আর্জেন্টিনা, ব্রাজিলের জয়ে উজ্জ্বল মেসি-নেইমার
প্রীতি ম্যাচটি হয়নি, কার্ড দেখার ঝুঁকি এড়াতে নিজেদের মধ্যকার বিশ্বকাপ বাছাই পর্বের স্থগিত হওয়া ম্যাচটিও খেলেনি ব্রাজিল-আর্জেন্টিনা। তবে বিশ্বকাপের আগে অন্যদের সঙ্গে প্রীতি ম্যাচ খেলে নিজেদের ঝালিয়ে নিচ্ছে বিশ্ব ফুটবলের দুই পরাশক্তি। বাংলাদেশ সময় শুক্রবার রাতে ব্রাজিল ও শনিবার ভোরে মাঠে নেমেছিল লাতিন আমেরিকা অঞ্চলের দেশ দুটি। দলের জয়ে কাণ্ডারীর ভূমিকায় ছিলেন তাদের প্রাণ ভোমরা লিওনেল মেসি ও নেইমার।
শুক্রবার রাতে ফ্রান্সের লু আভহাতে ঘানাকে ৩-০ গোলে হারিয়েছে ব্রাজিল। গোল না পেলেও উজ্জল ছিলেন নেইমার। রিচার্লিসনের করা দুই গোলই তার অ্যাসিস্ট করা। বাকি গোলটি করেন মার্কিনিয়োস। শনিবার ভোরে মায়ামির হার্ড রক স্টেডিয়ামে একই ব্যবধানে হন্ডুরাসকে হারায় আর্জেন্টিনা। জোড়া গোল করেন মেসি, বাকি গোলটি লাউতারো মার্তিনেসের।
গত বছরের জুলাইয়ে কোপা আমেরিকার ফাইনালে আর্জেন্টিনার বিপক্ষে হারের পর এ নিয়ে টানা ১৪ ম্যাচে অপরাজিত রইল ব্রাজিল। এর মধ্যে তাদের জয় ১১টিতে, ড্র করেছে তিন ম্যাচে। ঘানার বিপক্ষে ১১ বছর পর পাঁচবারের বিশ্ব চ্যাম্পিয়নরা। আফ্রিকার দেশটির বিপক্ষে খেলা পাঁচ ম্যাচর সবগুলোতেই জিতল ব্রাজিল।
ব্রাজিলের ম্যাচে সবগুলো গোলই হয় প্রথমার্ধে। ম্যাচের নবম মিনিটেই দলকে এগিয়ে নেন মার্কিনিয়োস। কর্নার কিকের লাফিয়ে উঠা বলে মাথা ছুঁইয়ে বল জাল জড়ান পিএসজির এই ডিফেন্ডার। ২৮তম মিনিটে ব্যবধান দ্বিগুণ করে ব্রাজিল। নেইমারের পাস ডি-বক্সে পেয়ে প্রথম স্পর্শে ডান পায়ের শটে গোল করেন রিচার্লিসন। ৪০তম মিনিটে ব্যবধান ৩-০ করেন রিচার্লিচন। নেইমারের ফ্রি-কিক থেকে দারুণ হেডে দলের তৃতীয় ও নিজের দ্বিতীয় গোলটি করেন ব্রাজিলের ২৫ বছর বয়সী এই ফরোয়ার্ড।
ব্রাজিলের মতো আর্জেন্টিনাও ম্যাচের শুরুর ভাগেই এগিয়ে যায়। একপেশে ম্যাচে ১৬তম মিনিটে ডি-বক্সে থ্রু পাস দেন মেসি। বাঁ দিক থেকে ছুটে গিয়ে প্রথম ছোঁয়ায় পাপু গোমেজ বল বাড়ান ছোট বক্সে, তার দিকে গোলরক্ষক আগেই এগিয়ে যাওয়ায় স্লাইড শটে ফাঁকা জালে বল পাঠান মার্তিনেস।
প্রথমার্ধের যোগ করা সময়ে দ্বিতীয় গোলের দেখা পায় আর্জেন্টিনা। ডি-বক্সে জিওভানি লো সেলসো ফাউলের শিকার হলে পেনাল্টি পায় দুইবারের চ্যাম্পিয়নরা। নিখুঁত স্পট কিকে ব্যবধান দ্বিগুণ করেন মেসি। ৬৯তম মিনিটে প্রতিপক্ষের ভুলের সুযোগ কাজে লাগিয়ে নিজের দ্বিতীয় গোলটি করেন মেসি। এনসো ফার্নান্দেসের চাপের মুখে বল হারিয়ে ফেলে হন্ডুরাসের কেরভিন। বল পেয়ে ২৫ গজ দূর থেকে স্কুপ শট নেন মেসি, বল জড়ায় জালে।