পাকিস্তানে জনসংখ্যা বিস্ফোরণ
২০১৭ সালের তুলনায় পাকিস্তানের জনসংখ্যা ১৬.৩ শতাংশ বেড়ে গিয়ে ২৪১.৫ মিলিয়ন হয়েছে (আজাদ জম্মু ও কাশ্মীর এবং গিলগিট-বালতিস্তান বাদে)। সাত বছরের ব্যবধানে দেশটির জনসংখ্যা অতিরিক্ত হারে বৃদ্ধি পেয়েছে।
অর্থনৈতিক সমীক্ষা ২০২৩-২৪ অনুসারে, পাকিস্তানের জাতীয় পর্যায়ে জনসংখ্যা বৃদ্ধির হার ২.৫৫ শতাংশ। নারীরা পাকিস্তানের জনসংখ্যার প্রায় ৫০ শতাংশ হওয়া সত্ত্বেও দেশের শ্রমশক্তিতে তাদের অংশগ্রহণ পুরুষদের তুলনায় যথেষ্ট কম।
দেশটির শহরাঞ্চলে জনসংখ্যা বৃদ্ধির হার ৩.৬৫ শতাংশ এবং গ্রামীণ এলাকায় জনসংখ্যা বৃদ্ধির হার ১.৯০ শতাংশ। গ্রাম ছেড়ে মানুষ শহরমুখী হওয়ায় শহরের জনসংখ্যা বৃদ্ধির হার বেশি।
পাকিস্তানে জনসংখ্যার ঘনত্ব ২০১৭ সালে প্রতি বর্গ কিলোমিটারে ছিল ২৬০.৮৮। সেখান থেকে ঘনত্ব বেড়ে ২০২৩ সালে বর্গ কিলোমিটারে জনসংখ্যার ঘনত্ব ৩০৩ হয়েছে। অন্যদিকে, পরিবারের গড় আকার ২০১৭ সালের ৬.৩৯ থেকে কমে ২০২৩ সালে ৬.৩০ হয়েছে।
২০১৭ থেকে ২০২৩ সালের মধ্যে পাকিস্তানের শহরের জনসংখ্যা ৭৫.৬৭ মিলিয়ন থেকে বেড়ে ৯৩.৭৫ মিলিয়ন হয়েছে, যা দেশটিকে দক্ষিণ এশিয়ার মধ্যে শহরে জনসংখ্যার ঘনত্বের দিক থেকে প্রথম সারির দেশ করে তুলেছে। দেশটির মোট জনসংখ্যার প্রায় ৩৯ শতাংশ শহরাঞ্চলে বাস করে।
নগরায়ণ একটি দেশের অর্থনীতি ও উন্নয়নকে প্রভাবিত করে। যার ফলে বিভিন্ন ক্ষেত্রে পরিবর্তন আসে যেমন শ্রমবাজারের সুযোগ, পারিবারিক কাঠামো, শিক্ষা, স্বাস্থ্য, পরিবেশ ব্যবস্থাপনা, নিরাপত্তা ব্যবস্থা এবং শাসন।
পাকিস্তানের ২০২৩ সালের জনসংখ্যা ও আবাসন আদমশুমারি থেকে জানা গেছে, খাইবার পাখতুনখোয়া প্রদেশ ছাড়া দেশটির বেশিরভাগ প্রদেশে শহরের জনসংখ্যা বেশি।
সিন্ধু প্রদেশের শহরগুলোতে শহুরে জনসংখ্যা হার সবচেয়ে বেশি। প্রদেশটিতে ২০১৭ সালে জনসংখ্যার হার ৫১.৮৯ শতাংশ থেকে বেড়ে গিয়ে ২০২৩ সালে ৫৩.৭৩ শতাংশে পৌঁছেছে শতাংশ৷ একই সময়ের মধ্যে শহুরে জনসংখ্যা ৩৬.৮৬ শতাংশ থেকে ৪০.৭০ শতাংশে বৃদ্ধি পেয়ে পাঞ্জাব প্রদেশ দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে৷ বেলুচিস্তানের শহুরে জনসংখ্যা ২০১৭ সালের ২৭.৬২ শতাংশ থেকে বেড়ে ২০২৩ সালে ৩০.৯৬ শতাংশ হয়েছে৷
তবে খাইবার পাখতুনখোয়া অন্যান্য প্রদেশের থেকে আলাদা কারণ ফেডারেল অ্যাডমিনিস্টার্ড ট্রাইবাল এলাকাকে (এফএটিএ) খাইবার পাখতুনখোয়ার সাথে একীভূত করার কারণে সেখানে গ্রামীণ জনসংখ্যার শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছে৷
ফেডারেল অ্যাডমিনিস্টার্ড ট্রাইবাল এলাকা উত্তরপশ্চিম পাকিস্তানের একটি আধা-স্বায়ত্তশাসিত আদিবাসী অঞ্চল ছিল যেটি ২০১৮ সালে খাইবার পাখতুনখোয়ার সাথে একীভূত করা হয়।
অনুবাদ: তাসবিবুল গনি নিলয়