‘তারে জমিন পর’-এর টিকেটের সঙ্গে টিস্যু পেপার ‘বিক্রি করতে চেয়েছিলেন’ আমির!
হৃদয়ছোঁয়া ব্যতিক্রমী গল্প ও বিষয়বস্তু আর অভিনেতাদের অসাধারণ পারফরম্যান্সের জন্য সিনেমাপ্রেমী দর্শকদের মনে আলাদা জায়গা করে নিয়েছে আমির খানের পরিচালনায় প্রথম সিনেমা 'তারে জমিন পর'। এ ছবিতে ডিসলেক্সিয়ায় আক্রান্ত শিশু ইশানের (দার্শিল সাফারি) মায়ের ভূমিকায় অভিনয় করেছেন টিসকা চোপড়া।
সিনেমাটিতে কাজ করার অভিজ্ঞতা জানাতে গিয়ে টিসকা বলেছেন, আমির খানের নির্দেশনায় কাজ করা তার জন্য অমূল্য অভিজ্ঞতা ছিল।
সম্প্রতি এক সাক্ষাৎকারে টিসকা বলেন, 'আমির খান ছিলেন একটা স্কুল। আমি আমির খানের চলচ্চিত্র নির্মাণের স্কুলে যাওয়ার সুযোগ পেয়েছিলাম। ওটা আমির খানের প্রথম সিনেমা হলেও তিনি প্রত্যেকটা বিষয়ে অত্যন্ত সতর্ক ছিলেন। তিনিও নতুন নতুন জিনিস শিখছিলেন, আমরা সবাই এ প্রক্রিয়ায় অংশ হয়ে গিয়েছিলাম।'
'মিস্টার পারফেকশনিস্ট' নামে বিখ্যাত আমিরের সঙ্গে কাজ করা কঠিন ছিল কি না, জানতে চাইলে টিসকা বলেন, তার কখনও এমনটা মনে হয়নি। 'কারণ আমি নিজেও সব কাজ পুঙ্খানুপুঙ্খভাবে করতে চাই; এ ধরনের কাজ আমার পছন্দ। আমি তো আমার শট রিটেক নিতে বলতে বলতেই তাকে বিরক্ত করে ফেলেছিলাম। …ওটা অসাধারণ অভিজ্ঞতা ছিল।'
'তারে জমিন পর'-এর চিত্রনাট্যকার অমল গুপ্তে; প্রথমে ছবিটির পরিচালকও তিনিই ছিলেন। তার প্রসঙ্গে টিসকা বলেন, 'তার আর আমিরের লক্ষ্য মিলেনি। অমল যে অংশটুকুর পরিচালনা করেছিলেন, সেটুকু ফাইনাল কাটে রাখা হয়নি। তবে তার চিত্রনাট্য ছিল অসাধারণ। দুর্দান্ত।'
'তারে জমিন পর' দেখে দর্শকরা কেমন আবেগাক্রান্ত হয়েছেন, তার উদাহরণ দিতে গিয়ে আমিরের সঙ্গে একদিনের আলাপের কথা বলেন টিসকা। 'একদিন আমির আমাকে কল করে বললেন, ছবিটার টিকেটের সাথে টিস্যু পেপারও বিক্রি করা উচিত ছিল আমাদের। তাহলে দ্বিগুণ আয় করতে পারতাম। ছবিটি দেখার পর করণ জোহরও কেঁদে ফেলেছিলেন।'
'তারে জমিন পর'-এর প্রশংসা করতে গিয়ে এই অভিনেত্রী বলেন, 'এই ছবি শুধু আমার ক্যারিয়ারের মোড়ই ঘুরিয়ে দেয়নি, তার পাশাপাশি আন্তর্জাতিক স্বীকৃতিও এনে দিয়েছে। শিক্ষা ব্যবস্থা এবং অন্তর্ভুক্তিতেও অনেক পরিবর্তন এনেছে এই ছবি।'
এই ছবির পর টিসকা শুধু মায়ের চরিত্রও পেতে শুরু করেন বলে জানান। তাই বেশ কিছুদিন নতুন চরিত্র নেওয়া বন্ধ রাখেন।