গাজায় ইসরায়েলের অবরোধে জাতিসংঘের প্রধান 'গভীরভাবে ব্যথিত'
সংঘর্ষের জেরে গাজা উপত্যকায় 'সর্বাত্মক অবরোধের' ঘোষণা দিয়েছে ইসরায়েল। দেশটির এমন সিদ্ধান্তে 'গভীরভাবে ব্যথিত' বলে মন্তব্য করেছেন জাতিসংঘের প্রধান আন্তোনিও গুতেরেস।
অন্যদিকে 'সর্বাত্মক অবরোধ' সম্পর্কে ইসরায়েলের প্রতিরক্ষামন্ত্রী ইয়োভ গ্যালান্ট বলেন, "আমি গাজা উপত্যকা সম্পূর্ণ অবরোধের নির্দেশ দিয়েছি। বিদ্যুৎ, খাবার, গ্যাস—সেখানে সবকিছুই বন্ধ থাকবে। আমরা মানবপশুদের সঙ্গে লড়াই করছি এবং আমাদের সেভাবেই পদক্ষেপ নিতে হবে।"
এ সিদ্ধান্ত সম্পর্কে গুতেরেস বলেন, "আমি আজকের এই ঘোষণায় গভীরভাবে ব্যথিত যে, ইসরায়েল গাজা উপত্যকা সম্পূর্ণ অবরোধ করবে। সেখানে তারা বিদ্যুৎ, খাদ্য বা জ্বালানী প্রাপ্তির সুযোগ বন্ধ করে দেবে।"
ইসরায়েলি সামরিক বাহিনীর পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, দেশটির ৩ লাখ রিজার্ভ সৈন্যকে যুদ্ধের জন্য ডাকা হয়েছে। হামাসের হামলার পাল্টা প্রতিক্রিয়া হিসাবে গাজা উপত্যকায় বিমান হামলাও চালানো হচ্ছে।
গুতেরেস জানান, হামাসের আকস্মিক হামলার আগেও গাজার পরিস্থিতি ছিল 'অত্যন্ত ভয়ঙ্কর'। এমতাবস্থায় এই ঘটনা পরিস্থিতি আরও দ্রুত অবনতির দিকে নিয়ে যাবে।
সংঘাতপূর্ণ এলাকায় চিকিৎসা সরঞ্জাম, খাদ্য, স্বেচ্ছাসেবক এবং অন্যান্য মানবিক সহায়তার বিষয়টির প্রতি গুরুত্ব আরোপ করেন গুতরেস। ঐ এলাকায় ত্রাণ এবং প্রয়োজনীয় অন্যান্য সামগ্রী সরবরাহের সুবিধা প্রদান করা উচিত বলে মনে করেন তিনি।
গুতেরেস বলেন, "গাজা উপত্যকায় আটকে পড়া অসহায় ফিলিস্তিনি বেসামরিক নাগরিকদের জন্য জাতিসংঘের জরুরি মানবিক সহায়তা পৌঁছানোর সুযোগ প্রদানের জন্য আমি সকল পক্ষকে অনুরোধ করছি।" একইসাথে অবিলম্বে মানবিক সহায়তা প্রদানের জন্য তিনি আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের কাছে আবেদন করেছেন।
শনিবার (৭ অক্টোবর) সকালে গাজা থেকে ইসরায়েলে আকস্মিক হামলা চালায় স্বাধীনতাকামী সংগঠন হামাস। কয়েক হাজার রকেট হামলা চালানোর পাশাপাশি ইসরায়েলের ভূখণ্ডে ঢুকে পড়েন হামাসের যোদ্ধারা। বন্দি করা হয় বহু ইসরায়েলি নাগরিককে।
হামাসের এই হামলায় এখন পর্যন্ত ইসরায়েলের ৮০০-র বেশি মানুষ নিহত হয়েছেন। আহত হয়েছে প্রায় ২৫০০ জন।
অন্যদিকে হামাসের হামলার জবাবে গাজায় বিমানহামলা চালাচ্ছে ইসরায়েল। ইসরায়েলি হামলায় গাজায় এখন পর্যন্ত অন্তত ৫০০ জনের মৃত্যু হয়েছে। আহত হয়েছে অন্তত ৩০০ জন।