রাশিয়া ইউরোপীয় ইউনিয়নের নিষেধাজ্ঞার কবলে পড়া অর্ধেক তেলের নতুন বাজার খুঁজে পাচ্ছে
চলতি বছরের ডিসেম্বরে রাশিয়ার অপরিশোধিত তেল ক্রয়ের ওপর নিষেধাজ্ঞা দেব ইউরোপীয় ইউনিয়ন (ইইউ)। নিষেধাজ্ঞার কবলে পড়া অর্ধেক অপরিশোধিত তেলের জন্য নতুন বাজার খুঁজে পেতে পারে রাশিয়া।
জ্বালানি-ডাটা প্রতিষ্ঠান কেপলার এ তথ্য জানিয়েছে।
কেপলার একটি গবেষণা নোটে বলেছে, ইন্দোনেশিয়া, পাকিস্তান, ব্রাজিল, দক্ষিণ আফ্রিকা, শ্রীলঙ্কা ও মধ্যপ্রাচ্যের কিছু দেশ আগামী শীতে রাশিয়া থেকে প্রতিদিন ১ মিলিয়ন ব্যারেল অপরিশোধিত তেল কিনতে পারে।
রুশ তেলের গন্তব্যসমূহ
বিশ্বে মোট উৎপাদিত তেলের প্রায় ১০ শতাংশের জোগান দেয় রাশিয়ার তেল শিল্প। ক্রেমলিনের আয়ের অন্যতম উৎস এই তেল।
ইউক্রেন যুদ্ধ শুরু হওয়ার পরপরই রাশিয়ার তেল উল্লেখযোগ্যসংখ্যক নিষেধাজ্ঞার মুখে পড়েছে। ইইউ সদস্যরা এখনও দেশটির কিছু তেল কিনছে বটে, তবে ডিসেম্বরে ইউরাল ক্রুডের বেশিরভাগ আমদানি নিষিদ্ধ করবে। তারপরে আগামী ফেব্রুয়ারিতে রাশিয়ার সমসস্ত তেল পণ্যের ওপর নিষেধাজ্ঞা জারি করবে।
রাশিয়া দৈনিক ২ মিলিয়ন ব্যারেল তেল রপ্তানি করে। ইন্টারন্যাশনাল এনার্জি এজেন্সি-র ধারণা, নতুন বাজার বের করতে না পারলে এ নিষেধাজ্ঞার ফলে রাশিয়ার দৈনিক রপ্তানির পরিমাণ এর অর্ধেকে নেমে আসতে পারে।
কিছু ইউরোপীয় ক্রেতা স্বেচ্ছায় রাশিয়ার তেল কেনা বাতিল করায় ইতিমধ্যে রাশিয়ান কোম্পানিগুলোর কার্গোর নতুন গন্তব্য হয়ে উঠেছে এশিয়া, মূলত ভারত ও চীন। তবে রাশিয়াকে এই তেল বিক্রি করতে হচ্ছে হ্রাসকৃত মূল্যে।
বৈশ্বিক অপরিশোধিত তেল সরবরাহে গতিপথ পুনর্বিন্যাস্ত হলে ওপেক প্লাস-এর সদস্য দেশগুলোর রপ্তানি আংশিক বিচ্যুত হতে পারে। কেপলার বলেছে, ইন্দোনেশিয়ায় নাইজেরিয়ার এবং পাকিস্তানে আরব লাইট তেলের সরবরাহ কমে যেতে পারে।
কেপলারের মতে, এই শীতে মধ্যপ্রাচ্যের দেশগুলো প্রতিদিন ৫ লাখ ব্যারেল রাশিয়ান অপরিশোধিত তেল নিতে পারে।