এলইডি বাতিতে ব্যবহৃত কোয়ান্টাম ডটের জন্য নোবেল পেলেন ৩ বিজ্ঞানী
২০২৩ সালে রসায়নে নোবেল পুরস্কার পেয়েছেন মুঙ্গি বাওয়েন্দি, লুইস ব্রুস এবং অ্যালেক্সি একিমভ। 'কোয়ান্টাম ডটের আবিষ্কার ও সংশ্লেষণের' জন্য তাদেরকে এ পুরস্কার দেওয়া হয়েছে।
এ কোয়ান্টাম ডট কম্পিউটারের মনিটর ও টেলিভিশনের পর্দাকে আলোকিত করে। এছাড়া এটি ব্যবহার করে চিকিৎসকেরা টিউমার অনুসন্ধান করেন।
'এ নোবেলজয়ী বিজ্ঞানীরা… এত ক্ষুদ্র কণা তৈরিতে সফল হয়েছেন যে এসব কণার গুণাবলি কোয়ান্টাম প্রপঞ্চ দিয়ে নির্ধারণ করা হয়। কোয়ান্টাম ডট নামক এ কণাগুলো এখন ন্যানোপ্রযুক্তিতে অতি গুরুত্বপূর্ণ হিসেবে বিবেচিত হচ্ছে,' এক বিবৃতিতে বলেছে দ্য নোবেল কমিটি ফর কেমিস্ট্রি।
'গবেষকেরা বিশ্বাস করেন ভবিষ্যতে এ কোয়ান্টাম ডট নমনীয় ইলেকট্রনিক্স, ক্ষুদ্র সেন্সর, পাতলা সোলার কোষ ও এনক্রিপ্টেড কোয়ান্টাম যোগাযোগে অবদান রাখবে।'
ন্যানোপার্টিকল ও কোয়ান্টাম ডট এলইডি বাতিতে ব্যবহার করা হয় এবং ক্যান্সার টিস্যু দূর করার সময় শল্যচিকিৎসকদের সহায়তা করতে পারে এগুলো।
দ্য রয়্যাল সুইডিশ অ্যাকডেমি অভ সায়েন্সেস-এর দেওয়া শতর্বর্ষেরও বেশি পুরোনো নোবেল পুরস্কারের আর্থিকমূল্য ১১ মিলিয়ন সুইডিশ ক্রাউন বা প্রায় নয় লাখ ৯৭ হাজার ৯৫৯ মার্কিন ডলার।
এর আগে বুধবার (৪ অক্টোবর) যথাসময়ের আগেই এ বছরের রসায়নে নোবেল বিজয়ী তিন বিজ্ঞানীর নাম নিজেদের ওয়েবসাইটে প্রকাশ করে দিয়েছিল নোবেল কর্তৃপক্ষ।
নোবেলবিজয়ী মুঙ্গি বাওয়েন্দি ম্যাসাচুসেটস ইনস্টিটিউট অভ টেকনোলজি (এমআইটি)-তে পড়ান। কলম্বিয়া ইউনিভার্সিটির এমেরিটাস অধ্যাপক লুইস ব্রুস। আর অ্যালেক্সি একিমভ ন্যানোক্রিস্টাল টেকনোলজি ইনক. নামক একটি প্রতিষ্ঠানে চাকরি করেন।
এর আগে ১৯৭২ সাল থেকে ২৩ বছর এটিঅ্যান্ডটি বেল ল্যাবস-এ ন্যানোক্রিস্টালস নিয়ে গবেষণা করেছিলেন ব্রুস।
বাওয়েন্দির জন্ম প্যারিসে। তিনি বেড়ে উঠেছেন ফ্রান্স, তিউনিসিয়া, ও যুক্তরাষ্ট্রে। ১৯৯০ সালে এমআইটিতে যোগদানের পর ১৯৯৬ সালে প্রতিষ্ঠানটিতে অধ্যাপক পদে আসীন হন তিনি।
অন্যদিকে সাবেক সোভিয়েত ইউনিয়নে একিমভের জন্ম। ১৯৯৯ সালে ন্যানোক্রিস্টাল টেকনোলজি ইনক.-এর প্রধান বিজ্ঞানী হন তিনি।
এ সপ্তাহের শুরুতে এ বছর চিকিৎসা ও পদার্থবিজ্ঞানে নোবেল পুরস্কারবিজয়ীদের নাম ঘোষণা করা হয়েছে।