সরে দাঁড়ালেন বরিস, প্রধানমন্ত্রীত্বের দৌড়ে এগিয়ে সুনাক
প্রধানমন্ত্রীত্বের লড়াই থেকে সরে দাঁড়ালেন যুক্তরাজ্যের সাবেক প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন। রোববার (২৩ অক্টোবর) নিজের এমন সিদ্ধান্তের কথা প্রকাশ্য আনলেন তিনি। এর মাধ্যমে সাবেক অর্থমন্ত্রী ঋষি সুনাক আরও খানিকটা এগিয়ে গেলেন ব্রিটেনের পরবর্তী প্রধানমন্ত্রী হওয়ার দৌড়ে। খবর রয়টার্সের।
নিজের প্রার্থীতা প্রত্যাহার করে বরিস জানিয়েছেন, যদিও তিনি চূড়ান্ত ব্যালট যুদ্ধে যাওয়ার জন্য যথেষ্ট সমর্থন পেয়েছিলেন, কিন্তু শেষ পর্যন্ত তিনি বুঝতে পেরেছেন যে, এই মুহূর্তে দেশ এবং কনজারভেটিভ পার্টির মধ্যে ঐক্য প্রয়োজন। এ কারণেই প্রার্থীতা থেকে নিজেকে সরিয়ে নিয়েছেন তিনি।
জানা গেছে, ক্যারিবিয়ানে ছুটির দিন কাটাচ্ছিলেন বরিস। তবে লিজ ট্রাসকে বর্তমান প্রধানমন্ত্রীর পদ থেকে সরাতে ফিরে আসেন তিনি। আবারও প্রধানমন্ত্রীর পদ ফিরে পেতে ১০০ জন আইনপ্রণেতার ভোট সংগ্রহে সোমবারের (২৪ অক্টোবর) প্রতিযোগিতায় অংশ নেওয়ার কথা ছিল তার।
গেল সেপ্টেম্বরে নানান কেলেঙ্কারির জেরে প্রধানমন্ত্রীর পদ ছাড়তে বাধ্য হয়েছিলেন বরিস জনসন। এরপর তার স্থলাভিষিক্ত হন লিজ ট্রাস।
প্রার্থীতা প্রত্যাহারের ব্যাপারে বরিস জানিয়েছেন, ১০২ জন আইন প্রণেতার সমর্থন পেয়েছিলেন তিনি, যার মাধ্যমে সহজেই 'ডাউনিং স্ট্রিটে আবারও ফিরে' আসতে পারতেন; কিন্তু তিনি সুনাক বা অন্য প্রতিযোগী পেনি মর্ডান্টকে 'জাতীয় স্বার্থে' একমত হতে রাজি করতে ব্যর্থ হয়েছেন।
তিনি বলেন, "আমি বিশ্বাস করি, অনেক কিছুই দেওয়ার আছে আমার; কিন্তু আমি ভয় পাচ্ছি, এটি সঠিক সময় নয়।"
রোববার পর্যন্ত সাবেক প্রধানমন্ত্রীকে সমর্থন দিয়েছেন ৬০ জনেরও কম রক্ষণশীল আইনপ্রণেতা। অন্যদিকে, তার শক্ত প্রতিদ্বন্দ্বী ঋষি সুনাকের পক্ষে সমর্থন রয়েছে প্রায় ১৫০জনের।
রয়টার্সের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বরিসের সরে দাঁড়ানোর পর ৪২ বছর বয়সী সাবেক অর্থমন্ত্রী সুনাকের প্রধানমন্ত্রী হওয়ার সম্ভাবনা অনেক বেড়ে গেছে। সম্ভবত আজ সোমবারের মধ্যেই প্রধানমন্ত্রী হওয়ার পথ তৈরি করতে চলেছেন তিনি। বিষয়টি নিশ্চিত হলে, লিজ ট্রাসের স্থলাভিষিক্ত হবেন সুনাক।
সম্প্রতি ট্রাসের নেওয়া কিছু অর্থনৈতিক সিদ্ধান্তে যুক্তরাজ্যের আর্থিক বাজারে অস্থিরতা দেখা দেয়; অসন্তুষ্ট হন ব্যবসায়ীরা। নিজের ভুল সিদ্ধান্তের জন্য জনসমক্ষে ক্ষমাও চেয়েছিলেন ট্রাস। তবে শেষ পর্যন্ত পদ ধরে রাখতে পারলেন না। তার পদত্যাগের পরে আবারও দেশটির প্রধানমন্ত্রীর পদের জন্য লড়াই শুরু হয়েছে।
নিয়ম অনুযায়ী, প্রধানমন্ত্রী হতে হলে একজন প্রার্থীকে ১০০ জন কনজারভেটিভ আইন প্রণেতার সমর্থন পেতে হবে। তবেই তিনি প্রধানমন্ত্রীর পদে বসতে পারবেন। সে হিসেবে এখন পর্যন্ত প্রতিদ্বন্দ্বীতায় এগিয়ে আছেন ঋষি সুনাক। পর্যাপ্ত সমর্থন পাওয়া সাপেক্ষে আজ সোমবারই দেশটির প্রধানমন্ত্রী হিসেবে মনোনীত হতে পারেন তিনি।