ব্রিটিশ আমলে তোলা ভারতবর্ষ ও দক্ষিণ এশিয়ার ৪,৬০০ ছবি এখন গেটি ইনস্টিটিউটের সংগ্রহে
ভারতীয় উপমহাদেশে ব্রিটিশরাজের ৮৯ বছর শাসনামালে ১৯ শতক ও ২০ শতকের গোড়ার দিকে ভারতবর্ষ ও দক্ষিণ এশিয়ায় তোলা ৪,৬০০-এর বেশি ছবির বিশাল ভান্ডার অধিগ্রহণের ঘোষণা দিয়েছে যুক্তরাষ্ট্রের লস অ্যাঞ্জেলেসভিত্তিক প্রতিষ্ঠান গেটি রিসার্চ ইনস্টিটিউট (জিআরআই)। খবর জানিয়েছে শিল্প ও সংস্কৃতি বিষয়ক অনলাইন প্রকাশনা হাইপারঅ্যালার্জিক।
পাঁচ দশক ধরে এ ছবিগুলো সংগ্রহ ও জড়ো করেছেন ১৯ শতকের ফটোগ্রাফি ডিলার কেন ও জেনি জ্যাকবসন। পশ্চিমা দৃষ্টিকোণ ও ইউরোপিয়ান লেন্সে ভারতবর্ষকে দেখা অনেক ছবি রয়েছে এ সংগ্রহে।
আগামী বছরগুলোতে এ সংগ্রহগুলোর ক্যাটালগ তৈরি করা হবে এবং এগুলো জিআরআই'র গবেষকদের জন্য উন্মুক্ত করা হবে। এ গবেষকেরা ছবিগুলোর মাধ্যমে উপনিবেশবাদ ও দ্রুত নগরায়নের সময়ে দক্ষিণ এশিয়ার সামাজিক ও সাংস্কৃতিক দৃষ্টিকোণকে পুনরায় পর্যবেক্ষণ করতে পারবেন।
এ ছবিগুলোতে ডেগ্যারোটাইপ থেকে শুরু করে ফটোক্রোম; ইত্যাদি বিভিন্ন পদ্ধতি ব্যবহার করা হয়েছে। এগুলোতে 'ব্রিটিশ শাসনের সময় ভারতবর্ষের করদ রাজ্যগুলো কীভাবে পরিচালিত হতো', তার ওপর আলোকপাত করা হয়েছে।
হাইপারঅ্যালার্জিক-এর কাছে জিআরআই কিছু ছবি প্রকাশ করেছে। এগুলোর মধ্যে রয়েছে দ্বিতীয় স্ত্রীর সঙ্গে ঐতিহ্যবাহী পোশাক পরিহিত নেপালের রানা বংশের জং বাহাদুর রানা, বৌদ্ধ মূর্তিশিল্প ও ভাস্কর্য, এবং ভারতের তামিলনাড়ুর মাদুরাইয়ে অবস্থিত মীনাক্ষী আম্মান মন্দিরের গোপুরাম তথা মনুমেন্টসদৃশ প্রবেশপথের ছবি।
জিআরআই'র তথ্যমতে, এ সংগ্রহে ২৩৫ জন চিত্রগ্রাহকের কাজ রয়েছে, যাদের মধ্যে ৬১ জন ছিলেন ভারতীয়। বাকিরা এসেছিলেন ব্রিটেন, ফ্রান্স, জার্মানি, জাঞ্জিবার, চীন, ও যুক্তরাষ্ট্র থেকে। সংগ্রহের বেশিরভাগ ছবি আর কোনো মার্কিন সংস্থার কাছে নেই। অর্থাৎ, এ ছবিগুলো মার্কিন গবেষকদের তখনকার দক্ষিণ এশিয়া নিয়ে সম্পূর্ণ নতুন ধারণা দিতে পারবে।
১৭ জানুয়ারি গেটির জ্যেষ্ঠ ছবি কিউরেটর ফ্রান্সেস টেরপাক এক বিবৃতিতে বলেন, 'দক্ষিণ এশিয়া বিষয়ক গবেষকদের জন্য এ ছবিগুলো ভিজ্যুয়াল ডকুমেন্ট হিসেবে গবেষণার প্রাথমিক উৎস হয়ে দাঁড়াবে।'
এর আগে ২০০৮ সালে জিআরআই জ্যাকবসনের প্রথম সংগ্রহ অধিগ্রহণ করেছিল। ওই সংগ্রহে ছিল ১৮৫০ ও ১৯২০ সালে ১৬০ জন ফটোগ্রাফারের তোলা মধ্যপ্রাচ্য ও উত্তর আফ্রিকার ছবি।