ভারতের প্রথম আদিবাসী রাষ্ট্রপতি নির্বাচিত বিজেপির দ্রোপদী মুর্মু
আজ বৃহস্পতিবার (২১ জুলাই) প্রতিবেশী ভারতে প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের ফল প্রকাশিত হয়েছে। এতে তিন দফা ভোট গণনায় মোট ৫০ শতাংশের বেশি ভোটে নির্বাচিত হয়েছেন বিজেপি-নেতৃত্বাধীন এনডিএ জোটের প্রার্থী দ্রোপদী মুর্মু।
তিনি দেশটির ১৫তম রাষ্ট্রপতির পদে আসীন হতে চলেছেন। বর্তমান রাষ্ট্রপতি রামনাথ কোভিন্দের মেয়াদ শেষ হলে ২৫ জুলাই শপথ নেবেন নব-নির্বাচিত রাষ্ট্রপতি। মুর্মুর জয়ে দ্বিতীয় নারী রাষ্ট্রপতিও পেল জনসংখ্যায় বিশ্বের বৃহত্তম গণতন্ত্রটি।
দ্রোপদীর নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী ও যৌথ বিরোধী জোটের প্রার্থী ছিলেন যশোবন্ত সিনহা। দ্বিতীয় দফার ভোট গণনায় যশোবন্ত ৩২৯ ভোট পেয়েছেন তিনি। তার চেয়ে ৮১২ ভোট বেশি পান মুর্মু।
তবে তৃতীয় দফা ভোট গণনায় মুর্মুর জয় সুনিশ্চিত হয়। এতে তিনি ৫০ শতাংশর বেশি বৈধ ভোট পেয়েছেন বলে জানিয়েছে ভারতীয় গণমাধ্যম। তৃতীয় রাউন্ডে মোট ১,৩৩৩ টি বৈধ ভোট ছিল। এরমধ্যে ৮২১টি পেয়েছেন এনডিএ পদপ্রার্থী। যশোবন্ত পেয়েছেন ৫২১ ভোট।
১৯৫৮ সালের ২০ জুন উড়িষ্যার ময়ূরভঞ্জ জেলার এক সাঁওতালি পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন দ্রৌপদী মুর্মু। গ্রামের প্রথম নারী হিসেবে ভুবনেশ্বরের রমাদেবী উইমেন্স কলেজ থেকে কলা বিভাগে স্নাতক শেষ করেছিলেন তিনি।
১৯৭৯ সাল থেকে ১৯৮৩ সাল পর্যন্ত উড়িষ্যা সরকারের জলসম্পদ ও শক্তি দপ্তরে জুনিয়র অ্যাসিসট্যান্ট হিসেবে কাজ করেন মুর্মু। ১৯৯৪ সাল থেকে ১৯৯৭ সাল পর্যন্ত শ্রী অরবিন্দ ইন্টিগ্রাল এডুকেশন সেন্টারের সাম্মানিক শিক্ষক ছিলেন তিনি।
১৯৯৭ সালে কাউন্সিলর নির্বাচিত হয়েছিলেন দ্রৌপদী। পরবর্তীসময়ে রায়রংপুর উপদেষ্টা কমিটির চেয়ারপার্সনও হয়েছিলেন।
উড়িষ্যার দুবারের বিধায়ক নির্বাচিত হয়েছিলেন এ আদিবাসী নেত্রী। ২০০০ সাল এবং ২০০৪ সালে বিজেপির পক্ষে ময়ূরভঞ্জ জেলার রায়রাংপুর কেন্দ্র থেকে ভোটে জিতেছিলেন তিনি।
২০০০ থেকে ২০০৪ সাল পর্যন্ত বিজেডি-বিজেপি জোট সরকারে একাধিক গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব ছিল দ্রৌপদীর হাতে। পরিবহণ, মৎস্য এবং পশুপালন দপ্তরের দায়িত্ব পালন করেছিলেন তিনি।
২০০৭ সালের উড়িষ্যার সেরা বিধায়ক হয়ে জিতেছিলেন নীলকণ্ঠ পুরস্কারও। ২০১৫ থেকে ২০২১ সাল পর্যন্ত ঝাড়খণ্ডের রাজ্যপাল হিসেবেও দায়িত্ব পালন করেন দ্রৌপদী মুর্মু।
সূত্র: হিন্দুস্তান টাইমস