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছিল ৭ হাজার ৬১৫ হেক্টর। অর্জন হয়েছে ৬ হাজার ৯৮০ হেক্টর। এই জমি থেকে রবি মৌসুমে ১৭ হাজার ৭৯৯ মেট্রিক টন মরিচ পাওয়া গেছে; যার বাজারমূল্য প্রায় ২২২ কোটি ৪৮ লাখ ৭৫ হাজার টাকা।
কৃষি অধিদপ্তরের তথ্য মতে, জেলার রবি ও খরিপ মৌসুমে ২০২০-২১ অর্থবছরে মরিচ উৎপাদন হয়েছে ২৪৭ কোটি ৫৫ লাখ টাকা। তবে কাঁচা মরিচ মিলে জেলাটিতে গত মৌসুমে অন্তত ৩০০ কোটি টাকা বিক্রি হয়েছে।
বগুড়ার মধ্যে সবচেয়ে বেশি মরিচ উৎপাদন হয় বগুড়ার যমুনা নদীর পাড়ে গড়ে ওঠা সায়িরাকান্দি উপজেলায়। এই উপজেলায় বন্যার কারণে মাটিতে পলি পড়ে। এই পলি মাটিতে মরিচ চাষ করলে সার কীটনাশকের খরচ নেই বললেই চলে। এখানে ১২ টি ইউনিয়নের মধ্যে ৭ টিই চরাঞ্চল। এই সাত ইউনিয়নে অর্ধেকের বেশি জমিতে মরিচের চাষ করা হয়। চর এলাকায় নারী কৃষি শ্রমিকের সংখ্যা বেশি।
গত বছর শুধু সারিয়াকান্দি উপজেলাতেই ৩ হাজার ৭০৫ হেক্টর জমিতে মরিচ চাষ হয়েছে।
কৃষি অধিদপ্তরের তথ্যমতে, মরিচ চাষ এবং প্রক্রিয়াজাতকরণের মাধ্যমে জেলায় ৪ লাখ ৫৩ হাজার ৯৭৫ জন নারী-পুরুষের কর্মসংস্থান হয়েছে। প্রতিদিন কাজ করে একজন নারী গড়ে ২০০ টাকা করে আয় করেন।
পরিবহন, ফড়িয়া এবং বস্তাজাতকরণের সাথে আরও সাড়ে প্রায় ২ হাজার শ্রমিক জড়িত আছেন।