দেশীয় পণ্যের প্রদর্শনে আন্তর্জাতিক মেলার আয়োজন করবে এফবিসিসিআই
স্থানীয় পণ্য ও সেবাকে বিশ্ব দরবারে তুলে ধরতে তিনদিনব্যাপী 'বেস্ট অব বাংলাদেশ' আন্তর্জাতিক মেলার আয়োজন করবে দ্য ফেডারেশন অব বাংলাদেশ চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রি (এফবিসিসিআই)।
আন্তর্জাতিক পরিমন্ডলে ব্যবসা ও বিনিয়োগ আকর্ষণে বাংলাদেশ বিজনেস সামিট আয়োজন করবে সংগঠনটি, যাতে বিভিন্ন দেশের প্রতিনিধিরা অংশ নেবেন।
সংগঠনটির ৫০ বছর পূর্তি উদযাপনের অংশ হিসাবে বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে এই বিজনেস সামিট অনুষ্ঠিত হবে।
এই আয়োজনের মাধ্যমে বাংলাদেশের আর্থ-সামাজিক অগ্রগতি ও সুবিশাল বিনিয়োগ সম্ভাবনা তুলে ধরে দেশী-বিদেশী বিনিয়োগ আর্কষণে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে বলে মনে করছে এফবিসিসিআই।
উল্লেখ্য, ১৯৭৩ সালে এফবিসিসিআই প্রতিষ্ঠিত হয়, যার মূল উদ্দেশ্য বাংলাদেশের বিভিন্ন ব্যবসায়ী সংগঠন ও চেম্বারসমূহকে একত্রিত করে সামগ্রিক ব্যবসা উন্নয়নে কাজ করা।
সংগঠনটির সুবর্ণজয়ন্তী উদযাপনে আগামী ২০২৩ সালের ১১-১৩ মার্চ তিন দিনের কর্মসূচী পরিকল্পনা করেছে এফবিসিসিআই, যার দুই দিন (১১-১২ মার্চ) বাংলাদেশ বিজনেস সামিট অনুষ্ঠিত হবে।
এই সামিটে সম্ভাবনাময় বিনিয়োগ আগ্রহী দেশসমূহ অংশগ্রহণ করবে, যাতে বাংলাদেশে বিনিয়োগ সম্ভাবনা ও সুযোগ সুবিধা তুলে ধরবে ব্যবসায়ীদের শীর্ষ এই সংগঠন।
সামিটে বিদেশী অতিথিদের আমন্ত্রণে সহযোগিতা চেয়ে ২ নভেম্বর বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ে চিঠি দিয়েছে সংগঠনটি।
বাণিজ্য মন্ত্রীকে দেওয়া চিঠিতে বলা হয়েছে, বিজনেস সামিটের প্রথম দিনে উদ্বোধনী অনুষ্ঠান ও একটি প্লেনারি সেশন অনুষ্ঠিত হবে, যাতে বাংলাদেশের বিনিয়োগ সম্ভাবনা ও সুযোগ সুবিধা বিদেশী অতিথিদের নিকট তুলে ধরবে।
দ্বিতীয় দিনে এসএমই, অবকাঠামো, ডিজিটাল ইকোনমি, কনজ্যুমার গুডস/এফএমসিজি, দীর্ঘমেয়াদী অর্থায়ন ও গ্রীন ইনভেস্টমেন্ট নিয়ে ৫টি প্যারালাল সেশন হবে।
চিঠিতে বলা হয়, স্থানীয় আলোচকদের পাশাপাশি সম্ভাবনাময় বিনিয়োগ আগ্রহী দেশসমূহ বিশেষ করে জাপান, ইতালি, সিঙ্গাপুর, চীন, যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য, সৌদি আরব, সংযুক্ত আরব আমিরাত, ভারত, মালয়েশিয়া, কানাডা, থাইল্যান্ড, তুরস্ক ও ব্রনাই, দক্ষিণ কোরিয়া এবং ইন্দোনেশিয়ার দেশসমূহের নীতি নির্ধারক, বিনিয়োগকারী, ব্যবসায়ী ও অংশীদারগণ অংশ নেবেন।
চিঠিতে বলা হয়, ইউরোপীয় ইউনিয়নের ট্রেড কমিশনার এবং ওয়ার্ল্ড ট্রেড অর্গানাইজেশনের ডিজিকে আমন্ত্রণ জানাবে এফবিসিসিআই।
উল্লিখিত দেশসমূহের বাণিজ্য, শিল্প, বিনিয়োগ, সংশ্লিষ্ট মন্ত্রী, আন্তর্জাতিক ট্রেড কমিশনার ও ওয়ার্ল্ড ট্রেড অর্গানাইজেশনের ডিজিকে আমন্ত্রণ জানাতে সহযোগিতা চেয়েছে এফবিসিসিআই।