আর্থিক দুর্বলতার রিপোর্টে ধস শেয়ারের দামে! ৪৮ বিলিয়ন ডলার হারাল আদানি গ্রুপ
মার্কিন সংস্থা হিন্ডেনবার্গ রিসার্চ-এর প্রতিবেদন প্রকাশের পর বিপুল পতন ঘটেছে আদানি গ্রুপের সাতটি সংস্থার শেয়ারে। এর ফলে মার্কেট ভ্যালুতে ৪৮ বিলিয়ন ডলার খুইয়েছে গ্রুপটি।
এ সাতটি সংস্থা হলো আদানি ট্রান্সমিশন, আদানি টোটাল গ্যাস, আদানি এন্টারপ্রাইজ, আদানি পোর্টস অ্যান্ড স্পেশাল ইকোনমিক জোন, আদানি পাওয়ার, আদানি গ্রিন এনার্জি, ও আদানি উইলমার।
হিন্ডেনবার্গ রিসার্চ আদানি গ্রুপের শেয়ারে শর্ট পজিশনে বিনিয়োগ করেছে। তাদের দাবি, আদানি গ্রুপের ওপর বিপুল ঋণের বোঝা রয়েছে। সেই ঋণের নিরাপত্তা হিসেবে সংস্থারই শেয়ারই বন্ধক রাখা হয়েছে বলে উল্লেখ করা হয়েছে ওই প্রতিবেদনে।
ওই রিপোর্ট প্রকাশের প্রায় সঙ্গে সঙ্গে বিপুল পতন হয় আদানি গোষ্ঠীর ৭টি সংস্থার স্টকে। প্রতিক্রিয়ায় একটি বিবৃতিও দেয় আদানি গ্রুপ। তাতে বলা হয়, 'আমরা স্তম্ভিত যে, আমাদের সঙ্গে আলোচনা না করে, তথ্যের ইচ্ছাকৃত বিকৃতি ঘটিয়ে একটি ভিত্তিহীন রিপোর্ট প্রকাশ করা হয়েছে। এমন কিছু দাবি করা হয়েছে, যা আগেও সর্বোচ্চ আদালতে ভুল প্রমাণিত হয়েছে।'
এরপর ২৬ জানুয়ারি পাল্টা বিবৃতিতে হিন্ডেনবার্গ রিসার্চ জানায়, 'আমাদের রিপোর্ট প্রকাশের পর ৩৬ ঘণ্টারও বেশি সময় পেরিয়ে গিয়েছে। আদানি আমাদের উল্লেখ করা ইস্যুগুলোর একটিরও বিষয়ে সঠিক কোনও ব্যাখা দেয়নি।'
যা আছে হিন্ডেনবার্গ প্রতিবেদনে
মার্কিন সংস্থাটির রিপোর্টে দাবি করা হয়েছে, আর্থিক দিক থেকে বেশ চাপের মধ্যে আছে আদানি গ্রুপ। আদানি গ্রুপের যে সাতটি সংস্থা শেয়ার বাজারে নথিভুক্ত আছে, সেগুলোর মধ্যে প্রায় ৮৫ শতাংশ নেতিবাচক প্রভাব আছে। তাই আদানি গ্রুপ আর্থিকভাবে স্পর্শকাতর জায়গায় আছে।
এদিকে হিন্ডেনবার্গ রিসার্চ-এর বিরুদ্ধে 'শাস্তিমূলক' ব্যবস্থা নেওয়ার কথা জানিয়েছে আদানি গ্রুপ। এ ধরনের ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য কী কী সুযোগ আছে, তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে বলে দাবি করেছে আদানি গ্রুপ।