টমেটো বিক্রি করে ২.৮ কোটি রুপি আয়!
বিগত দিনে টমটোর দাম রকেট গতিতে বেড়েছে ভারতের বিভিন্ন জায়গায়। ফলন নষ্ট হওয়ায় চাহিদার তুলনায় টমেটোর জোগান কম বাজারে। এর জেরে সেঞ্চুরি পার টমেটোর দামের। বাজারে গিয়ে টমেটোর দিকে তাকালেই যেন সে চোখ রাঙাচ্ছে।
টমেটোর এই মূল্যবৃদ্ধির জেরে যখম আম জনতার 'সর্বনাশ', তখন আবার 'পৌষ মাস' বহু কৃষকের। এই আবহে সামনে এল পুণের এক কৃষকের কথা। টমেটো বিক্রি করে ২.৮ কোটি রুপি (বাংলাদেশি মুদ্রায় প্রায় পৌনে ৪ কোটি টাকা) আয় করেছেন সেই কৃষক।
কোটিপতি এই কৃষকের নাম ঈশ্বর গায়কর। তবে এখানেই থেমে থাকতে চান না তিনি। তার কাছে থাকা আরও কয়েক হাজার ক্রেট টমেটো বিক্রি করে আরও ৭০ লাখ রুপি আয় করার লক্ষ্য স্থির করেছেন ঈশ্বর।
এদিকে টমেটো বিক্রি করে কোটিপতি হওয়া প্রসঙ্গে ঈশ্বর বলেন, 'একদিনে এই টাকা উপার্জন করিনি আমি। বিগত ৬-৭ বছর ধরে আমার ১২ একর জমিতে টমেটো চাষ করছি। এর আগে অনেকবার আমার লোকসানও হয়েছে। তবে আমি কখনও আশাহত হইনি। ২০২১ সালে আমার ১৮ থেকে ২০ লাখ রুপি লাভ হয়েছিল। তবে সেখানেও আমি থেমে থাকতে চাইনি।
'আমি এ বছর প্রায় ১৭ হাজার ক্রেট টমেটো বিক্রি করেছি। ৭৭০ রুপি থেকে ২,৩১১ রুপি রেটে এই ক্রেট বিক্রি করেছি। এখনও পর্যন্ত ২.৮ কোটি রুপি আয় করেছি আমি। আমার কাছে আরও ৪ হাজার ক্রেট টমেটো আছে। তা বিক্রি করে আরও ৭০ লাখ রুপি আয় করতে চাই। তাহলে এ বছর আমার মোট উপার্জন সাড়ে তিন কোটি রুপিতে গিয়ে ঠেকবে।'
নিজের এই সাফল্যের জন্য স্ত্রীর অবদানও স্বীকার করেন ঈশ্বর।
কোটিপতি এই কৃষক জানান, আগের মরশুমে এক ক্রেট টমেটো বিক্রি করে মাত্র ৩০ টাকা করে পাচ্ছিলেন তিনি। তবে এ বছর তার ভাগ্য বদলে গেছে। তিনি বলেন, 'এ বছর মনে হচ্ছে বাম্পার লটারি লেগে গেছে আমার।'
ঈশ্বর জানান, টমেটো ছাড়াও তিনি পেঁয়াজ ও ফুল চাষ করেন।
এদিকে প্রতিবেদন অনুযায়ী, দিল্লি, উত্তরপ্রদেশ ও বিহারে টমেটোর দাম কমাতে উদ্যত হয়েছে ভারতের কেন্দ্রীয় সরকার। এর ফলে রাজধানী এবং এই দুই রাজ্যের খুচরো বাজারে টমেটোর দাম কিছুটা নিয়ন্ত্রণে থাকবে বলে আশা করা হচ্ছে। আর তাতে কিছুটা হলেও স্বস্তি পাবে আমজনতা। বিভিন্ন জায়গায় ন্যায্যমূল্যে টমেটো বিক্রি করার দায়িত্ব দেওয়া হবে ন্যাশনাল কনজিউমার কোঅপারেটিফ ফেডারেশন এবং ন্যাশনাল অ্যাগ্রিকালচারাল কোঅপারেটিভ মার্কেটিং ফেডারেশনকে। দিল্লি, নয়ডা, লখনউ, কানপুর, বারাণসী, পটনা, মুজফ্ফরপুর, আগ্রায় ইতিমধ্যে ন্যায্যমূল্যে টমেটো বিক্রি শুরু হয়েছে।