ইমরান খানের জামিনের মেয়াদ বৃদ্ধির আবেদন নাকচ পাকিস্তানের সন্ত্রাসবাদবিরোধী আদালতের
পাকিস্তানের একটি সন্ত্রাসবাদ বিরোধী আদালত তেহরিক-ই-ইনসাফ দলের চেয়ারম্যান এবং সাবেক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানের জামিনের মেয়াদ বৃদ্ধির আবেদন নামঞ্জুর করেছেন। খবর দ্য ডনের
দেশটির সরকারে রয়েছে পাকিস্তান ডেমোক্রেটিক মুভমেন্ট (পিডিএম) জোট সরকার। পিডিএমের রাজনীতিকরা ২০২২ সালের আগস্টে তোষাখানা আইনে এক মামলা দায়ের করেন ইমরানের বিরুদ্ধে। তারা অভিযোগ আনেন, তোষাখানায় উপহার জমা দেওয়া ও সম্পদের বিবরণ প্রকাশ করেননি ইমরান। এর তদন্তের উদ্যোগ নেয় পাকিস্তানের নির্বাচন কমিশন (ইসিপি) এবং ইমরান খানকে আগামী পাঁচ বছরের জন্য কোনো সরকারি পদের অযোগ্য ঘোষণা করে।
এই সিদ্ধান্তের প্রতিবাদে দেশব্যাপী নির্বাচন কমিশন অফিসের সামনে বিক্ষোভ কর্মসূচির আয়োজন করে পিটিআই। এজন্য সন্ত্রাসবাদকে উস্কানি দেওয়ার অভিযোগে মামলা করা হয় ইমরানের বিরুদ্ধে। তিনি এ মামলায় অন্তর্বর্তীকালীন জামিনে ছিলেন। তবে আদালতে উপস্থিত হচ্ছিলেন না। গত ২৪ অক্টোবর থেকে ১০ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত বিভিন্ন তারিখে তিনি আদালতে হাজিরাও দেননি। এরপর বুধবারেও (১৫ ফেব্রুয়ারি) তিনি আদালতে হাজির নাহলে তার অন্তর্বর্তীকালীন জামিনের মেয়াদ বৃদ্ধির আবেদন নাকচ করা হয়।
বিচারক রাজা জাওয়াদ আব্বাস হাসান তার সংক্ষিপ্ত রায়ে বলেন, 'বিদ্যমান রেকর্ডপত্র বলছে, বারবার উপস্থিত হওয়ার সুযোগ দেওয়ার পরও তিনি (ইমরান) আদালতে হাজির হতে ব্যর্থ হয়েছেন। এর পাশাপাশি একের পর এক দ্রুত জামিন দেওয়ার আবেদন করা হচ্ছে। এভাবে মামলার কার্যক্রম অনির্দিষ্টকাল বিলম্বিত করা সম্ভব নয়। ফলে ব্যক্তিগতভাবে গরহাজির থাকার ক্ষেত্রে আর কোনো ছাড় দেওয়া হবে না'।
রায়ে আরো বলা হয়, 'এই অবস্থায়, স্বাস্থ্যগত কারণে ব্যক্তিগত উপস্থিতিতে ছাড় দেওয়ার আবেদনটিও খারিজ করা হলো'।
এর আগে পিটিআই প্রধানকে আজ বুধবারেই হাজির হওয়ার সবশেষ তারিখ দিয়েছিলেন আদালত।