মারা গেছেন পাকিস্তানের আম্পায়ার আসাদ রউফ
মারা গেছেন আইসিসির এলিট প্যানেলের সাবেক আম্পায়ার আসাদ রউফ। বুধবার লাহোরে কার্ডিয়াক অ্যারেস্টে মারা যান পাকিস্তানের সাবেক এই ক্রিকেটার। তার বয়স হয়েছিল ৬৬ বছর।
১৯৯৮ সালে আম্পায়ারিংয়ের ক্যারিয়ার শুরু করেন রউফ। শুরুতে পাকিস্তানের প্রথম শ্রেণির ক্রিকেটে আম্পায়ারিং করেন তিনি। দুই বছর পরই আন্তর্জাতিক ম্যাচে আম্পায়ার হিসেবে রউফের অভিষেক হয়। ২০০০ সালে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে পাকিস্তানের ওয়ানডে দিয়ে আন্তর্জাতিক ক্যারিয়ার শুরু হয় তার।
তখন তিনি আইসিসির ইন্টারন্যাশনাল প্যানেলের অংশ ছিলেন না। ২০০৪ সালে পাকিস্তানের আরেক আম্পায়ার আলিম দার এলিট প্যানেলের অংশ হওয়ার পর ইন্টারন্যাশনাল প্যানেলে জায়গা হয় রউফের। পরের বছর টেস্ট অভিষেক হয় তার। চট্টগ্রামে জিম্বাবুয়ে-বাংলাদেশের মধ্যকার ম্যাচ দিয়ে টেস্টে আম্পায়ারিং শুরু করেন রউফ। রউফের অভিষেকের সেই ম্যাচে প্রথমবারের মতো টেস্ট জয়ের স্বাদ পায় বাংলাদেশ।
৪৯ টেস্ট, ৯৮ ওয়ানডে ও ২৩ টি-টোয়েন্টিতে আম্পায়ারিং করেছেন রউফ। টিভি আম্পায়ার হিসেবে ৬১টি আন্তর্জাতিক ম্যাচে দায়িত্ব পালন করেছেন তিনি। টেস্ট এবং ওয়ানডেতে পাকিস্তানের হয়ে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ম্যাচে আম্পায়ারিং করেছেন রউফ। তার চেয়ে বেশি ম্যাচ পরিচালনা করেছেন কেবল আলিম দার।
যদিও রউফের আম্পায়ারিং ক্যারিয়ারের শেষটা জড়িয়ে যায় কালো অধ্যায়ে। ২০১৩ আইপিএল স্পট ফিক্সিংয়ে তার নাম জড়ায়। তাকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করে মুম্বাই পুলিশ। কিন্তু আইপিএল শেষ হওয়ার আগেই ভারত ছেড়ে চলে যান তিনি।
২০১৩ চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির আম্পায়ার তালিকা থেকে রউফকে বাদ দেয় আইসিসি। যদিও রউফ সব সময়ই নিজেকে নির্দোষ দাবি করেচিলেন। কিন্তু বিতর্কে নাম জড়ানোয় এরপর আর আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে আম্পায়ারিং করা হয়নি তার। ২০১৬ সালে দুর্নীতি ও অসদাচরণের চারটি অভিযোগে ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ড (বিসিসিআই) রউফকে ৫ বছরের জন্য নিষিদ্ধ করে।
আম্পায়ারিংয়ের আগে দীর্ঘ সময় ধরে ক্রিকেট খেলেন রউফ। মিডল অর্ডার এই ব্যাটসম্যান পাকিস্তানের বিভিন্ন দলের হয়ে ৭১টি প্রথম শ্রেণির ম্যাচ ও ৪০টি লিস্ট 'এ' ম্যাচ খেলেন।