স্পেনেই থাকতে চান, তবে হলিউড ছাড়ছেন না অ্যাম্বার হার্ড!
হলিউডের গ্ল্যামার ও চাকচিক্যের জীবন ছেড়ে বহুদিন ধরেই লোকচক্ষুর আড়ালে রয়েছেন মার্কিন অভিনেত্রী অ্যাম্বার হার্ড। প্রাক্তন স্বামী জনি ডেপের সঙ্গে মানহানি মামলা-সংক্রান্ত জটিলতার ও দুই পক্ষের ব্যাপক কাঁদা ছোড়াছুড়ির পর অবশেষে স্পেনে থিতু হয়েছেন 'অ্যাকুয়াম্যান' অভিনেত্রী। এবার পিপল ম্যাগাজিন সূত্রে জানা গেল, স্পেনেই স্থায়ী হওয়ার ইচ্ছা রয়েছে অ্যাম্বার হার্ডের।
অ্যাম্বার হার্ড জানিয়েছেন, তিনি স্পেনেই ভালো আছেন এবং এখানে থেকেই সন্তুষ্ট। গত বছরের জুনে মানহানি মামলার রায়ের কয়েক মাস পর থেকেই ৩৭ বছর বয়সী এই এই অভিনেত্রী স্পেনের মাদ্রিদে রয়েছেন।
এই সময়ের মধ্যে একেবারেই নিভৃতে থাকার চেষ্টা করলেও 'লস্ট কিংডম' অভিনেত্রীর পক্ষে তা সম্ভব হয়নি। এরই মধ্যে বেশ কয়েকবার পাপারাজ্জিদের ক্যামেরায় ধরা পড়েছেন তিনি।
তবে সম্প্রতি টিকটকে অ্যাম্বার হার্ডের একটি সাক্ষাৎকার ভিডিও দেখা গেছে। ভিডিওতে দেখা যায়, স্থানীয় সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়েছেন হার্ড। এসময় স্প্যানিশ ভাষায় তিনি বলেন, "আমি স্পেনকে অনেক ভালবাসি।'
স্পেনের থেকে যাবেন কিনা এই প্রশ্ন করা হলে অ্যাম্বার হার্ড উত্তর দেন, "হ্যাঁ, আমার এমনটাই প্রত্যাশা। হ্যাঁ, আমার এখানে থাকতে ভালো লাগে।"
তবে অ্যাম্বার হার্ড চাইছিলেন সাক্ষাৎকার পর্ব সংক্ষিপ্ত করতে। তাই তিনি সাংবাদিকদের বিদায় জানিয়ে বলেন, "আশা করি আপনারা সবাই ভালো আছেন, বিদায়! আর ধন্যবাদ, আপনাদের সাথে দেখা হয়ে ভালো লাগলো।"
এসময় সাংবাদিকরা জানতে চান অ্যাম্বার হার্ডের হাতে কোনো সিনেমার প্রজেক্ট রয়েছে কিনা। এর উত্তরে অভিনেত্রী বলেন যে তার হাতে কাজ আছে। "আমি সামনে এগিয়ে গিয়েছি। আর এটাই জীবন", বলেন হার্ড।
এর আগে একটি সূত্র পিপল ম্যাগাজিনকে জানিয়েছিল, "মামলা শেষ হতেই নিজের মেয়েকে নিয়ে যুক্তরাষ্ট্র ছাড়তে ব্যাকুল হয়ে ছিলেন অ্যাম্বার হার্ড। দুই বছর বয়সী মেয়ে উনা পেজ হার্ডকে নিয়েই স্পেনে বাস করছেন অভিনেত্রী। কারণ সেখানে বেশি গোপনীয়তা বজায় রেখে থাকা যায়।"
সূত্র আরও জানিয়েছিল, মানহানি মামলার কারণে অ্যাম্বার হার্ডের ওপর নিয়ে বেশ ধকল গিয়েছে। তাই তিনি দেশের বাইরে গিয়ে নতুনভাবে জীবন শুরু করতে চান। সেই সাথে আবারও সিনেমায় কাজ করার জন্যও খুবই আগ্রহী তিনি। তবে মামলার রায় নিয়ে তিনি খুব হতাশ হয়েছেন। তার মনে হয়েছে যে তার সাথে খারাপ আচরণ করা হয়েছে। কিন্তু এই সবকিছুই এখন অতীত, এসব তিনি পেছনে ফেলে এসেছেন। এখন তিনি যেসব জিনিস ভালোবাসেন, সেগুলোর ওপরেই তার মনোযোগ।"
গত বছরের ডিসেম্বরে অ্যাম্বার হার্ড জানিয়েছিলেন যে, তিনি এবং জনি ডেপ একটি সমঝোতায় পৌঁছেছেন।
অন্যদিকে, মানহানি মামলায় কার্যত জয়লাভের পর থেকে বেশ ফুরফুরে মেজাজেই আছেন জনি ডেপ। সম্প্রতি কান চলচ্চিত্র উৎসবে ডেপ অভিনীত ফরাসি ভাষার চলচ্চিত্র 'জ্যা দো বাঘি'র জন্য সাত মিনিটের স্ট্যান্ডিং ওভেশন পেয়েছেন ডেপ।