ইউক্রেনই পুতিনকে থামাবে, ন্যাটো সম্মেলনে বলিষ্ঠ ভাষণ বাইডেনের
ইউক্রেন-ই পুতিনকে থামাবে ন্যাটো সম্মেলনে একথা বলেছেন আমেরিকার প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন। রাশিয়ার আগ্রাসন থেকে ইউক্রেনকে রক্ষার পক্ষে এসময় তিনি বলিষ্ঠ বক্তব্য দেন।
বয়সের ভার সত্ত্বেও তিনি এখনও আমেরিকাকে নেতৃত্ব দেওয়ার সামর্থ্য রাখেন– ন্যাটো সম্মেলনে উপস্থিত মিত্র দেশের প্রতিনিধি আর নিজ দেশের জনগণের কাছে এ ভাষণের মাধ্যমে সে বার্তাই পৌঁছাতে চেয়েছেন তিনি।
বুধবার (১০ জুলাই) আমেরিকার ফেডারেল হলে এই সম্মেলন শুরু হয়। কথার খেই হারানো বা উলটাপালটা বলার যেসব ঘটনা সাম্প্রতিক সময়ে বাইডেনের কথায় দেখা গেছে, এদিন বক্তব্য প্রদানের সময় তেমনটা ঘটেনি। বরং বলিষ্ঠ ও আত্মবিশ্বাসী সুরেই তিনি কথা বলেছেন।
ন্যাটো সম্মেলনে বাইডেন বলেছেন, "পুতিন ইউক্রেনকে সম্পূর্ণ পদানত করতে চান, এর কমকিছু তাঁর উদ্দেশ্য নয়… তিনি ইউক্রেনকে মানচিত্র থেকে মুছে ফেলতে চান। তবে ইউক্রেনই পারবে পুতিনকে থামাতে।"
ইতিহাসের যেকোনো সময়ের চেয়ে ন্যাটো সামরিক জোট বর্তমানে অনেকবেশি শক্তিশালী বলেও মন্তব্য করেন তিনি।
গত ২৭ জুন রিপাবলিকান দলের প্রেসিডেন্ট প্রার্থী ডোনাল্ড ট্রাম্পের বিপক্ষে প্রেসিডেন্ট নির্বাচনপূর্ব টেলিভিশন বিতর্কের সময় কথার খেই হারিয়েছিলেন ৮১ বছরের জোসেফ বাইডেন। যার ফলে আগামী ৫ নভেম্বরের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে তিনি ট্রাম্পের কাছে হারবেন– এমন আশঙ্কা দানা বাধে বাইডেনের দল ডেমোক্র্যাট শিবিরে। ডেমোক্র্যাট দলের বড় দাতারাও একই শঙ্কার কথা জানিয়েছেন। এই অবস্থায়, ওয়াশিংটনে অনুষ্ঠিত ন্যাটো সম্মেলনে বাইডেন বলিষ্ঠ বক্তব্য প্রদানের মাধ্যমে মানসিকভাবে এখনও দৃঢ় আছেন এমন বার্তা দেবেন– এমন অনুমান করেছিলেন রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকরা। আর সেটাই ফলেছে।
২৭ জুনের বিতর্কের বাজে পারফরম্যান্সের পর এটাই বাইডেনের সর্বোচ্চ কোনো আন্তর্জাতিক প্ল্যাটফর্মে দেওয়া ভাষণ। বলিষ্ঠ বক্তব্য প্রদানের মাধ্যমে বাইডেন সমালোচনা কিছুটা কাটিয়ে উঠতে পারবেন বলে আশাও করছে তাঁর হোয়াইট হাউজ টিম। তবে ন্যাটো সম্মেলনে উপস্থিত কয়েকজন কূটনীটিক রয়টার্সকে বলেছেন, এরমধ্যেই তাঁর ভাবমূর্তির যে ক্ষতি হয়েছে এভাবে তা মুছে ফেলা যাবে না।