ইসরায়েলে ইরানের হামলা ৫ ঘণ্টার মতো স্থায়ী ছিল: যুক্তরাষ্ট্র
ইসরায়েলে শুরু হওয়া ইরানের নজিরবিহীন হামলা প্রশমিত হয়েছে বলে মনে করছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র। দুই মার্কিন কর্মকর্তা সিএনএন-এর কাছে এমনটাই জানিয়েছেন।
ঐ কর্মকর্তারা জানান, তেহরানের আক্রমণ প্রায় পাঁচ ঘন্টা স্থায়ী ছিল। যার ফলে ইতোমধ্যেই মধ্যপ্রাচ্য এক অজানা সংকটের মুখোমুখি হয়েছে।
অন্যদিকে ইরান জানায়, চলতি মাসের শুরুতে সিরিয়ার দামেস্কে ইরানি কনস্যুলেটে ইসরায়েলি হামলার প্রতিশোধ হিসেবে রাতারাতি হামলা চালানো হয়েছে।
আর বাইডেন প্রশাসন জানায়, ইসরায়েলে ইরানের ১০০টিরও বেশি ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্রসহ প্রায় সমস্ত ড্রোন ও ক্ষেপণাস্ত্র আকাশ থেকে ছিটকে গেছে।
মার্কিন প্রশাসনের একজন সিনিয়র কর্মকর্তা সিএনএনকে জানান, জো বাইডেন ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুকে ফোন করেছিলেন। মার্কিন প্রেসিডেন্ট বলেন, "ইসরায়েল আজ রাতে জয়ী হয়েছে বলে বিবেচনা করা উচিত। কারণ বর্তমান মার্কিন মূল্যায়ন হলো, ইরানের আক্রমণগুলি অনেকাংশে ব্যর্থ হয়েছে। ইসরায়েল উচ্চতর সামরিক সক্ষমতা প্রদর্শন করেছে।"
আর মার্কিন প্রতিরক্ষা সচিব লয়েড অস্টিন ইসরায়েলি প্রতিরক্ষামন্ত্রী ইয়োভ গ্যালান্টকে জানান, ইরানের হামলার সম্ভাব্য পাল্টা জবারের আগে যুক্তরাষ্ট্রকে যেন অবহিত করা হয়। এক্ষেত্রে ইসরায়েলের নিরাপত্তা ক্যাবিনেট ইসরায়েলের প্রতিক্রিয়া সম্পর্কে সিদ্ধান্ত নিতে তিন সদস্যের 'ওয়্যার ক্যাবিনেট' অনুমোদন দিয়েছে।
এবিসি নিউজকে একজন জ্যেষ্ঠ মার্কিন কর্মকর্তা বলেছেন, ইরান ৪০০–৫০০ ড্রোন ও মিসাইল ইসরায়েলকে লক্ষ্য করে নিক্ষেপ করেছে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
ইসরায়েল ডিফেন্স ফোর্স বা আইডিএফের মুখপাত্র রিয়ার এডমিরাল ড্যানিয়েল হ্যাগারি জানান, কিছু ক্ষেপণাস্ত্র ইসরায়েলের অভ্যন্তরে আঘাত করেছে এবং একটি সামরিক ঘাঁটির সামান্য ক্ষতি হয়েছে। তবে কোনো হতাহতের ঘটনা ঘটেনি।
পুরো ইসরায়েল জুড়ে সাইরেনের শব্দের পাশাপাশি জেরুসালেমে বিস্ফোরণের শব্দ শোনা গেছে। একইসাথে ইসরায়েলের আকাশ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা কিছু বস্তুকে গুলি করে ভূপাতিত করেছে।
ইরানের সুপ্রিম লিডার আয়াতুল্লাহ আলী খামেনি এক্স-এ (সাবেক টুইটার) এক পোস্টে ইংরেজি ভাষায় লিখেছেন: 'খল জায়োনিস্ট রেজিমকে শাস্তি দেওয়া হবে।'
গত ১ এপ্রিল সিরিয়ার রাজধানী দামেস্কে ইরানি কনস্যুলেটে সন্দেহজনক ইসরায়েলি বোমা হামলায় ইরানের রেভল্যুশনারি গার্ডের সাত কর্মকর্তা নিহত হন। তাদের মধ্যে দুজন জ্যেষ্ঠ কমান্ডারও ছিলেন।
ইসরায়েল ওই হামলার দায় স্বীকার বা অস্বীকার কোনোটিই করেনি। এ ঘটনায় ইসরায়েলের বিরুদ্ধে প্রতিশোধমূলক হামলা চালানোর হুমকি দিয়ে আসছিল ইরান।
অনুবাদ: মোঃ রাফিজ খান