'হত্যাকারীরা' অপেক্ষা করছিল, তাই জুডিশিয়াল কমপ্লেক্সে গাড়ি থেকে নামিনি: ইমরান
শনিবার (১৮ মার্চ) ইসলামাবাদের জুডিশিয়াল কমপ্লেক্সে তোষাখানা মামলার শুনানিতে গিয়ে গাড়ি থেকে না নামার ব্যাপারে মুখ খুলেছেন পাকিস্তানের সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও পিটিআই চেয়ারম্যান ইমরান খান। তার দাবি, সেখানে 'অজ্ঞাত পরিচয়ধারীরা' তাকে হত্যার পরিকল্পনায় অপেক্ষা করে ছিল। সোমবার (২০ মার্চ) পাকিস্তানি সংবাদমাধ্যম ডনের এক প্রতিবেদনে জানানো হয়েছে এ তথ্য।
ইমরান বলেন, "আমি তখনই কমপ্লেক্স থেকে সরে না গেলে সেখানে রক্তপাত ঘটতো; কারণ পুলিশ, রেঞ্জার্স এবং অজ্ঞাতপরিচয় ব্যক্তিরা আমার দলের নেতাকর্মীদের সঙ্গে সংঘর্ষের জন্য প্রস্তুত হয়ে ছিল এবং ওই সংঘর্ষের ঘটনার আড়ালেই তারা আমাকে হত্যার পরিকল্পনা করেছিল।"
পাকিস্তানের বর্তমান ক্ষমতাসীনরা পিএমএল-এন দলের প্রধান সংগঠক মরিয়ম নওয়াজের নির্দেশে ওই পরিকল্পনা করেছিলেন বলে অভিযোগ করেন সাবেক প্রধানমন্ত্রী।
রোববার (১৯ মার্চ) বিকেলে নিজের জামান পার্কের বাসভবন থেকে এক ভিডিও বার্তায় ইমরান আরও হুঁশিয়ারি দেন, "বর্তমান শাসকরা এখনই সংযত না হলে খেলা আর তাদের হাতে থাকবে না।"
শনিবার তার অনুপস্থিতিতে তার বাড়িতে 'পুলিশের আক্রমণ' নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করে পিটিআই প্রধান বলেন, পুলিশ বাড়িতে ঢুকে যেভাবে তার জিনিসপত্র লুট করেছে, তা দেখে তিনি স্তব্ধ হয়ে গেছেন। তিনি বিস্ময় প্রকাশ করেন, সার্চ ওয়ারেন্ট ছাড়া এবং আদালতের আদেশ লঙ্ঘন করে নিজের বাড়িতে পুলিশের এমন তাণ্ডব কেউ সহ্য করতে পারে কি না।
বেলুচিস্তানে তাকে বন্দী করে হত্যা বা পাকিস্তানের রাজনীতি থেকে তার নাম মুছে ফেলার কথিত সরকারি পরিকল্পনার কথা উল্লেখ করে পিটিআই প্রধান বলেন, সরকার এবং এর পরিচালনাকারীদের সমর্থিত 'অপরাধীরা' যে তাকে হত্যার পরকল্পনায় রয়েছে, তা জেনেও তিনি আদালতে হাজির হওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন।
তবে তিনি এফ-৮ আদালতের পরিবর্তে ভিন্ন জায়গায় ভেন্যু নির্ধারণের অনুরোধ করেছিলেন বলেও উল্লেখ করেন।
"তারা আমাকে হত্যা করতে বা আমাকে গ্রেপ্তার করে (৩০ এপ্রিলের) নির্বাচন শেষ না হওয়া পর্যন্ত জেলে রাখার জন্য বেলুচিস্তানে নিয়ে যেতে চেয়েছিল," যোগ করেন ইমরান।
আর এই সমস্ত পরিকল্পনা মরিয়ম নওয়াজ শরীফের নির্দেশে হয়েছে বলে অভিযোগ করেন সাবেক প্রধানমন্ত্রী ইমরান।