বয়স কমছে দক্ষিণ কোরিয়ানদের!
কমে যাচ্ছে দক্ষিণ কোরিয়ানদের বয়স। খাতাকলমে আনুষ্ঠানিকভাবে দক্ষিণ কোরিয়ার বাসিন্দাদের বয়স এক থেকে দুই বছর কমানোর সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। খবর বিবিসি-র।
বৃহস্পতিবার দক্ষিণ কোরিয়ার পার্লামেন্ট কোরিয়ায় বয়স গণনার ঐতিহ্যবাহী দুটি পদ্ধতি বাতিল করতে আইন পাস করে।
২০২৩ সালের জুন থেকে কোনো আনুষ্ঠানিক নথিপত্রে 'কোরিয়ান এজ' ও 'কাউন্টিং এজ' ব্যবস্থায় বয়স দেওয়া যাবে না। এখন থেকে শুধুমাত্র আন্তর্জাতিকভাবে বয়স গণনার পদ্ধতি অনুসরণ করতে হবে।
বর্তমানে কোরিয়ায় সবচেয়ে বহুল ব্যবহৃত বয়স গণনা পদ্ধতি হলো 'কোরিয়ান এজ সিস্টেম'। এই হিসাব অনুসারে জন্মের সময় শিশুর বয়স এক বছর ধরা হয়। এরপর প্রত্যেক নতুন বছরের প্রথম দিনে এক বছর করে যোগ হতে থাকে।
কোরিয়ার আরেকটি পদ্ধতি হলো 'কাউন্টিং এজ'। এই পদ্ধতিতে জন্মের সময় বয়স শূন্য ধরা হলেও বছরের প্রথম দিন অর্থাৎ ১ জানুয়ারি সবার বয়স এক বছর করে বাড়তে থাকে। এই হিসাব মূলত ধূমপান ও মদ্যপানের বয়স নির্ধারণে ব্যবহৃত হয়।
তবে দক্ষিণ কোরিয়ায় আন্তর্জাতিকভাবে প্রচলিত বয়স গণনা পদ্ধতিও অনুসরণ করা হয়। আন্তর্জাতিকভাবে জন্ম বছরের যেদিনই হোক না কেন, তার পরের বছর একই মাসের একই দিনে প্রথম জন্মদিন হিসাব করা হবে।
এর মানে এই যে, ২০০২ সালের ৩১ ডিসেম্বর জন্ম নেওয়া ব্যক্তির বয়স এখন আন্তর্জাতিকভাবে ১৯, কাউন্টিং সিস্টেম পদ্ধতিতে ২০ এবং কোরিয়ান সিস্টেমে ২১ বছর।
বয়স নিয়ে বিভ্রান্তি কমাতে দেশটির সরকার বিশ্বব্যাপী চলমান গণনা পদ্ধতি অবলম্বনের সিদ্ধান্ত নিয়েছে।
ক্ষমতাসীন দল পিপল পাওয়ার পার্টির সংসদ সদস্য ইও স্যাং বাম পার্লামেন্টে বলেন, 'এই সংশোধনের লক্ষ্য অপ্রয়োজনীয় ব্যয় কমানো। বয়স গণনার বিভিন্ন পদ্ধতির কারণে আইনি ও সামাজিক বিরোধের পাশাপাশি নানা বিভ্রান্তি দেখা যায়।'