ঈদের অগ্রিম টিকিট: বাস-রেলস্টেশনে টিকিটের জন্য ভিড়, লঞ্চে ভিন্ন চিত্র
ঈদুল আযহাকে সামনে রেখে বাস ও ট্রেনের টিকিটের জন্য ব্যাপক চাপ দেখা গেলেও এবারের ঈদে লঞ্চ টিকিটের চাপ তুলনামূলক কম।
ট্রেনের টিকিটের চাহিদা ধারণক্ষমতার চেয়েও বেশি; ফলে প্রতিদিনই টিকিটপ্রত্যাশীদের বড় একটা অংশ টিকিট নিশ্চিত করতে ব্যর্থ হচ্ছে।
ইতিমধ্যে ৫ জুলাই থেকে ৮ জুলাই পর্যন্ত ট্রেনের সব টিকিট বিক্রি হয়ে গেছে। শুধুমাত্র ৯ জুলাইয়ের টিকিট বাকি আছে। আজ মঙ্গলবারও ৯ তারিখের টিকিট বিক্রি হবে।
দেশের সবচেয়ে বড় বেসরকারি পরিবহন কোম্পানি হানিফ এন্টারপ্রাইজের জেনারেল ম্যানেজার মোশাররফ হোসেন বলেন, 'আমাদের ৬-৮ জুলাইয়ের কোন টিকেট খালি নাই। ৯ তারিখের টিকেটও প্রায় শেষ। অন্যান্য পরিবহনগুলোরও একই অবস্থা বলে শুনেছি।'
ঈগল পরিবহনের গাবতলী কাউন্টারের ম্যানেজার জয়ন্ত চৌধুরী বলেন, 'আমাদের ৭-৮ জুলাইয়ের সব টিকেট শেষ। ৬ ও ৯ তারিখের অল্প কিছু টিকেট বাকি আছে। তবে শীঘ্রই এগুলো শেষ হয়ে যাবে।'
তবে বাস ও ট্রেনের মতো লঞ্চে তেমন চাপ নেই। পদ্মা সেতু দক্ষিণাঞ্চলবাসীকে সড়কপথে সংযুক্ত করেছে। ফলে লঞ্চের অনেক কেবিনই এবার ফাঁকা পড়ে থাকবে।
পারাবত লঞ্চের মালিক শহিদুল ইসলাম ভূঁইয়া বলেন, 'আমাদের ৭ তারিখে কিছুটা চাহিদা দেখছি। এরপরের তারিখগুলোতে কিছু কেবিন বিক্রি হয়েছে। তবে এখনও বেশিরভাগ কেবিন খালি আছে। আমরা এবার একটু আগেভাগেই ঈদের টিকিট দিতে শুরু করি। কিন্তু তারপরও খুব একটা সাড়া মিলছে না।'
'তবে আমাদের ডেকের কোন অগ্রিম টিকেট নেই। আশা করি গার্মেন্টস ছুটি হলে ডেকে পূর্ণ যাত্রী পাব', যোগ করেন তিনি।
বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌ-চলাচল যাত্রী পরিবহন সংস্থার (বিআইডব্লিউপিসিএ) যুগ্ম আহ্বায়ক প্রিন্স আওলাদ বলেন, 'এবার লঞ্চে যাত্রীদের চাহিদা খুবই কম। বরিশালের একেকটি লঞ্চে ২০০-২৫০ কেবিন থাকে। কিন্তু এখন পর্যন্ত গড়ে ৩০-৪০টি করে বিক্রি হয়েছে।
কেবিনগুলোর মধ্যে ফ্যামিলি কেবিনই বেশি বিক্রি হচ্ছে। এছাড়া কিছু ডাবল কেবিনও গেছে। কিন্তু সিঙ্গেল কেবিন ও ভিআইপি কেবিনের চাহিদা খুবই কম।'
'লঞ্চে এবার ভাড়াও কম নেওয়া হচ্ছে তারপরও মানুষের আগ্রহ কম দেখতে পাচ্ছি। এমনকি আমাদের প্রত্যাশা থেকেও কম', বলেন এমভি-প্রিন্স আওলাদ লঞ্চের এই স্বত্বাধিকারী।
এদিকে আসন্ন পবিত্র ঈদুল আযহা উপলক্ষে বিগত বছরের ন্যায় এবারও ঘরমুখো মানুষের সুবিধার্থে এবং তাদের যাত্রা সহজ ও আরামদায়ক করতে সোমবার থেকে ৬০টি বাস দিয়ে 'ঈদ স্পেশাল সার্ভিস' চালু করেছে বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্পোরেশন (বিআরটিসি)। আগামী ১২ জুলাই ২০২২ তারিখ পর্যন্ত এই স্পেশাল সার্ভিস চলাচল করবে।
এর আগে গত ১ জুলাই থেকে ঢাকায় বিআরটিসির বিভিন্ন ডিপো হতে অগ্রিম টিকেট বিক্রয় শুরু হয়।