মিতু হত্যা: ২৫ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত পেছাল পুলিশের বিরুদ্ধে মামলার আবেদনের শুনানি
চট্টগ্রামে মাহমুদা খানম মিতু হত্যা মামলায় সাবেক পুলিশ সুপার বাবুল আক্তারকে স্বীকারোক্তি আদায়ের জন্য পুলিশ হেফাজতে নির্যাতনের অভিযোগে পিবিআই প্রধানসহ ছয় পুলিশ কর্মকর্তার বিরুদ্ধে আদালতে মামলার আবেদনের শুনানি পিছিয়েছে, আগামী ২৫ সেপ্টেম্বর আদেশের জন্য পরবর্তী দিন ধার্য করেছেন আদালত।
এর আগে ৮ সেপ্টেম্বর চট্টগ্রাম মহানগর দায়রা জজ ড. বেগম জেবুননেছার আদালতে বাবুল আক্তারের পক্ষে আইনজীবীরা এ আবেদন করেন। ওইদিন আদালত আজ সোমবার (১৯ সেপ্টেম্বর) আদেশের তারিখ ধার্য করেন।
তবে সোমবার চট্টগ্রাম মহানগর দায়রা জজ ড. বেগম জেবুননেছা ছুটিতে থাকায় পুনরায় এই তারিখ ধার্য করেন বলে জানান বাবুল আক্তারের আইনজীবী গোলাম মওলা মুরাদ।
মামলায় বিবাদী করা হয় পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশনের (পিবিআই) বর্তমান প্রধান বনজ কুমার মজুমদার, পিবিআই চট্টগ্রাম জেলার ইনচার্জ পুলিশ সুপার নাজমুল হাসান, পিবিআই মেট্রোর ইনচার্জ পুলিশ সুপার নাঈমা সুলতানা, পিবিআই এর তৎকালীন পরিদর্শক ও বর্তমানে নগরের খুলশী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সন্তোষ কুমার চাকমা, পিবিআই চট্টগ্রাম জেলার সাবেক পরিদর্শক এ কে এম মহিউদ্দিন সেলিম ও পিবিআই পরিদর্শক কাজী এনায়েত কবিরকে।
মামলার আবেদনকারী আইনজীবী গোলাম মাওলা মুরাদ বলেন, বাবুল আক্তারকে স্বীকারোক্তি আদায়ের চেষ্টায় বিভিন্ন সময়ে নির্যাতনের অভিযোগ এনে এ মামলা গ্রহণের আর্জি জানানো হয়েছে। ওই অভিযোগ মামলা হিসেবে গ্রহণ করা হবে কি-না, সে বিষয়ে আগামি ২৫ সেপ্টেম্বর আদালত সিদ্ধান্ত দেবে।
গত ১৩ সেপ্টেম্বর মিতু হত্যা মামলায় বাবুল আক্তারসহ ৭ জনকে আসামি করে আদালতে চার্জশিট দিয়েছে পিবিআই। ১০ অক্টোবর মামলার শুনানির তারিখ ধার্য রয়েছে।
২০১৬ সালের ৫ জুন জিইসি মোড় এলাকায় খুন হন মাহমুদা খানম মিতু। এ ঘটনায় ওই বছরের ৬ জুন জঙ্গিরা জড়িত দাবি করে স্বামী বাবুল আকতার পাঁচলাইশ থানায় হত্যা মামলা করেন।
পাঁচলাইশ থানা পুলিশের পর নগর গোয়েন্দা পুলিশ মামলাটি তদন্ত করে। তারা প্রায় তিন বছর তদন্ত করেও অভিযোগপত্র দিতে ব্যর্থ হয়।
পরে ২০২০ সালের জানুয়ারিতে আদালতের নির্দেশে মামলা তদন্তের ভার পায় পিবিআই। ২০২১ সালের ১১ মে বাবুল আক্তারকে হেফাজতে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করে মামলার তদন্তকারী সংস্থা পিবিআই। তদন্তে বাবুল আক্তারের সম্পৃক্ততা পাওয়ার কথা উল্লেখ করে তার বিরুদ্ধে মামলা দায়েরের লক্ষ্যে ২০২১ সালের ১২ মে ওই মামলার ৫৭৫ পৃষ্ঠার চূড়ান্ত প্রতিবেদন আদালতে জমা দেয়।
হত্যাকাণ্ডে বাবুল জড়িত বলে সন্দেহ তৈরি হলে একইদিন মিতুর বাবা মোশাররফ হোসেন নগরের পাঁচলাইশ থানায় আরেকটি হত্যা মামলা করেন। মামলায় বাবুল আক্তারসহ ৮ জনকে আসামি করা হয়।