তেল বিক্রির কমিশন বাড়ানোর দাবিতে ধর্মঘটে পেট্রোল পাম্প মালিকরা
জ্বালানী তেলের মূল্য বৃদ্ধিতে সঙ্গে অনুপাতিক হারে তেল বিক্রির কমিশন বৃদ্ধির দাবিতে প্রতীকী ধর্মঘট ডেকেছে বাংলাদেশ পেট্রোলিয়াম ডিলার্স, ডিস্ট্রিবিউটর্স, এজেন্টস এন্ড পেট্রোল পাম ওনার্স এসোসিয়েশন।
সোমবার (২২ আগস্ট) সকাল ৬ টা থেকে সন্ধ্যা ৬ টা পর্যন্ত এই প্রতীকী ধর্মঘট চালু থাকবে। এই সময়ে খুলনা, রাজশাহী ও রংপুর বিভাগের কোনো ডিপো থেকে তেল কিনবে না পাম্প মালিকরা। তবে পেট্রোল পাম্প থেকে তেলের বিক্রি বন্ধ থাকবে না।
এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন বাংলাদেশ জ্বালানী পরিবেশক সমিতির খুলনা বিভাগীয় কার্যালয়ের অফিস সেক্রেটারী সরোজ দাস পিন্টু।
তিনি জানান, বাংলাদেশ পেট্রোলিয়াম ডিলার্স, ডিস্ট্রিবিউটর্স, এজেন্টস এন্ড পেট্রোল পাম ওনার্স এসোসিয়েশনের কেন্দ্র থেকে তিন বিভাগের জন্য এ প্রতীকী ধর্মঘট ডাকা হয়েছে। তেল পরিবেশনের সাথে সম্পৃক্ত অন্যান্য এসোসিয়েশনের এর সাথে একাত্মতা প্রকাশ করেছে।
তাদের দাবীসমূহ হলো, জ্বালানী তেল বিক্রয়ের প্রচলিত কমিশন কমপক্ষে সাড়ে ৭ শতাংশ করতে হবে, জ্বালানী তেল ব্যবসায়ীদের কমিশন এজেন্ট গেজেট আকারে প্রকাশ করতে হবে, সড়ক ও জনপথ বিভাগ কর্তৃক পেট্রোল পাম্পের প্রবেশ দ্বারের ভূমির জন্য ইজারা গ্রহণের প্রথা বাতিল করতে হবে কারণ প্রবেশদ্বার ব্যবহারকারীরা অর্থ্যাৎ সকল যানবাহন সরকারের নিয়ম মাফিক কর প্রদান করেন, পেট্রোল পাম্পের উপর ট্রেড লাইসেন্স ও বিস্ফোরক লাইসেন্স ব্যতিত অন্য সংস্থার লাইসেন্স প্রথা বাতিল করতে হবে।
সরোজ দাস পিন্টু বলেন, 'সরকার আমাদের বারবার প্রতিশ্রুতি দিয়ে আসছে। তবে দাবিগুলো মানছে না। বারবার তেলের দাম বাড়ানো হচ্ছে, কিন্তু আমাদের কমিশন সেই পুরনো আমলের গেজেটে দেওয়া হচ্ছে। এখন তেলের দাম বাড়ায় আমাদের বিনিয়োগ বেড়েছে, আয় বাড়েনি।'
উল্লেখ্য, এর আগে গত ৭ আগস্ট জ্বালানি তেল বিক্রির ওপর কমিশন ও ট্যাংকলরি ভাড়া না বাড়ানোর প্রতিবাদে ডিপো থেকে তেল উত্তোলন ও পরিবহন বন্ধ রাখে খুলনা বিভাগীয় ট্যাংকলরি ও জ্বালানি মালিক সমিতি। ওইদিন খুলনা জেলা প্রশাসক মো. মনিরুজ্জামানের আশ্বাস পেয়ে বিকেলে তারা ধর্মঘট তুলে নেয়।