বিশ্বের শীর্ষ চাল রপ্তানিকারক শস্যটির সব ধরনের ওপর বিধিনিষেধ দিয়েছে
বিশ্বের বৃহত্তম চাল রপ্তানিকারক ভারত আন্তর্জাতিক বাজারে যত ধরনের চাল রপ্তানি করে, তার সবগুলোর রপ্তানির ওপরই কোনো না কোনো মাত্রায় বিধিনিষেধ দিয়েছে। এতে বিশ্ববাজারে জোগান আরো সংকুচিত হয়ে পড়বে।
বিগত কিছু দিনের মধ্যে ভারত প্রথমে বাসমতি চাল রপ্তানির ক্ষেত্রে সর্বনিম্ন দর বেধে দেয়। এরপর সেদ্ধ চাল রপ্তানিতে বাড়তি শুল্কারোপ করে।
আগামী বছরের জাতীয় নির্বাচনের আগে, স্থানীয় বাজারে খাদ্যপণ্যের মূল্যবৃদ্ধির লাগাম টেনে ধরতে নরেন্দ্র মোদির সরকার এসব পদক্ষেপ নিয়েছে।
দক্ষিণ এশীয় দেশটির শস্যটি রপ্তানিতে লাগাম টানার এসব পদক্ষেপ বিশ্ববাজারে ব্যাপক প্রভাব ফেলবে বলে ধারণা করা হচ্ছে। এরমধ্যেই এশিয়ার বাজারে খাদ্যপণ্যটির প্রধান মূল্যসূচকগুলো ১৫ বছরের মধ্যে সর্বোচ্চ হয়েছে।
এই প্রেক্ষাপটে, চালের ধরন অনুসারে ভারতের দেওয়া বিধিনিষেধগুলো আলোচনা করা হলো।
বাসমতি
বাসমতি চাল রপ্তানির ন্যুনতম মূল্য প্রতি টনে ১,২০০ ডলার নির্ধারণ করেছে ভারত। রপ্তানির বিধিনিষেধকে ফাঁকি দিতে বাসমতি হিসেবে অবাসমতি চাল রপ্তানি বন্ধে এই উদ্যোগ নেয় নয়াদিল্লি।
২০২১-২২ অর্থবছরে ভারতের মোট চাল রপ্তানির ২০ শতাংশই ছিল বাসমতি।
অবাসমতি সিদ্ধ চাল
বাসমতি ছাড়া অন্যান্য সিদ্ধ চাল রপ্তানির ওপর ২০ শতাংশ শুল্কারোপ করেছে ভারত সরকার। ইতঃপূর্বে ব্লুমবার্গ নিউজ ভারত এই পদক্ষেপ নিতে পারে বলে সংবাদ প্রকাশ করে। পরে সরকারি সিদ্ধান্তের ঘটনায় সংবাদটির সত্যতা প্রমাণিত হয়।
২০২১-২২ অর্থবছরে ভারতের মোট চাল রপ্তানির ৩০ শতাংশ ছিল বিভিন্ন ধরনের অবাসমতি সিদ্ধ চাল।
অবাসমতি সাদা (আতপ) চাল
গত মাসে পরবর্তী সিদ্ধান্ত না জানানো পর্যন্ত এ ধরনের চাল রপ্তানি বন্ধ করা হয়। তবে কোনো কোনো দেশ তাদের খাদ্য নিরাপত্তার স্বার্থে এটি আমদানি করতে চাইলে– ভারত সরকার তাদের কাছে কিছু চালান বিক্রির অনুমতি দেবে বলে জানানো হয়।
২০২১-২২ অর্থবছরে ভারতের মোট চাল রপ্তানির শতাংশ ছিল সাদা (আতপ) চাল।
খুদ
গতবছর খুদ রপ্তানিতে নিষেধাজ্ঞা দেয় ভারত, যা এখনও কার্যকর আছে।
২০২১-২২ অর্থবছরে ভারতের মোট চাল রপ্তানিতে খুদ রপ্তানির পরিমাণ ছিল ২০ শতাংশ।