ইসরায়েলে ড্রোন হামলার দাবি করল ইয়েমেনের হুতি গোষ্ঠী
গাজায় যুদ্ধ শুরুর প্রতিবাদে ইসরায়লের উদ্দেশ্যে ড্রোন আক্রমণের দায় স্বীকার করেছে ইয়েমেনের ইরান-সমর্থিত বিদ্রোহী হুতি গোষ্ঠী।
হুতি সরকারের প্রধানমন্ত্রী আব্দেলআজিজ বিন হাবতুর বার্তা সংস্থা এএফপিকে বলেছেন, 'এসব ড্রোন ইয়েমেন রাষ্ট্রের।'
এর আগে লোহিত সাগরের তীরবর্তী এইলাত শহরের ওপর একটি ড্রোন গুলি করে ভূপাতিত করে ইসরায়েলি সেনাবাহিনী। এ ঘটনা এইলাতে আতঙ্ক ছড়ায়, বাসিন্দারা ভয় পেয়ে আশ্রয়ের জন্য ছোটাছুটি আরম্ভ করেন।
পরে এক সামরিক বিবৃতিতে জানানো হয়, ড্রোন আক্রমণে বেসামরিক নাগরিকদের জন্য কোনো হুমকি বা ঝুঁকি নেই।
আল জাজিরার পূর্ব জেরুজালেমের সাংবাদিক সারা খায়রাত বলেছেন, এ ঘটনা ইসরায়েলের জন্য উদ্বেগের বিষয়। কেননা দেশটি ইতিমধ্যে উত্তর-পশ্চিম ফ্রন্টে ইরান-সমর্থিত হুজবুল্লাহর সঙ্গে সঙ্ঘাতে লিপ্ত রয়েছে।
এর আগে গত ২৭ অক্টোবর মিসরের লোহিত সাগরের তীরবর্তী শহর তাবা ও নুয়েইবা-তে, ইসরায়েলি সীমান্তের কাছে ড্রোন বিস্ফোরণ হয়েছিল। ইসরায়েলের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় তখন বলেছিল, এ বিস্ফোরণ হুতিদের কাজ।
গাজায় প্রতিনিয়ত ইসরায়েলের বিমান হামলায় নিহত হচ্ছে শত শত বেসামরিক নাগরিক। প্রতি ১০ মিনিটে গড়ে একটি শিশু নিহত হচ্ছে।
এছাড়া গাজা উপত্যকার একমাত্র ক্যানসার হাসপাতালেও হামলা চালিয়েছে ইসরায়েল।
তিন সপ্তাহের বেশি সময় ধরে চলতে থাকা হামলায় গাজায় মৃতের সংখ্যা ৮ হাজার ছাড়িয়েছে। এই নিহতদের মধ্যে বেশিরভাগই নারী ও শিশু।
এই পরিস্থিতিতে গাজায় যুদ্ধবিরতির আহ্বান প্রত্যাখ্যান করেছেন ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু।
নেতানিয়াহু বলেন, যুদ্ধবিরতির ব্যাপারে তিনি ইসরায়েলের অবস্থান স্পষ্ট করতে চান। ১৯৪১ সালে পার্ল হারবারে বোমা হামলা বা ২০০১ সালের সন্ত্রাসী হামলার পর যুক্তরাষ্ট্র যেমন যুদ্ধবিরতিতে রাজি হয়নি, তেমনি ৭ অক্টোবরের ভয়াবহ হামলার পর ইসরায়েলও যুদ্ধবিরতিতে রাজি হবে না বলে মন্তব্য করেন তিনি।