মেরিলিন মনরোর জীবনের অন্ধকার বাস্তবতা নিয়ে ভেনিস চলচ্চিত্র উৎসবে 'ব্লন্ড'
হলিউডের খ্যাতনামা অভিনেত্রী মেরিলিন মনরোর জীবনের অজানা-অন্ধকার দিক নিয়ে নির্মিত চলচ্চিত্র 'ব্লন্ড' এর প্রিমিয়ার হয়েছে ভেনিস চলচ্চিত্র উৎসবে। কিউবান অভিনেত্রী আনা দে আর্মাস অভিনীত, বহুল প্রতীক্ষিত এ চলচ্চিত্রের মাধ্যমে মনরোর জীবনকে নতুন করে চিনবে দর্শক- এমনটাই মনে করা হচ্ছে।
বিংশ শতাব্দীতে মেরিলিন মনরোর অত্যন্ত আবেদনময়ী অভিনেত্রী হিসেবে প্রতিষ্ঠিত হয়ে ওঠার আড়ালে অভিনেত্রীর যে জীবন লুকিয়ে ছিল, তার শৈশবের মানসিক আঘাত ও যৌন সহিংসতার যে কাহিনী অনেকেই জানেন না, তা নেটফ্লিক্স প্রযোজিত 'ব্লন্ড' চলচ্চিত্রটিতে তুলে ধরা হয়েছে।
সিনেমার মূল চরিত্রে আনা দে আর্মাসকে নেওয়ার বিষয়েও তৈরি হয়েছে বিতর্ক। কিছুদিন আগে ছবির ট্রেইলার মুক্তির পর আনা দে আর্মাসের কথায় সামান্য কিউবান টান নিয়ে অনলাইনে ট্রলিং এরও শিকার হতে হয়েছে তাকে।
কিন্তু মেরিলিন মনরোর গ্ল্যামার, চুলের ছাঁট, তার মানবতাবোধ ও দুর্বলতাকে আর্মাস বেশ ভালোভাবেই ফুটিয়ে তুলেছেন বলে মনে করা হচ্ছে।
এদিকে 'ব্লন্ড' সিনেমার নিয়ে নেটফ্লিক্স এবং অস্ট্রেলিয়ান পরিচালক অ্যান্ড্রু ডমিনিকের মধ্যে চাপা দ্বন্দ্ব চলছে বলেও গুজব রয়েছে। ডমিনিক ছবিটির দৈর্ঘ্য তিন ঘন্টার চেয়ে কমিয়ে আনতে এবং কিছু গ্রাফিক দৃশ্য ছেঁটে ফেলতে রাজি হননি।
আগামী ২৩ সেপ্টেম্বর নেটফ্লিক্সে মুক্তি পাবে 'ব্লন্ড'। কিন্তু কয়েকদিন আগেই নেটফ্লিক্স ছবিটিকে 'শুধুমাত্র প্রাপ্তবয়স্কদের জন্য' অভিহিত করে এনসি-১৭ রেটিং দিয়েছে।
পরিচালক ডমিনিক ছবিটিকে 'একটি মাস্টারপিস' বা অনন্য নির্মাণ বলে আখ্যা দিয়েছেন এবং আনা দে আর্মাসের বাচনভঙ্গি নিয়েও তার কোনো সংশয় নেই।
লস অ্যাঞ্জেলেস টাইমসকে পরিচালক বলেন, "তার (আর্মাস) অভিনয় দেখার আগপর্যন্ত আমার মনে খানিকটা উদ্বেগ ছিল। কিন্তু পরে আমি সেসব ভুলে গেছি।"
মেরিলিন মনরোর ভূমিকায় একজন লাতিন আমেরিকান অভিনেত্রীকে নেওয়ার পদক্ষেপকে 'যুগান্তকারী' বলে অভিহিত করেছেন আনা দে আর্মাস। এছাড়াও, ২০০৭ সালে ভেনিস চলচ্চিত্র উৎসবে সেরা অভিনেতার পুরস্কারজয়ী অভিনেতা ব্র্যাড পিটও আনা দে আর্মাসকে সমর্থন দিয়েছেন।
এন্টারটেইনমেন্ট টুনাইটকে ব্র্যাড পিট বলেন, "আনা দে আর্মাস এই চরিত্রে অনবদ্য অভিনয় করেছেন।"
এবারের ভেনিস চলচ্চিত্র উৎসবে বেশ জোরালভাবেই নিজেদের উপস্থিতি জানান দিয়েছে নেটফ্লিক্স। শীর্ষ পুরস্কার 'গোল্ডেন লায়ন' জয়ের লড়াইয়ে রয়েছে নেটফ্লিক্সের চারটি চলচ্চিত্র।
কিন্তু অ্যাডাম ড্রাইভার অভিনীত স্যাটায়ারধর্মী চলচ্চিত্র 'হোয়াইট নোজ' এবং অস্কারজয়ী মেক্সিকান পরিচালক আলেজান্দ্রো গঞ্জালেস ইনারিতুর 'বার্ডো' নিয়ে মিশ্র প্রতিক্রিয়া দেখা গেছে চলচ্চিত্র অনুরাগীদের মধ্যে।
সূত্র: দ্য ইকোনমিক টাইমস