রপ্তানিতে বাড়ল ডলারের দাম, কমেছে রেমিট্যান্সে
রপ্তানির ক্ষেত্রে এখন থেকে ডলারের দাম পাবেন ৯৯ টাকা ৫০ পয়সা এবং রেমিট্যান্স সংগ্রহে ডলারের দাম সর্বোচ্চ ১০৭ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে।
এর আগে রপ্তানির জন্য ডলারের দাম ছিল ৯৯ টাকা এবং ব্যাংকগুলো রেমিট্যান্স আনতে পারতো সর্বোচ্চ ১০৭ টাকা ৫০ পয়সায়। অর্থাৎ, রপ্তানিতে ডলারের দাম ৫০ পয়সা বাড়ানো হয়েছে এবং রেমিট্যান্সে কমানো হয়েছে ৫০ পয়সা।
রোববার অ্যাসোসিয়েশন অব ব্যাংকার্স বাংলাদেশ (এবিবি) ও বাংলাদেশ এক্সচেঞ্জ ডিলারস অ্যাসোসিয়েশন (বাফেদা)-র মধ্যে এক বৈঠকে নতুন হার নির্ধারণের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।
আজ সোমবার থেকে রপ্তানিতে ডলারের নতুন রেট কার্যকর হবে। রেমিট্যান্সের রেট কার্যকর হবে ১ নভেম্বর থেকে।
বাফেদার এক্সিকিউটিভ কমিটির চেয়ারম্যান এবং সোনালী ব্যাংকের সিইএ মোহাম্মদ আফজাল করিম বলেন, 'এটা আমাদের নিয়মিত সভা। এই সভায় আমরা পুরো পরিস্থিতি পর্যালোচনা করি। নতুন দাম নির্ধারণের কারণে ডলারের দামের পার্থক্য কমে এসেছে। রেমিট্যান্সে ডলারের দাম নিয়ে যে অস্বাস্থ্যকর প্রতিযোগিতা ছিল, সেটি এখন নেই। ফলে, আমাদের আমদানি ব্যয় মেটাতে খরচ কম হচ্ছে।'
'নতুন নির্ধারিত রেট সব ব্যাংকে কার্যকর হবে,' বলেন তিনি।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক সভায় উপস্থিত একজন ব্যাংকার টিবিএসকে বলেন, 'সরকারি প্রণোদনার বাইরে কোনো ব্যাংক প্রণোদনা দিতে পারবে না বলেও সিদ্ধান্ত হয়েছে। অনেক ব্যাংক ইদানীং আলাদা করে প্রণোদনার ঘোষণা করেছিল। তাই ব্যাংকগুলো সম্মিলিতভাবে এই সিদ্ধান্ত নিয়েছে।'
এছাড়াও রেমিট্যান্স সংগ্রহে ইউরো থেকে টাকায় কনভার্সন রেট নির্ধারণ করার ক্ষেত্রে ডলার থেকে ইউরো কনভার্সন রেটের সঙ্গে সামঞ্জস্য রাখার জন্যও ব্যাংকগুলোকে বলা হয়েছে। কিছু ব্যাংক ইউরো থেকে টাকায় কনভার্সনের ক্ষেত্রে দাম বেশি দেওয়ায় এমন সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।
এর আগে ১১ সেপ্টেম্বর ব্যাংকারদের সভায় ৯৯ টাকায় রপ্তানি এবং ১০৮ টাকায় রেমিট্যান্স নির্ধারণের সিদ্ধান্ত হয়, যা ১২ সেপ্টেম্বর থেকে কার্যকর হয়।
পরে ২৬ সেপ্টেম্বর আরেক সভায় রেমিট্যান্সের ডলারের দাম ৫০ পয়সা কমিয়ে ১০৭.৫০ টাকা নির্ধারণ করে ব্যাংকাররা। তখনই তারা বলেছিলেন, একটা নির্দিষ্ট সময় পরপর সভা করে ডলারের দাম পর্যালোচনা করা হবে। সে ধারাবাহিকতাতেই ফের দাম সমন্বয় করলেন তারা।