কলম্বিয়া, বিশ্বের বৃহত্তম ভাড়াটে সৈন্য রপ্তানিকারক: 'আমরা ফুটবল খেলোয়াড়ের মতো, কাজ দেখে নেয়’
ইয়েসন সানচেজ যখন ইউক্রেনে যাওয়ার যাত্রা শুরু করেন, তখন তিনি মৃত্যুর জন্য প্রস্তুত ছিলেন। ৩১ বছর বয়সী অবসরপ্রাপ্ত কলম্বিয়ান সেনা সদস্য পরিবারকে যুদ্ধের সম্ভাব্য পরিণতির ব্যাপারে সতর্ক করেছিলেন এবং রিপ্যাট্রিয়েশন ইনস্যুরেন্স [এমন একটি বীমা, যা বিদেশে মৃত্যু হলে মৃতদেহ নিজ দেশে ফিরিয়ে আনার খরচ বহন করে] কিনেছিলেন। তার প্রধান অনুপ্রেরণা ছিল টাকা। তিনি টিকটক ভিডিও দেখেছিলেন যেখানে তার স্বদেশী মানুষরা বলেছিলেন, ইউক্রেনীয় সেনাবাহিনীর স্বেচ্ছাসেবী হিসেবে প্রতি মাসে ১৯ মিলিয়ন পেসো (প্রায় ৪,৩০০ ডলার) পাবেন। তাই তিনি ভিন্ন দেশের হয়ে যুদ্ধে যোগ দিতে প্রায় ২ হাজার ৩০০ ডলার সঞ্চয় করে বোগোটা থেকে মাদ্রিদ, সেখান থেকে পোল্যান্ড এবং শেষে স্থলপথে ইউক্রেনে প্রবেশ করেন।
সানচেজের মতোই আর্থিক প্ররোচনা হাজার হাজার কলম্বিয়ানকে ইউক্রেন বা সুদানের মতো ভিন্ন দেশে যুদ্ধ করতে অনুপ্রেরণা দিয়েছে। অনেকে সংযুক্ত আরব আমিরাত বা মেক্সিকোতে বডিগার্ড বা সিকিউরিটি গার্ড হিসেবে কাজ করতে পছন্দ করেন। তাদের সবার মধ্যেই কিছু দিক থেকে মিল রয়েছে– তারা সাবেক সেনা সদস্য, যারা কম বয়সে অবসর নেন এবং অন্যান্য কোনো কাজের জন্য বিশেষ প্রশিক্ষণ পান না। সেনা হিসেবে তারা কলম্বিয়ান সরকারের কাছ থেকে একটি ছোট অবসর ভাতা পান। সামান্য এই ভাতার জন্য বিদেশে কাজ করে পাঁচ গুণ বেশি অর্থ উপার্জনের প্রস্তাব তাদের কাছে আরও আকর্ষণীয়।
ইউক্রেনে সানচেজ বেশি দিন টিকতে পারেননি। তিনি ছয় মাস পর ইউক্রেন ত্যাগ করেন, কারণ আসল বেতন প্রতিশ্রুত ৪ হাজার ৩০০ ডলারের চেয়ে অনেক কম ছিল। তিনি বলেন, "আমি প্রতারিত বোধ করছিলাম।"
সানচেজের সাথে তার ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা বাজে আচরণ করেছিলেন। তিনি বলেন, "আমাদের বন্দি করে রাখা হত। স্থানীয়দের সাথে আমার কিছু সহকর্মী স্প্যানিশে কথা বলার কারণে আমাদের বুকডন দিতে নিয়ে যাওয়া হতো। স্পানিশে কথা বলা নিষিদ্ধ ছিল। আমি বলেছিলাম আমরা স্বেচ্ছাসেবী, বন্দী নয়।"
সানচেজের সঙ্গে ৪০ জন সেনা সদস্য আন্তর্জাতিক সৈন্যদল থেকে পালিয়ে যান। এখন তিনি মেক্সিকোতে বিভিন্ন কার্টেলের সাথে কাজ করার কথা বা আফ্রিকার "প্রকল্প" নিয়ে ভাবছেন, "যেটি এখন বেশ আলোড়ন সৃষ্টি করছে।"
ভাড়াটে সৈন্য কিংবা নিরাপত্তা রক্ষীর প্রতি কলোম্বিয়ানদের আগ্রহ অনেকটা যুক্তিসংগত। কলম্বিয়ার সেনাবাহিনী বিশ্বের অন্যতম বৃহত্তম ও সেরা প্রশিক্ষিত বাহিনী। কনসালটেন্সি প্রতিষ্ঠান কন্ট্রোল রিস্কসের জাতীয় নিরাপত্তা বিশেষজ্ঞ লরা লিজারাজো বলেন, "তারা ৬০ বছর ধরে কাউন্টারইনসার্জেন্সি তত্ত্বাবধানে [সামরিক তত্ত্ব বা কৌশল, যেটি বিদ্রোহী বা সশস্ত্র সংগ্রামকারী গোষ্ঠীগুলোর বিরুদ্ধে লড়াই করতে ব্যবহৃত হয়] প্রশিক্ষণ নিচ্ছে এবং তারা প্রকৃতপক্ষে যুদ্ধ করেছে। তাই বিদেশি সেনাবাহিনী ও বেসরকারি নিরাপত্তা প্রতিষ্ঠানগুলোর কাছে তারা অত্যন্ত চাহিদাসম্পন্ন।" বলছেন। ২০০০ সালের পর থেকে কলম্বিয়ান ভাড়াটে সৈন্যদের উপস্থিতি রাশিয়া, ইয়েমেন, লিবিয়া, সোমালিয়া এবং আফগানিস্তানসহ বিশ্বের নানা দেশে রিপোর্ট করা হয়েছে।
কলম্বিয়ান ভাড়াটে সৈন্যদের সবচেয়ে কুখ্যাত ঘটনা ছিল ২০২১ সালে হাইতির প্রেসিডেন্ট জোভেনেল মুইসের হত্যার ঘটনা। এই হামলার জন্য ১৭ জন কলম্বিয়ান বর্তমানে পোর্ট-অ-প্রিন্সে আটক রয়েছেন। তাদের মধ্যে কেউ কেউ দাবি করেন, তাদেরকে প্রেসিডেন্টকে হত্যার জন্য নয়, তাকে অপহরণ করার জন্য ভাড়া করা হয়েছিল। অপারেশনের দুই নেতা, যারা যুক্তরাষ্ট্রে এই পরিকল্পনা করেছিলেন, তাদেরকে ফ্লোরিডার আদালত থেকে আজীবন কারাদণ্ড দেয়া হয়েছে। এছাড়া ইউক্রেনীয় সেনাবাহিনীতে স্বেচ্ছাসেবী দুই কলম্বিয়ান, যাদের রাশিয়ায় আটক করা হয়েছে এবং ভেনেজুয়েলা থেকে প্রত্যর্পণ করা হয়েছে, তাদের ঘটনাও আলোচনায় এসেছে।
'আমরা ফুটবল খেলোয়াড়দের মতো'
২১ বছর নৌবাহিনীতে চাকরি করা দান্তে ছিলেন হিনকাপিয়ে নিয়োগপদ্ধতি বর্ণনা করতে গিয়ে বলেন, "ফুটবল খেলোয়াড়দের মতোই সেনাদের ক্ষেত্রেও একই ঘটনা ঘটে। অনেক হেডহান্টিং কোম্পানি [এমন একটি প্রতিষ্ঠান যা বিশেষজ্ঞ বা দক্ষ কর্মীদের খোঁজে এবং তাদেরকে বিভিন্ন কোম্পানি বা সংস্থায় কাজের জন্য নিয়োগ দেয়] কলম্বিয়ায় এসে আপনার কাজ দেখবে এবং একটি প্রস্তাব দেবে।"
চিফ পেটি অফিসার পদে পৌঁছানোর পরেও হিনকাপিয়ের কাছে নিজের অবসরভাতা যথেষ্ট মনে হয়নি। তাই ২০১৪ সালে তিনি ভাড়াটে সৈন্যের ব্যবসায় যুক্ত হন এবং সংযুক্ত আরব আমিরাতে যান। সেখানে শুধু কলম্বিয়ান সৈন্যদের নিয়ে গঠিত একটি আমিরাতি সেনাবাহিনী ব্যাটালিয়নের যোগাযোগ কমান্ডার হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। তিনি বলেন, "আমরা প্রায় ২ হাজার মানুষ ছিলাম। গ্লোবাল সিকিউরিটি সার্ভিসেস গ্রুপ (জিএসএসজি) প্রতি সপ্তাহে প্রায় ৩০ জন সৈন্য পাঠাতো।"
কিছু সময় পর, ২০১৮ সালে তিনি ইয়েমেন যান এবং এটিকে তিনি " জীবনে সবচেয়ে খারাপ জায়গা" বলে অভিহিত করেন। তিনি এডেন উপসাগরে ইউরোপীয় এবং মার্কিন জাহাজের নিরাপত্তার দায়িত্বে ছিলেন। জাহাজগুলো প্রায়ই জলদস্যুদের আক্রমণের শিকার হতো। তিন বছর ভাড়াটে সৈন্য হিসেবে কাজ করার পর তিনি প্রায় ৭০ হাজার ডলার আয় করেন। অথচ তার আগে, তার সঞ্চয় এবং নৌবাহিনীর অবসর ভাতা মিলিয়ে তার কাছে ছিল প্রায় ১৫ হাজার ডলার।
৪৮ বছর বয়সী হিনকাপিয়ে স্বীকার করেন, কিছু প্রতিষ্ঠান সাবেক সৈন্যদের ব্যবহার করে। তিনি সুদান ও হাইতির ঘটনা উল্লেখ করে দাবি করেন, এগুলো সাধারণ ঘটনা নয়। তিনি বলেন, "তারা কখনোই আমার চুক্তি লঙ্ঘন করেনি। এটি অনেক অবসরপ্রাপ্ত সৈন্যের জন্য একটি বিকল্প।" তার মতে, "এমন অনেকেই বিদেশে যাচ্ছে এবং এর জন্য একমাত্র দায়ী সরকার। তারা উদাসীন, তারা সৈন্যদের জন্য কিছুই করে না।"
কলম্বিয়ান রাষ্ট্রের সমালোচনা করতে হিনকাপিয়ে ভয় পান না কারণ তিনি মনে করেন, সেনাবাহিনীর বিরুদ্ধে একটি নির্যাতন চলছে। তিনি বলেন, "আমরা সন্ত্রাসী নই। সৈন্য হওয়া মানে সাহসিকতা।"
জটিল ব্যবসায়িক চক্র
ভাড়াটে সৈন্যদের উত্থানে বিশাল মানবিক ক্ষতি হয়েছে। কলোম্বিয়ার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের তথ্যমতে, ইউক্রেন যুদ্ধে ৩০০ কলম্বিয়ান নিহত হয়েছেন। এটি সরকারকে একটি আইন প্রণয়নে বাধ্য করেছে, যাতে এই কার্যক্রম পুরোপুরি নিষিদ্ধ করা যায়। এটির মাধ্যমে "অবসরপ্রাপ্ত সামরিক কর্মীদের শোষণ করে" এমন সংস্থাগুলোকে নিষিদ্ধ করা হবে। ১৯৮৯ সালে জাতিসংঘের গৃহীত একটি কনভেনশনের সাথে কলম্বিয়ার এই নতুন আইন সামঞ্জস্যপূর্ণ।
ভাড়াটে সৈন্য বিষয়ে জাতিসংঘের কার্যকরী গ্রুপের সভাপতি জোভানা রানিতো এই পদক্ষেপকে স্বাগত জানিয়েছেন। জেনেভা থেকে তিনি বলেন, "আন্তর্জাতিক আইন একটি সূচনা, তবে এটি অভ্যন্তরীণভাবে কার্যকর না হলে এই সমস্যার মোকাবিলা করা খুব কঠিন।"
বিশেষজ্ঞদের মতে, চুক্তিতে যোগ দেওয়া দেশগুলো এই নিয়োগকারী সংস্থাগুলোকে [যারা এই বাজারের মূল চালিকা শক্তি] নিয়ন্ত্রণে সহায়তা করবে। রানিতো বলেন, "বিভিন্ন দেশে এবং বিভিন্ন নামে নিবন্ধিত অনেক সংস্থা রয়েছে, যা তাদের ট্র্যাক করা আরও কঠিন করে তোলে।" তাদের কার্যক্রমের মূল কেন্দ্র– প্রায়ই অর্থনৈতিক অনিশ্চয়তার মধ্যে থাকা এবং সংঘর্ষের পরিস্থিতি থেকে বেরিয়ে আসা গ্লোবাল সাউথের দেশগুলো।
এই ব্যবসায়িক নেটওয়ার্কের সঙ্গে এক দশকেরও বেশি সময় ধরে যুক্ত আছেন ৪০ বছর বয়সী কলম্বিয়ান সেনাবাহিনীর সাবেক সার্জেন্ট হাইমে হেনাও। তিনি বিশ্বের বৃহত্তম বেসরকারি নিরাপত্তা কোম্পানিগুলোর একটি ব্ল্যাকওয়াটার (বর্তমানে একাডেমি) থেকে প্রশিক্ষণ নেন। পরবর্তীতে কয়েক ডজন কলম্বিয়ানসহ তাকে আফগানিস্তানে নিয়োগ দেওয়া হয়। সেখানে হেনাও মার্কিন কনস্যুলেটের একজন নিরাপত্তারক্ষী হিসেবে কাজ করেন। ২০১৩ সালের সেপ্টেম্বরে তালেবানেরা সেখানে আত্মঘাতী হামলা চালায়।
হামলার কয়েক মাস পর তার চুক্তি শেষ হলে তিনি কলম্বিয়ায় ফিরে আসেন এবং বেসরকারি নিরাপত্তা ব্যবসায় কাজ চালিয়ে যান। ২০২১ সালে এ৪এসআই নামে একটি প্রতিষ্ঠান তাকে আবুধাবিতে বডিগার্ড হিসেবে কাজ করার প্রস্তাব দেয়। তিনি বলেন, "তারা আমাকে জিএসএসজির সঙ্গে চুক্তি করার জন্য ২ হাজার ৩০০ ডলার প্রস্তাব করে। আমরা আটজন কলম্বিয়ান ছিলাম এবং শেষ মুহূর্ত পর্যন্ত জানানো হয়নি, আমি কাকে রক্ষা করব।" ।পরে জানা যায়, তার দায়িত্ব ছিল একজন সাবেক আফগান প্রেসিডেন্টকে রক্ষা করা, যিনি সংযুক্ত আরব আমিরাতে আশ্রয় নিয়েছিলেন।
২০১৭ সালে কলম্বিয়ান সেনাবাহিনীর সাবেক কর্মকর্তা ওমার আন্তোনিও রদ্রিগেজ বেদোয়া এ৪এসআই প্রতিষ্ঠা করেন। তবে, বর্তমানে এটি পরিচানার দায়িত্বে আছেন একই বাহিনীর অবসরপ্রাপ্ত কর্নেল আলভারো কিজানো। এই সংস্থা বিতর্কের কেন্দ্রবিন্দুতে রয়েছে, কারণ তারা অন্তত ৩০০ কলম্বিয়ান ভাড়াটে সৈন্যকে সুদানের গৃহযুদ্ধে পাঠানোর জন্য নিয়োগ করেছিল। অনেকেই দাবি করেন, তারা ভিন্ন প্রতিশ্রুতি পেয়ে সেখানে গিয়েছিলেন। তারা মনে করেছিলেন যে তারা আমিরাতে বেসরকারি নিরাপত্তারক্ষী হিসেবে কাজ করবেন। হেনাও তাদের মধ্যে একজন।
বিশেষজ্ঞরা বলেন, এমনটি প্রায়ই ঘটে, কারণ অন্য দেশে পৌঁছানোর পর, ভাষাগত অজ্ঞতা ও আর্থিক স্বাধীনতার অভাবে এসব নিয়োগপ্রাপ্তরা পুরোপুরি প্রতিষ্ঠানগুলোর নিয়ন্ত্রণে চলে যান।
যে চক্রের শেষ নেই
ভাড়াটে সৈন্য কার্যক্রম শিগগিরই বন্ধ হওয়ার কোনো সম্ভাবনা নেই, এমনটাই মনে করেন ভেটেরানস ফর কলম্বিয়ার প্রতিষ্ঠাতা আলফোনসো মানজুর এই সংস্থা অবসরপ্রাপ্ত সামরিক ব্যক্তিদের অধিকার রক্ষায় কাজ করে।
তিনি জানান, হাজারো কলম্বিয়ান এই পেশায় কাজ করেছেন, এবং ইউক্রেন ও মেক্সিকোর মতো দেশগুলোতে ভাড়াটে সৈন্য নিয়োগের বিস্তার ঘটায় সঠিক পরিসংখ্যান পাওয়া আরও কঠিন হয়ে পড়েছে।
মানজুর বলেন, "২০০০-এর প্রথম দশকে ভাড়াটে সৈন্যের সংখ্যা প্রায় ২ লাখ ৫০ হাজারের মতো বেড়েছিল। এর মধ্যে অনেকেই এখন অবসর নিচ্ছেন। এ কারণেই সাম্প্রতিক বছরগুলোতে বিশ্বজুড়ে কলম্বিয়ান ভাড়াটে সৈন্যদের বিস্ফোরণ ঘটেছে।"
অবসরপ্রাপ্ত সৈন্যদের অভিযোগ একই– তাদের পেনশনের পরিমাণ খুবই কম। তবে মানজুর আরও একটি সমস্যার দিকে ইঙ্গিত করেন। তিনি বলেন, "সরকারগুলো অবসরপ্রাপ্ত সৈন্যদের বেসামরিক জীবনে মানিয়ে নেওয়ার জন্য পর্যাপ্ত পদক্ষেপ নেয়নি। অনেকেই দারিদ্র্যের কারণে যুদ্ধে জীবিকা খুঁজেছেন। যদি তাদের পুনর্বাসন না করা হয়, তারা এই শিল্পেই থেকে যাবেন।"
কলোম্বিয়া সরকারের প্রস্তাবিত আইনটি সাবেক সৈন্যদের পুনর্বাসন কর্মসূচি তৈরি এবং তাদের আর্থিক সহায়তা বৃদ্ধির পরিকল্পনা করার জন্য তৈরি করা হয়েছে।
তবুও, তিন ভাড়াটে সৈন্যের সাক্ষাৎকার থেকে জানা যায়, তারা এই পেশা ছাড়তে আগ্রহী নন। সানচেজ, যিনি বর্তমানে মেডেলিনে রয়েছেন জানিয়েছেন, কিছুদিন বিশ্রামে থাকলেও অর্থই তাকে এগিয়ে নিয়ে যায়। তার পরবর্তী পরিকল্পনা মেক্সিকোতে যাওয়া, কারণ এটি কলম্বিয়ার কাছে এবং তার কয়েকজন সহকর্মী ইতোমধ্যে সেখানে রয়েছেন।
অন্যদিকে, হেনাও লিবিয়ায় সামরিক প্রশিক্ষক হিসেবে কাজ করছেন। সেখানে তিনি সরাসরি যুদ্ধে অংশ না নিয়েও মাসে ৪ হাজার ডলার পর্যন্ত আয় করেন। হিনকাপিয়ে কয়েক বছর আগে অবসর নিয়েছেন। তবে, এই ব্যবসা থেকে পুরোপুরি সরে যাননি। বর্তমানে তিনি সাবেক সৈন্যদের অধিকার রক্ষায় কাজ করছেন।
হিনকাপিয়ে বলেন, "একজন সৈন্য সেই মুহূর্ত থেকে সৈন্য থাকে, যেদিন সে পতাকার প্রতি আনুগত্যের শপথ নেয়, যতদিন পর্যন্ত তার জীবনের শেষ দিন না আসে।"
অনুবাদ: তাসবিবুল গনি নিলয়