বৈশ্বিক খাদ্য পরিস্থিতি: ১৮ লাখ টন গম সরবরাহ করেছে ভারত
'অনুরোধ' এসেছিল এক ডজনেরও বেশি দেশ থেকে। তাই গম রপ্তানির উপর নিষেধাজ্ঞা জারি করেও পিছিয়ে আসতে হলো ভারতের মোদি সরকারকে।
খাদ্যসঙ্কট মোকাবিলার জন্য ভারত থেকে বিভিন্ন দেশে পাঠানো হচ্ছে গম। তবে এর ফলে অদূর ভবিষ্যতে ভারতের বাজারেই গমের দাম বাড়তে পারে বলে আশঙ্কা স্থানীয়দের।
স্থানীয় বাজারের চাহিদা মেটাতে গত ১৩ মে গম রপ্তানিতে নিষেধাজ্ঞা জারি করেছিল ভারত। ইউক্রেন যুদ্ধ পরিস্থিতির মধ্যে নয়াদিল্লির ওই সিদ্ধান্তে অস্থিরতা শুরু হয়ে যায় ইউরোপে গমের বাজারে। পাশাপাশি মধ্য ও পশ্চিম এশিয়া এবং আফ্রিকার কয়েকটি দেশেও মূল্যবৃদ্ধির আঁচ লাগে। সেই দেশগুলোর অনুরোধেই গম রপ্তানি বন্ধের সিদ্ধান্ত শিথিল করা হয়েছে বলে ভারতের কেন্দ্রীয় খাদ্যসচিব সুধাংশু পাণ্ডে জানিয়েছেন।
দেশটির খাদ্য মন্ত্রণালয়ের খবর, ১৩ মের পর থেকে এখন পর্যন্ত ১৮ লাখ টন গম রপ্তানি করেছে ভারত। বাংলাদেশেও এসেছে ভারতের গম।
সুধাংশু পাণ্ডে বলেন, ''বাংলাদেশ, ওমান, সংযুক্ত আরব আমিরাত এবং আফগানিস্তানের মতো দেশে গম পাঠানো হয়েছে। অনেক দেশই তাদের অভ্যন্তরীণ চাহিদা মেটাতে গম চেয়েছিল। সেই চাহিদা মেটাতেই গম সরবরাহের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। ব্যবসার জন্য নয়।''
প্রসঙ্গত, ইউক্রেনে রাশিয়ার আগ্রাসনের ফলে বিশ্বব্যাপী কৃষি বাজারে অস্থিরতা তৈরি হয়েছে। বিশ্বের অন্যতম গম উৎপাদনকারী দেশ ইউক্রেন। সারা ইউরোপে গম সরবরাহকারী দেশগুলোর মধ্যে বড় বাজার দখল করে এই দেশ। কিন্তু যুদ্ধ পরিস্থিতিতে অন্যান্য পণ্যের সঙ্গে গম রপ্তানিতেও রাশ টেনেছে জেলেনস্কির দেশ। এর ফলে সঙ্কট বেড়েছে। অন্যদিকে, এশিয়া তথা বিশ্বে অন্যতম গম উৎপাদনকারী ভারত।
ভারতের কেন্দ্রীয় খাদ্যমন্ত্রী পীযূষ গয়াল সম্প্রতি বলেছেন, ''গম রপ্তানি বাণিজ্যের অংশীদার হতে আমরা আগ্রহী নই। তবে কোনও দেশের খাদ্যের চাহিদা মেটানোর জন্য ভারত গম সরবরাহ করতে প্রস্তুত।''
- সূত্র- আনন্দবাজার পত্রিকা