তার গল্পে আমি প্রথম সিনেমা ‘মোল্লা বাড়ির বউ’ নির্মাণ করি: সালাহউদ্দিন লাভলু
বরেণ্য অভিনেতা এটিএম শামসুজ্জামান শনিবার সকাল ৯টার দিকে রাজধানীর সূত্রাপুরে নিজ বাসভবনে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন। তার মৃত্যুতে শোকের ছায়া নেমে এসেছে সাংস্কৃতিক অঙ্গনে।
তাৎক্ষণিক প্রতিক্রিয়ায় জনপ্রিয় অভিনেতা ও পরিচালক সালাহউদ্দিন লাভলু দ্য বিজনেস স্ট্যান্ডার্ডকে বলেন, 'আমি মনে করি একজন অভিনেতা হিসেবে সবচেয়ে বড় পাওয়া তাকে যেন সারা দেশের মানুষ চেনে ও ভালোবাসে। জীবদ্দশায় এটিএম ভাই সেটা পেয়েছেন। আমার মনে হয় এটা তার জীবনের সেরা অর্জন।'
স্মৃতিচারণা করে লাভলু বলেন, "ওনার সঙ্গে আমার পরিচয় ২০০০ সালের দিকে। আমি তখন জনপ্রিয় ম্যাগাজিন অনুষ্ঠান 'ইত্যাদি'তে ফটোগ্রাফার হিসেবে কাজ করি। এটিএম ভাই ইত্যাদির ছোট ছোট স্কিডে অভিনয় করেন। তখন আমি টুকটাক নাটক নির্মাণও শুরু করি। এটিএম ভাই চলচ্চিত্রের বাইরে তখন কাজ করেন না। একদিন আমাকে বললেন, 'কি মিয়া, নাটক করো, আমাদের ডাকো না কেন?' আমি তো অবাক! এটিএম ভাই নাটক করবেন!"
"তখন আমি 'রঙের মানুষ' সিরিয়ালের প্রস্তুতি নিচ্ছি। একদিন তার সঙ্গে স্ক্রিপ্ট নিয়ে দেখা করতে যাই। তিনি পড়ে বললেন, 'দারুণ লিখছ মিয়া। অবশ্যই আমি করব।' সেই তো শুরু। তারপর ওনার সঙ্গে ১২-১৪ বছর কাজ করেছি। আমার যাবতীয় নির্মাণে তিনি অভিনয় করেছেন," বলেন লাভলু।
এটিএম শামসুজ্জামান প্রসঙ্গে তিনি আরও বলেন, "তার গল্পে আমি প্রথম সিনেমা নির্মাণ করি 'মোল্লা বাড়ির বউ'। এটার একটা গল্প আছে। তিনি একদিন আমাকে বললেন, 'লাভলু' তুমি তো যেইরকম নাটক করো, তাতে কিন্তু সিনেমা বানানো উচিত।' আমি বললাম, 'ভাই, আমাকে সিনেমা প্রডিউস করবে কে? তাছাড়া আমি তো ঠিকঠাক সিনেমার প্রস্তুতিও নেই নাই।' উনি বললেন, 'কাহিনি আমি লেইখা দিমু। তুমি প্রস্তুতি নাও।' ওই সময় প্রযোজক মতিউর রহমান পানু ভাই একদিন আমার সাথে যোগাযোগ করে বললেন 'রঙের মানুষ' নাটকটা সিনেমায় রূপ দিতে। আমি বললাম, 'এটা তো সম্ভব না, তার চেয়ে এটিএম ভাইয়ের কাছে একটা গল্প আছে, চলেন, ওইটা করি।' উনি বললেন, 'তাই নাকি? এটিএম ভাই তো আমাদের নিজের মানুষ। চলো শুরু করি।'"
"তারপর সবাই জানেন, এটিএম ভাইয়ের কাহিনি ও অভিনয়ে নির্মাণ করলাম 'মোল্লা বাড়ির বউ'। সেটা দারুণ সমাদৃত হলো," বলেন সালাহউদ্দিন লাভলু।