নিম্ন জন্মহার ও বয়স্ক জনসংখ্যা সমস্যার মোকাবিলায় জনসংখ্যা মন্ত্রণালয় চালু করছে দ. কোরিয়া
নিম্ন জন্মহার ও দ্রুত বাড়তে থাকা বয়স্ক জনসংখ্যা সমস্যার সমাধানে নতুন জনসংখ্যা কৌশল মন্ত্রণালয় চালু করবে দক্ষিণ কোরিয়া। গত সোমবার এ কথা জানিয়েছেন দেশটির কর্মকর্তারা।
জন্মহার কমে যাওয়া এবং বয়স্ক মানুষের সংখ্যা দ্রুত বাড়তে থাকা দক্ষিণ কোরিয়ার অন্যতম বড় চ্যালেঞ্জ।
ক্ষমতাসীন দলের সঙ্গে উচ্চপর্যায়ের বৈঠক করার পর জনসংখ্যা মন্ত্রণালয় খোলার এ পরিকল্পনা জানায় দক্ষিণ কোরিয়া সরকার। এ মন্ত্রণালয় চালু করার জন্য জুলাইয়ের মধ্যে সংশোধিত সরকারি সংস্থা আইন প্রস্তাব করা হবে।
চালু হওয়ার পর নতুন মন্ত্রণালয়টি নিম্ন জন্মহার, বয়স্ক জনসংখ্যা, জনশক্তি ও অভিবাসনের মতো ডেমোগ্রাফিক (জনমিতিক) সমস্যা-সংক্রান্ত কৌশল ও পরিকল্পনার ওপর গুরুত্ব দেবে।
জনসংখ্যা নীতি ও মধ্য থেকে দীর্ঘমেয়াদি কৌশল প্রণয়নের দায়িত্ব পালন করবে নতুন মন্ত্রণালয়টি। বর্তমানে এসব দায়িত্ব পালন করে স্বাস্থ্য ও অর্থ মন্ত্রণালয়।
কর্মকর্তারা জানান, নিম্ন জন্মহার রোধে বিভিন্ন কর্মসূচির জন্য সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়গুলোতে বাজেট বরাদ্দ ও সমন্বয়ের দায়িত্বও পালন করবে জনসংখ্যা মন্ত্রণালয়।
চালু হওয়ার পর নতুন মন্ত্রণালয় ডেমোগ্রাফিক চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করতে জনকর্মসূচি ও প্রচারণা বাড়াবে। এছাড়া ডেমোগ্রাফিক তথ্যের ওপর গবেষণা করবে বলেও জানান কর্মকর্তারা।
সংশোধিত বিল পাশ হয়ে সমস্ত প্রক্রিয়া সম্পন্ন হওয়ার তিন মাস পর নতুন মন্ত্রণালয় কার্যক্রম শুরু করতে পারে বলে জানিয়েছে সরকার।
স্ট্যাটিস্টিকস কোরিয়া তথ্য অনুসারে, ২০২২ সালে সন্তান জন্মদান বা ফার্টিলিটি হারে বিশ্বে সবার নিচে ছিল দক্ষিণ কোরিয়া। ওই বছর দেশটির জন্মহার ছিল ০. ৭৮। এ হার ২০২৫ সাল নাগাদ ০.৬৫-এ নেমে যাওয়ার আশঙ্কা রয়েছে বলে পূর্বাভাস দিয়েছে প্রতিষ্ঠানটি।
দক্ষিণ কোরিয়াসহ অন্যান্য পূর্ব এশীয় দেশগুলো মারাত্মক জনসংখ্যা-সমস্যায় ভুগছে। এসব দেশে বয়স্ক জনসংখ্যার হার ক্রমেই বাড়ছে।
ইউরোপীয় বিভিন্ন দেশও প্রবীণ জনসংখ্যা বৃদ্ধি নিয়ে একই সমস্যার মুখে পড়েছে। তবে অভিবাসনের কারণে ওইসব দেশে এর প্রভাব কিছুটা কম পড়ছে।
কিন্তু দক্ষিণ কোরিয়া, জাপান ও চীনের মতো দেশগুলো জনসংখ্যা হ্রাস মোকাবিলায় অভিবাসনে তেমন আগ্রহী নয়।