যুদ্ধের সময়ে স্ত্রীসহ ভোগ ম্যাগাজিনের ফটোশ্যুট করে বিতর্কের মুখে জেলেনস্কি
চলমান রাশিয়া-ইউক্রেন সংঘাতের মধ্যেই স্ত্রী ওলেনা জেলেনস্কাকে নিয়ে ভোগ ম্যাগাজিনের জন্য ফটোশ্যুট করে বিতর্কের মধ্যে পড়েছে্ন ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি। দেশের নিদারুণ সংকটের মধ্যে কিয়েভে বসে ফটোশ্যুট করাকে স্রেফ ছেলেমানুষি হিসেবে আখ্যা দিয়েছেন অনেকে।
বিশ্বখ্যাত ভোগ ম্যাগাজিনের ম্যাগাজিনের 'পোট্রেইট অব ব্রেভারি: ইউক্রেন'স ফার্স্ট লেডি, ওলেনা জেলেনস্কা' শিরোনামের এই ফটোশ্যুটে নিজের স্ত্রীকে নিয়ে ছবির জন্য পোজ দিয়েছেন ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট। কিয়েভ বিমানবন্দরের ধ্বংসাবশেষ এবং দেশের নিজের বাসভবনসহ বিভিন্ন স্থানে নানা ভঙ্গিতে ছবি তুলেছেন তারা।
ভোগ ম্যাগাজিনের থিম কী ছিল?
ভলোদিমির জেলেনস্কি ও তার স্ত্রীর ফটোশ্যুটের পাশাপাশি ইউক্রেনের ফার্স্ট লেডির এক দীর্ঘ সাক্ষাৎকারও নিয়েছে ভোগ ম্যাগাজিন। সাক্ষাৎকারে যুদ্ধের সময়কার জীবন, নিজেদের দাম্পত্য এবং ইউক্রেনের ভবিষ্যৎ ইত্যাদি নিয়ে কথা বলেছেন ফার্স্ট লেডি ওলেনা জেলেনস্কা। ভোগ ম্যাগাজিনের ইনস্টাগ্রাম একাউন্ট থেকে এসব তথ্য জানানো হয়।
এমনকি টুইটারে ইউক্রেনের প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকেও এই ফটোশ্যুটের বিষয়টি জানিয়ে পোস্ট দেওয়া হয়। সাথে একটি বার্তাও ছিল- 'ইউক্রেনের 'ফার্স্ট জুটি'। একটু ভালো করে তাকিয়ে দেখুন তাদের চেহারায়। কষ্ট, সাহস...এবং বিজয়ের জন্য মরিয়া ভাব ফুটে উঠেছে সেখানে।'
একটি তুচ্ছ-ছেলেমানুষিপূর্ণ যুদ্ধকালীন ফটোশ্যুট?
ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ও ফার্স্ট লেডির যুগল ফটোশ্যুট করেছেন আলোকচিত্রী অ্যানি লিবোভিটজ। কিন্তু ভোগ ম্যাগাজিনের এই ফটোশ্যুট বিশ্বব্যাপী সাড়া ফেলার বদলে সমালোচনা ও বিতর্কের মুখোমুখি হয়েছে। ইউক্রেনের সাধারণ মানুষ যেখানে যুদ্ধের আঘাতে জর্জরিত, সেখানে স্থান-কাল-পাত্র বিবেচনা না করেই এমন ফটোশ্যুট মেনে নিতে পারছেন না অনেকে।
এদিকে ভোগ ম্যাগাজিন জানিয়েছে, ডিজিটাল সংস্করণের পাশাপাশি আসছে অক্টোবরে ম্যাগাজিনের মুদ্রিত সংস্করণেও প্রকাশ পাবে জেলেনস্কি ও তার স্ত্রীর এসব ছবি।
ভোগ ম্যাগাজিনের এই আর্টিকেলে শুধু যে যুদ্ধকালীন সময়ে ওলেনা জেলেনস্কার কূটনৈতিক কাজ নিয়ে লেখা হয়েছে তা নয়, প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কির সাথে তার প্রণয়ের সম্পর্ক এবং স্বামীর রাজনৈতিক জীবনের সঙ্গে যুক্ত হওয়ার আগে তার শোবিজ জগতে কাজের অভিজ্ঞতার কথাও উঠে আসবে এই লেখায়।
সূত্র: মার্কা