ডেভিড বোয়ির জীবনের শেষ দিনগুলোতে তার সঙ্গে গড়ে উঠেছিল বন্ধুত্ব: প্রাক্তন প্রেমিকা সুজান সারানডন
২০১৬ সালের জানুয়ারিতে লিভার ক্যানসারে আক্রান্ত হয়ে মারা যান বিশ শতকের অন্যতম প্রভাবশালী ইংরেজ গায়ক, গীতিকার ও অভিনেতা ডেভিড বোয়ি।
তার সাবেক প্রেমিকা, 'থেলমা অ্যান্ড লুইস' তারকা সুজান জানান, পপ তারকার মৃত্যুর ঠিক এক সপ্তাহ আগে তাদের দুজনের ফোনে কথা হয়েছে এবং যা কিছু বলার প্রয়োজন ছিল, তারা তা বলেছেন।
১৯৮৩ সালে 'দ্য হাঙ্গার' চলচ্চিত্রে সুজান সারানডনের সঙ্গে অভিনয় করেন ডেভিড বোয়ি। কিন্তু তারও তিন দশক পর তাদের প্রেমের কথা চাউর হয় মিডিয়া জগতে।
রোববার দ্য মেইলে'র সঙ্গে এক সাক্ষাৎকারে অভিনেত্রী বলেন, 'তিনি মারা যাওয়ার আগে শেষ দুই মাসে তার পাশে থাকার সৌভাগ্য হয়েছিল আমার। আমাকে নতুন করে খুঁজে পেয়েছিলেন তিনি। আমরা একে অপরের সঙ্গে কথা বলেছি। আমাদের যেসব কথা বলার ছিল এতদিন, তা মন খুলে বলতে পেরেছি।'
১৯৯০ সালে বোয়ির সঙ্গে তার মডেল স্ত্রী ইমানের পরিচয় হয়। দুই বছর বাদে তারা বিয়ে করেন। বোয়ি-ইমানের মেয়ে লেক্সির বয়স এখন ২১।
৭৫ বছর বয়সী সুজান সারানডন বলেন, 'ইমানকে আমি পছন্দ করি। বোয়ির সমকক্ষ মানুষ তিনি। ভাগ্যই তাদের দুজনকে এক করে দিয়েছে। ইমানের সঙ্গে সবসময়ই যোগাযোগ ছিল আমার।'
বোয়ির মৃত্যুর এক মাস আগে, ২০১৫ সালের ডিসেম্বরে নিউইয়র্কে তার 'লেজারাস' গানের প্রিমিয়ার অনুষ্ঠিত হয়। সেদিনই বোয়ির সঙ্গে শেষ দেখা হয় সুজানের।
এর পরে আরও একবার বোওয়ির সঙ্গে কথা হলেও, নিজের হতাশাবোধ থেকে সেদিনের কথাবার্তা স্মরণ করতে পারেননি সুজান।
'আমার ঘুম আসছিল না, তাই কড়া ঘুমের ওষুধ খেয়েছিলাম। তখন যেন স্বপ্নে দেখলাম, ডেভিড আমায় কল করেছেন এবং আমরা কথা বলছি। পরে আমার মনে হলো, তিনি কি আসলেই কল দিয়েছিলেন? আমি ফোনের কাছে গেলাম, দেখলাম সত্যিই ডেভিডের কল এসেছিল। সেদিন কি কথা হয়েছিল, আমার মনে নেই। তার এক সপ্তাহ পরেই তিনি মারা যান। ভয়াবহ হতাশার ব্যাপার ছিল এটা,' বলেন সুজান।
-
সূত্র: ডেইলি মেইল