নাসরুল্লাহর সম্ভাব্য উত্তরসূরি হাশেম সাফিয়েদ্দিনকেও হত্যার তথ্য নিশ্চিত করল ইসরায়েল
গত মাসে ইসরায়েলি হামলায় নিহত হিজবুল্লাহ প্রধান হাসান নাসরুল্লাহর উত্তরসূরি হাশেম সাফিয়েদ্দিনকেও হত্যা করেছে ইসরায়েল।
ইসরায়েলের সামরিক বাহিনী মঙ্গলবার (২২ অক্টোবর) জানিয়েছে, তিন সপ্তাহ আগে বৈরুতের দক্ষিণাঞ্চলে একটি হামলায় সাফিয়েদ্দিন নিহত হন। তবে, এবারই প্রথম তারা তার মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করেছে। এর আগে এই মাসে, ইসরায়েল জানিয়েছিল যে সাফিয়েদ্দিন 'সম্ভবত' নিহত হয়েছেন।
ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহু গত ৮ অক্টোবর এক ভিডিও বার্তায় হিজবুল্লাহর নিহত প্রধান হাসান নাসরুল্লাহর দুই উত্তরসূরিকে হত্যার দাবি করেন। তিনি বলেন, "আমরা হিজবুল্লাহর সক্ষমতা দুর্বল করেছি। আমরা হাজার হাজার সন্ত্রাসীকে হত্যা করেছি, যার মধ্যে রয়েছে (হাসান) নাসরাল্লাহ, এবং তার পরবর্তী দুই উত্তরসূরি"। তবে এই দুই ব্যক্তির নাম তখন উল্লেখ করেননি তিনি।
সাফিয়েদ্দিনের মৃত্যু নিশ্চিতের পর হিজবুল্লাহর পক্ষ থেকে তাৎক্ষণিক কোনো প্রতিক্রিয়া জানানো হয়নি। ইসরায়েলের সামরিক প্রধান লেফটেন্যান্ট জেনারেল হেরজি হালেভি বলেছেন, "আমরা নাসরাল্লাহ, তার উত্তরসূরি এবং হিজবুল্লাহর বেশিরভাগ শীর্ষ নেতৃত্বকে লক্ষ্য করেছি। যারা-ই ইসরায়েলের নাগরিকদের নিরাপত্তার জন্য হুমকি সৃষ্টি করবে তাদের আমরা খুঁজে বের করব"।
হিজবুল্লাহ মধ্যপ্রাচ্যে ইরানের সবচেয়ে শক্তিশালী সশস্ত্র মিত্র এবং গাজার ফিলিস্তিনি যোদ্ধাদের সমর্থনে ইসরায়েলের বিরুদ্ধে লড়াই করছে। সীমান্তে হিজবুল্লাহর সঙ্গে বছরের পর বছর ধরে চলমান সংঘাতের পর, লেবাননে ইসরায়েল তার আক্রমণ তীব্রতর করেছে। তবে সম্প্রতি ইসরায়েলি বিমান হামলায় হিজবুল্লাহর শীর্ষ নেতাদের একের পর এক হত্যাকাণ্ডে গোষ্ঠীটি বড় ধরনের আঘাত পেয়েছে।
সাফিয়েদ্দিন হিজবুল্লাহর জিহাদ কাউন্সিলের সদস্য হিসেবে নিযুক্ত ছিলেন, যা গোষ্ঠীটির সামরিক কার্যক্রম পরিচালনার দায়িত্বে রয়েছে। এছাড়া তিনি গোষ্ঠীটির আর্থিক ও প্রশাসনিক বিষয় তদারকির জন্য নির্বাহী কাউন্সিলেরও দায়িত্বে ছিলেন। ইসরায়েলের সঙ্গে সংঘাতের গত বছরের ঘটনাগুলোর সময় সাফিয়েদ্দিন হিজবুল্লাহর মুখপাত্র হিসেবে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছিলেন, বিশেষ করে নাসরুল্লাহ নিরাপত্তার কারণে বিভিন্ন অনুষ্ঠানে উপস্থিত হতে না পারায় তার হয়ে বক্তব্য দিতেন তিনি।