কার্ডিওভাসকুলার রোগে মৃত্যুর ঝুঁকি কমাবে পটাশিয়ামযুক্ত লবণ
প্রাথমিকভাবে শনাক্ত করা গেলে কার্ডিওভাসকুলার জনিত রোগে মৃত্যুর ঝুঁকি কমানো সম্ভব, যদি আপনি সাধারণ লবণের বদলে বিকল্প উপাদানযুক্ত লবণ গ্রহণ করে থাকেন। অস্ট্রেলিয়ান এবং চীনা বিশেষজ্ঞদের নতুন গবেষণায় এমনটি দাবি করা হয়েছে।
জর্জ ইন্সটিটিউট ফর গ্লোবাল হেলথের নির্বাহী পরিচালক এবং ইউনিভার্সিটি অব নিউ সাউথ ওয়েলসের (ইউএনএসডব্লিউ) মেডিসিনের অধ্যাপক ব্রুস নি'ল বার্তা সংস্থা সিনহুয়াকে বলেন, লবণের বিকল্প, যেখানে সোডিয়াম ক্লোরাইডের পরিবর্তে পটাসিয়াম ক্লোরাইড রয়েছে, তা বিশ্বব্যাপী লাখ লাখ মানুষের জীবন বাঁচাতে পারে।
তিনি বলেন, "উচ্চ রক্তচাপ অকাল মৃত্যুর বড় কারণ আর উচ্চ সোডিয়াম এবং কম পটাসিয়ামযুক্ত খাবার রক্তের চাপ বাড়িয়ে দেয়ার পেছনে দায়ী।"
বুধবার হার্ট জার্নালে প্রকাশিত প্রতিবেদনে দেখা গেছে, লবণের বিকল্প কার্ডিওভাসকুলার রোগে মৃত্যুর ঝুঁকি ১৩ শতাংশ এবং হার্ট অ্যাটাক বা স্ট্রোকের ১১ শতাংশ ঝুঁকি কমিয়েছে।
গবেষণা দলটিতে চীনের হারবিন মেডিকেল ইউনিভার্সিটির বিজ্ঞানীরাও ছিলেন। তারা গত বছর চীনের গ্রামাঞ্চলে ২০ হাজার লোকের উপর গবেষণা চালান। এদের অর্ধেক তাদের খাবারে বিকল্প লবণ এবং বাকি অর্ধেক নিয়মিত লবণ ব্যবহার করে।
তবে গবেষকরা নিশ্চিত ছিলেন না যে, চীনের পাশাপাশি বিশ্বের অন্যান্য অংশেও একই রকমভাবে এই ফলাফল প্রযোজ্য হবে কিনা।
এই প্রশ্নের উত্তর পেতে দলটি ২০টিরও বেশি আন্তর্জাতিক গবেষণা থেকে নেওয়া তথ্যের মাধ্যমে লবণের বিকল্প এবং মৃত্যুঝুঁকি হ্রাসের মধ্যে সংযোগ বের করে।
সেখান থেকেও নিশ্চিত হওয়া যায় যে, মানুষের বয়স, ওজন, লিঙ্গ বা জাতি নির্বিশেষে পটাসিয়াম রক্তের চাপ কমাতে পারে।
"এটা সত্যি যে পটাসিয়ামযুক্ত লবণ সোডিয়াম লবণের চেয়ে কিছুটা ব্যয়বহুল কিন্তু এর ব্যবহারে স্বাস্থ্যগত যে সুফল পাওয়া যাবে তার মূল্য কিন্তু আরও ওপরে", বলেন নি'ল।
"আমরা এর আগেও দেখেছি কীভাবে জনস্বাস্থ্যকে প্রাধান্য দিয়ে লবণের উৎপাদন পর্যায়ে পরিবর্তন নিয়ে আসা যায়। উদাহরণ হিসেবে আয়োডিনযুক্ত লবণের কথা বলা যায়। থাইরয়েড গ্রন্থির রোগ প্রতিরোধের জন্য এই লবণের ব্যবহার চালু হয়। একইভাবে নিশ্চয়ই সোডিয়াম ছেড়ে পটাশিয়াম যুক্ত লবণ খাওয়া শুরু করা যেতে পারে।"