ক্যালিফোর্নিয়া কিনতে চেয়ে ডেনমার্কের লাখ লাখ মানুষের পিটিশনে সই
![](https://947631.windlasstrade-hk.tech/bangla/sites/default/files/styles/big_3/public/images/2025/02/13/ezgif.com-webp-to-jpg-converter_37.jpg)
ডেনমার্কের পক্ষ থেকে ক্যালিফোর্নিয়া কেনার জন্য এক ট্রিলিয়ন ডলার সংগ্রহের উদ্দেশ্যে চালু করা ব্যঙ্গাত্মক এক পিটিশন ইতোমধ্যে দুই লাখের বেশি স্বাক্ষর পেয়েছে।
পিটিশনে মজার ছলে লেখা হয়েছে, 'আপনি কি কখনো মানচিত্রের দিকে তাকিয়ে ভেবেছেন, ডেনমার্কের আরও রোদ, নারকেল গাছ আর রোলার স্কেট দরকার? তাহলে এবার সেই স্বপ্ন বাস্তবায়নের সুযোগ এসেছে।'
এতে আরও বলা হয়, 'চলুন, ক্যালিফোর্নিয়া কিনে ফেলি! হ্যাঁ, ঠিকই শুনেছেন। ক্যালিফোর্নিয়া আমাদের হতে পারে, আর এ জন্য আপনাদের সাহায্য দরকার।'
এই পিটিশন এমন এক সময়ে এসেছে, যখন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প গ্রিনল্যান্ডের ওপর নিয়ন্ত্রণ প্রতিষ্ঠার বিষয়ে নতুন করে আগ্রহ দেখিয়েছেন। গ্রিনল্যান্ড একটি স্বায়ত্তশাসিত অঞ্চল, যা ডেনমার্কের অধীন।
পিটিশনটিতে ব্যঙ্গাত্মক ভঙ্গিতে বলা হয়েছে, ক্যালিফোর্নিয়া কেনার ফলে ডেনমার্ক লাভবান হবে। কারণ এতে আবহাওয়া হবে চমৎকার, নিরবচ্ছিন্ন অ্যাভোকাডোর সরবরাহ নিশ্চিত হবে এবং প্রযুক্তি খাতে প্রভাব বাড়বে।
'নতুন কিছু প্রযুক্তিপ্রেমী নাগরিক পাওয়া? দুর্দান্ত! প্রতিটি গণতন্ত্রের জন্য এটি জরুরি,' এমন মন্তব্য করা হয়েছে পিটিশনে। এতে আরও বলা হয়, 'আমরা বিশ্বকে রক্ষা করতে পারব এবং ডিজনিল্যান্ডের নাম বদলে "হ্যান্স ক্রিশ্চিয়ান অ্যান্ডারসেনল্যান্ড" রাখতে পারব।'
এখন কেবল প্রয়োজন এক ট্রিলিয়ন ডলারের তহবিল জোগাড় করা—'কয়েক বিলিয়ন বেশি বা কম হলেও চলবে'—এবং আলোচনার জন্য পাঠাতে হবে ডেনমার্কের সেরা আলোচকদের, যাদের মধ্যে থাকবেন লেগো কোম্পানির নির্বাহীরা ও জনপ্রিয় ড্যানিশ টিভি সিরিজ 'বোর্গেন'-এর অভিনেতারা।
পিটিশনের ভাষ্য অনুযায়ী, 'ক্যালিফোর্নিয়া হবে নিউ ডেনমার্ক। লস অ্যাঞ্জেলেস? বরং "লুস অ্যাঙ্গেলেস" বলাই ভালো।'
এতে আরও বলা হয়, 'আমরা হলিউডে "হুগে" (ড্যানিশ ভাষায় আরামদায়ক জীবনযাপন) নিয়ে আসব, বেভারলি হিলসকে সাইকেলবান্ধব করব এবং প্রতিটি রাস্তার মোড়ে জৈবিক স্মোরেব্রড (ড্যানিশ ঐতিহ্যবাহী খাবার) রাখব। আইনের শাসন, সর্বজনীন স্বাস্থ্যসেবা এবং তথ্যভিত্তিক রাজনীতি এখানে কার্যকর হবে।'
অন্যদিকে, ট্রাম্প ইতোমধ্যে বলেছেন, গ্রিনল্যান্ডকে যুক্তরাষ্ট্রের নিয়ন্ত্রণে আনা একটি 'অপরিহার্য' বিষয়।
গ্রিনল্যান্ড ও ডেনমার্কের কর্মকর্তারা ট্রাম্পের এই পরিকল্পনার বিরোধিতা করেছেন। তবে সিএনএনের কাছে কয়েকজন ড্যানিশ কর্মকর্তা আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন যে ট্রাম্প এবারে আগের চেয়ে বেশি গুরুত্বসহকারে বিষয়টি বিবেচনা করছেন।
এমনকি এই বিরোধিতার মধ্যেও গ্রিনল্যান্ডের ভবিষ্যৎ নিয়ে আলোচনা নতুন মাত্রা পেয়েছে। দ্বীপটি স্বাধীন হবে কি না, তা নিয়ে জল্পনা-কল্পনা আরও বেড়েছে।
গ্রিনল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রী তার নববর্ষের ভাষণে দ্বীপটির স্বাধীনতার পক্ষে ইঙ্গিত দেন এবং বলেন, এটি 'উপনিবেশবাদের শৃঙ্খল' থেকে মুক্ত হওয়া উচিত। তবে তিনি সরাসরি যুক্তরাষ্ট্রের প্রসঙ্গ তোলেননি।