মধুপুরের ‘আবিমা (বন-মাতৃকা)’ রক্ষায় অরণ্যচারী মান্দি নর-নারীর শপথ
'নিঃসঙ্গতার একশো বছর' লিখে নোবেল পেয়েছেন যে কলম্বিয়ান লেখক, সেই গাব্রিয়েল গার্সিয়া মার্কেসের তরুণ বয়সের প্রথম উপন্যাসিকা 'পাতাঝড়' (লিফ স্টর্ম)-এ লেখক তাঁর জন্মশহর আরাকাতাকেই কাল্পনিক নাম 'মাকান্দো' হিসেবে প্রথম অভিহিত করেন। সুজলা-সুফলা সেই জনপদে ফল বিশেষত: কলার ফলন হয় বিস্তর। আর তাই 'ইউনাইটেড ফ্রুট কোম্পানি'র হয়ে কাজ করতে ছোট্ট সেই জনপদে 'লা হোজারস্কা' বা পাতাঝড়ের মতো আসে বহু বহিরাগত মানুষ।
উনিশ শতকের শেষে কলম্বিয়ার সেই সমুদ্র উপকূল সন্নিহিত ছোট্ট জনপদ ফল কোম্পানির হয়ে কাজ করতে আসা বহিরাগতদের সুবাদে ফুলে-ফেঁপে ওঠে। ১৯১০ সাল নাগাদ তুঙ্গ অবস্থা হয় সেই ছোট্ট শহরের। তবে ১৯১৮ সালের পর আবার সেই জনপদের অবস্থা পড়ে যায়।
টাঙ্গাইলের মধুপুর বন এলাকার সাথে কোথাও যেন 'পাতাঝড়' উপন্যাসের 'মাকান্দো'র অবাক করা মিল। অমনি সুজলা-সুফলা এক নিভৃত, আদিবাসী মৃত্তিকা। সেখানে আনারস, পেঁপে ও কলার ভালো ফলনের জন্য ক্রমাগত বেশি সংখ্যায় সমতলের বাঙালিরা গিয়ে বসতি স্থাপন করছে, কিনে নিচ্ছে বা ইজারা নিচ্ছে আদিবাসীদের জমি আর বনবিভাগের রক্ষী-প্রহরীদের যন্ত্রণায় প্রায়ই আদিবাসী গারো, কোচ বা হাজং তো বটেই, সাধারণ বাঙালি ফলচাষীদের জীবনও প্রায়ই ওষ্ঠাগত হয়ে পড়ে।
আরও বিশেষত: এশীয় উন্নয়ন ব্যাংক ও বিশ্বব্যাংক যখন থেকে মধুপুরের চাষীদের ফল বা ফসলের জমিতে বাণিজ্যিক ভিত্তিতে পরিবেশ বিপন্নকারী ইউক্যালিপটাস বা অ্যাকাশিয়া মিনজুমের মতো গাছ চাষ করছে, মধুপুরের সামগ্রিক প্রতিবেশ বিপন্ন হয়ে পড়ছে। পৃথিবীর যে কোনো দেশের একজন কথাশিল্পীর জন্য মধুপুর হতে পারে তাই এক অভিনব আখ্যানের জন্মদাত্রী ভূখণ্ড- ঠিক 'মাকান্দো'র মতোই।
গত ২৫ সেপ্টেম্বর ঢাকা থেকে আমরা যখন মধুপুরের দোখলা ফরেস্ট রেঞ্জের অরণখোলা ইউনিয়নে পেগামারি গ্রামের বাসন্তী রেমার বাড়ি পৌঁছাই, তখন দোখলা রেঞ্জের পথ সকাল থেকে হওয়া বৃষ্টিতে কাদা পিচ্ছিল। বাসন্তী রেমার নাম ইতোমধ্যে সংবাদপত্র বা সামাজিক মাধ্যমের সুবাদে অনেকেই অবগত। দিনমজুর এই নারী তার বসতভিটা সংলগ্ন বেশ কিছুটা জমিতে এক বাঙালি চাষীকে কলা চাষের জন্য জমি ইজারা দিয়েছিলেন। বনবিভাগের রক্ষীরা গত ১৪ সেপ্টেম্বর বাসন্তীর বসতভিটা সংলগ্ন এই কলাবাগানের গাছ সব কিছু না বলে-কয়ে, হুট করে কেটে ফেলে।
'আমি দিনমজুরি করি। আর বসতভিটার সাথের এই জমি ইজারা দিয়েছি বাড়তি টাকার জন্য। আমার এক ছেলে আর এক মেয়ে স্কুলে যায়। ওদের স্কুলের খরচের জন্য জমিটা ইজারা দিয়েছিলাম। ঘটনার দিন সকালবেলা দিনমজুরি করতে গেছি। তখন খবর আসলো যে বনবিভাগের লোকরা আমার জমির কলাবাগান কেটে দিয়েছে,' ভাঙ্গা ভাঙ্গা বাংলায় বললেন বাসন্তী রেমা।
'এখন যে ইজারা নিয়েছে তার কলাবাগানের তো ক্ষতি হলো। ওকে তো এখন আমার ক্ষতিপূরণ দিতে হবে। সেই টাকা আমি কোথায় পাব? আমি গরীব মানুষ!' কান্নাভেজা কণ্ঠে বললেন বাসন্তী রেমা। বাংলায় খুব স্বচ্ছন্দ নন বলে এটুকু বলেই থেমে গেলেন তাঁকে কেন্দ্র করে আয়োজিত সমাবেশে।
বাসন্তী রেমার বাড়ির উঠোনে আয়োজিত এই সমাবেশে তখন মাথার ওপর তেরপল ভেদ করে আকাশ থেকে আবার নামছে ঝমঝমিয়ে বৃষ্টি। দুজন গারো কিশোরী ট্রে-তে করে প্রচুর কাঁচামরিচের সাথে মধুপুরের বিখ্যাত আনারস কুচি করে কেটে আর সেইসাথে মধুপুরের বিখ্যাত কলা আর লাল চা নিয়ে ঢাকা থেকে আসা অভ্যাগতদের সামনে দাঁড়াল। বোঝা গেল, প্রাকৃতিক এই ফলসম্ভারই বৃষ্টি ও কোভিড থেকে বনের আদিবাসীদের বাঁচিয়ে রাখছে। গোটা মধুপুরে ঢাকা থেকে এক বহিরাগত শুধু কোভিড নিয়ে এসে শনাক্ত হয়েছিলেন। আর কেউ এতদিনেও কোভিডে শনাক্ত হননি, যদিও উঠোন বোঝাই মানুষ গায়ে গা লাগিয়ে দাঁড়ানো। গ্রামে অত সামাজিক দূরত্ব মানাও হয় না বলে জানা গেল।
গারোদের মাতৃসূত্রী সমাজ-ব্যবস্থায় নারীর উপরেই অধিকাংশ কাজ ও সাংসারিক দায়-দায়িত্বের ভার। শুধুই ঘর-কন্না নয়, ক্ষেত-খামারের কাজেও রয়েছে গারো নারীর বিপুল মাত্রায় অংশগ্রহণ। মধুপুর অরণ্যে যতদিন জুম চাষ প্রচলিত ছিল, ততদিন বাড়ির টাকা রোজগারের মূল দায়িত্বও গারো নারীই সামলেছে। ১৯৭১ সালে মুক্তিযুদ্ধের পর থেকে মধুপুরের শাল বন যতটাই উজাড় হয়েছে, ততটাই বদলে গেছে গারো সমাজের পারিবারিক ও সামাজিক কাঠামো।
বাংলাদেশের মধ্যভাগে ময়মনসিংহ ও টাঙ্গাইলের প্লায়স্টোসিন মৃত্তিকায় অবস্থিত এই মধুপুর গড়ের (লতিফ, ১৯৮৩) 'শোরিয়া রোবাস্টা' বা শাল বনে 'মান্দি (মানুষ)' হিসেবে পরিচয় দানকারী গারোরা বাস করছে বহু যুগ ধরে। কয়েক শতাব্দী ধরে নিবিড় এই অরণ্যের ভেতর একাকী বসবাসই গারো সমাজের বিশেষ চারিত্র্য তৈরি করেছে (ডিফরেস্ট্রেশন অ্যান্ড দ্য গারো ওমেন অফ মধুপুর গড়, সোমা দে)।
কীভাবে 'অরণ্যের অধিকার' হারিয়েছে অরণ্যচারী আদিবাসী?
যদিও বৃটিশ ঔপনিবেশিক সময় থেকেই মধুপুর অরণ্যের ক্রমাগত ক্ষয় শুরু হয়, ১৯৫৬ সালে জুম চাষের ওপর সরকারি নিষেধাজ্ঞা জারি হবার পর থেকে সমস্যা গুরুতর আকার নেয়। তদানীন্তন পাকিস্তান সরকার মধুপুরে জুম চাষ নিষিদ্ধ করার পর বাধ্য হয়েই গারো নর-নারী জুমের বদলে, সমতলের বাঙালিদের মতো ফসল চাষে মনোযোগী হয়ে পড়ে। আজ মধুপুরের 'অধিকাংশ বনভূমিই ন্যাড়া, ক্ষয়প্রাপ্ত এবং বাণিজ্যিক বা শিল্পভিত্তিক রাবার চাষ বা জ্বালানী সংগ্রহের জন্য অধিকৃত (ফিলিপ গাইন, ২০০২)।'
১৯৫৫ সালে এই অরণ্য 'সংরক্ষিত অরণ্য' হিসেবে ঘোষিত হয় এবং ১৯৬২ সালে এই বনভূমির বেশ কিছু পরিমাণ এলাকায় 'জাতীয় উদ্যান' ঘোষিত হয় এবং এর মাধ্যমেই বনে আদিবাসীদের অবাধ বা মুক্ত চলাচল নিষিদ্ধ করা হয়। এর ধাক্কা পড়ে অরণ্যের 'বনানী-বনিতা' আন্তঃসম্বন্ধে।
সাম্প্রতিক বছরগুলোয় মধুপুরে ইকো পার্ক বিরোধী আন্দোলনে পীরেন স্নালের মৃত্যু বা ২০০৭ সালে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের সময় গারো অধিকার আন্দোলনের নেতা চলেশ রিছিলের ওপর অমানবিক নিপীড়ন ও মৃত্যুর ঘটনায় মধুপুরের সবুজ বন রক্তে লাল হয়েছে। উল্লেখ্য, চলেশ রিছিল এলাকার বাঙালি মুসলিম কৃষকদের ভেতরেও এত জনপ্রিয় ছিলেন যে, তাঁর মৃত্যুতে এলাকার মুসলিম চাষীরা 'চল্লিশা' পালন করে।
গত বেশ কয়েক দশক ধরে অরণ্যের সামগ্রিক অধিকারে আদিবাসী জনতার সত্ব হারানো, সমতল ভূমি থেকে বাঙালিদের ক্রমাগত হারে মধুপুরে এসে বসতি গাড়া ও বনবিভাগের রক্ষীদের দৌরাত্ম্যের দরুণ গারো মাতৃসূত্রী সমাজে নারীর অবস্থান আগের তুলনায় অনেকটাই বদলে গেছে।
গারো মাতৃসূত্রী সমাজব্যবস্থা অনুযায়ী সন্তানের বংশ পরিচয় তার বাবার বদলে মায়ের দিক থেকে নির্ধারিত হয়। গারো শিশু তার বাবা নয়, বরং মায়ের বংশ নামে পরিচিত হয় এবং সম্পত্তির অধিকার মায়ের হাত থেকে কন্যার কাঁধে ন্যস্ত হয়।
ঐতিহ্যবাহী গারো আইন অনুযায়ী গারো ছেলেরা সম্পত্তির অধিকারী হয় না। সাধারণত পরিবারের ছোট মেয়ে বা 'নকনা'কেই বাবা-মা মূল উত্তরাধিকারী হিসেবে বেছে নেয়। তবে ছোট মেয়েকে তার বদলে বিয়ের পর বরসহ আজীবন বাবা-মা'র কাছে থেকে তাঁদের সেবা করার দায়িত্ব নিতে হয়।
বিয়ের পর গারো যুবকেরাই শ্বশুর বাড়ি যায়। সমাজের এই মাতৃসূত্রী নিয়ম-রীতির কারণেই গারো সমাজে নারী কখনোই অন্তঃপুরিকা নয়। তার চলাচলের গতি অবাধ ও মুক্ত। এমনকি গত এক শতাব্দী ধরে সংখ্যাগরিষ্ঠ গারো খ্রিষ্টান বিশ্বাসে দীক্ষিত হবার পরেও সমাজের মাতৃসূত্রী কাঠামো বদলায়নি।
গারো নারীর ওপর মধুপুর অরণ্য ধ্বংসের প্রভাব
শুধু সমতল থেকে এসে বাঙালিদের বসতি স্থাপনের জন্যই নয়, মধুপুর অরণ্যে বেআইনি কাঠ কাটার হিড়িক, বনভূমিকে চাষযোগ্য জমিতে রূপান্তর, ক্রিশ্চিয়ান মিশনগুলোর দ্বারা গৃহীত নানা উন্নয়নমূলক কাজ এবং সরকার ও এশীয় উন্নয়ন ব্যাংক এবং বিশ্বব্যাংকের যৌথ উদ্যোগে গৃহীত বাণিজ্যিক বনায়ন কর্মসূচী গ্রহণের জন্যও মধুপুরের বন ক্রমাগত উজাড় হয়েছে।
'দ্য এশিয়াটিক সোসাইটি অফ বাংলাদেশ'-এর (২০০৪) এক প্রকাশনা থেকে জানা যাচ্ছে যে, একটা সময় মধুপুরের এই শাল বন বাংলাদেশের কুমিল্লা জেলা থেকে আজকের ভারতের পশ্চিম বাংলার দার্জিলিং জেলা অব্দি বিস্তৃত ছিল। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের 'ওমেন অ্যান্ড জেন্ডার স্টাডিজ' বিভাগের শিক্ষক ও গবেষক সোমা দে'র এক গবেষণাপত্র থেকে জানা যাচ্ছে যে, ১৯২৮ সালে 'দ্য সার্ভে অফ ইন্ডিয়া'র এক মানচিত্র অনুযায়ী তখন মধুপুরে বনভূমির মোট আয়তন ছিল ৮০ হাজার একর যা ২০০০ সালে মাত্র ৮ হাজার ৪০০ একর আয়তনে এসে দাঁড়িয়েছে।
সোমার গবেষণা থেকে আরও জানা যায় যে, মধুপুরের বুড়ো মানুষেরা আজো অতীতে অরণ্যে বিচিত্র ধরণের প্রাণী শিকারের স্মৃতি রোমন্থন করেন। মধুপুর অরণ্যের সেই প্রাণ বৈচিত্র্যও আজ নিঃশেষিত প্রায়। বনভূমির এই সম্পদনাশ ক্ষতিগ্রস্ত করেছে অরণ্যচারী গারো জনগোষ্ঠির জীবন ও সংস্কৃতিকেও।
ক্রমাগত বন নিধন শুধু গারোদের খাদ্য বৈচিত্র্যকেই হ্রাস করেনি, গারো নারীর জীবন ও সম্মান হানির কারণও হয়ে দাঁড়িয়েছে নানা সময়ে। বনবিভাগের নিষেধ সত্ত্বেও দরিদ্র গারো নারীরা প্রায়ই বনের ভেতর বুনো আলু, নানা ভেষজ লতা বা জ্বালানি কি শাক-সবজির খোঁজে ঘোরা-ফেরা করে।
বনবিভাগের রক্ষীরা এ সময় তাদের সাথে মন্দ আচরণ, চাঁদা আদায়ের চেষ্টা থেকে কখনো কখনো যৌন নিগ্রহ করে বলেও অভিযোগ মেলে। শুধু তাই নয়, অনেক সময় অসহায় এই নারীদের পরিবারের পুরুষ সদস্যদের বিনা দোষে, নানা মিথ্যা মামলায় ফাঁসিয়ে জেলে পোরা হয়। ২০০৩ সালে 'দ্য ডেইলি স্টার'-এ প্রকাশিত এক প্রতিবেদন থেকে জানা যায় যে, বন বিভাগের দায়ের করা ৩ হাজার ৭০০ মিথ্যে মামলায় জেলে ধুঁকছে অসংখ্য আদিবাসী পুরুষ।
মধুপুরের তেল্কি গ্রামের এমনি এক অসহায় নারী কাজলী হাদিমার (২৯) বরকে আরও দশ বছর আগে টাঙ্গাইল জেলে পোরা হয় মোট ৪৭টি মিথ্যে মামলার আওতায়, যার অনেকগুলো মামলাই কাজলীর বর জেলে ঢোকার পর সাজানো হয়। মাত্র ১৯ বছর বয়স থেকে দুই শিশু সন্তানসহ একা মা কাজলী স্বামীকে মিথ্যে মামলার হাত থেকে মুক্ত করতে সহায়-সম্পত্তি সব বিক্রি করে দিনমজুরি ও পরের বাড়িতে গৃহ পরিচারিকার কাজ করছেন বলে জানা যায় (২০০৪, সোমা দে)।
প্রচুর পরিমাণে বাঙালি বসতি স্থাপনের কারণে বহিরাগত বাঙালি জীবনধারা ও মূল্যবোধে প্রভাবিত হয়ে হালে অনেক গারো বাবা-মা তাদের পুত্র শিশুকেও যেমন সম্পত্তি দিচ্ছেন, তেমনি অধিকাংশ ক্ষেত্রে দারিদ্র্য ও নিপীড়নের শিকার গারো গৃহস্থ পরিবারগুলো বাঙ্গালী, সম্পন্ন কৃষকদের কাছে কলা-পেঁপে-আনারস প্রভৃতি চাষের জন্য জমি বিক্রি করা বা ইজারা দেবার সময় গারো নারীর বদলে গারো পুরুষই সামনে থাকছে বিক্রি-বাঁটোয়ারার কাজে। এসব কারণেও সমাজে গারো নারীর গুরুত্ব কমছে।
১৯৮৬ সালে এশীয় উন্নয়ন ব্যাংকের গৃহীত বিপুলায়তন বনায়ন (রবার চাষ) প্রকল্প গ্রহণ করায় মধুপুরের প্রায় ৮০ হাজার একর জমির প্রতিবেশ চিরতরে বদলে যায় ও অসংখ্য গারো নারী চিরতরে ভূমিহীন হয়ে পড়ে। এর পরপরই এডিবি 'Thana Afforestation and Nursery Development Project (TANDP)' প্রকল্প হিসেবে আরেকটি বড় প্রকল্প হাতে নেয়। এই প্রকল্প বাস্তবায়ন করতে গিয়ে ১৯৮৪ সালে মাত্র একটি গেজেট নোটিফিকেশনের আওতায় গারো আদিবাসীদের ৪০ হাজার একর জমি অধিগৃহীত হয় এবং অসংখ্য আদিবাসী পরিবার তাদের বসতভিটাও হারিয়ে ফেলে।
এছাড়াও ক্রমাগত বাণিজ্যিক ভিত্তিতে কলা বা আনারস চাষে উচ্চমাত্রার বাণিজ্যিক কীটনাশক ও স্প্রে ব্যবহার করায় আদিবাসী নারী ও শিশুরা সম্মুখীন হচ্ছেন নানাবিধ স্বাস্থ্য ঝুঁকির।
- লেখকবৃন্দ বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক ও নানা অধিকার ভিত্তিক সংস্থায় কাজ করছেন