নেদারল্যান্ডসের কমলা উৎসব নাকি যুক্তরাষ্ট্রের তারুণ্য?
কাতার বিশ্বকাপের নক-আউট পর্বের প্রথম ম্যাচে মুখোমুখি হবে নেদারল্যান্ডস এবং যুক্তরাষ্ট্রে। ৮ বছর পর বিশ্বকাপ খেলতে নামা ডাচদের সামনে সুযোগ রাশিয়া বিশ্বকাপ খেলতে না পারার ক্ষতে আরেকটু প্রলেপ দেওয়ার, যুক্তরাষ্ট্র জিতলে ২০২৬ বিশ্বকাপ আয়োজন করার আগে আরো আত্মবিশ্বাস পাবে তারা।
'এ' গ্রুপের চ্যাম্পিয়ন হওয়ায় শেষ ষোলোয় 'বি' গ্রুপের রানার্স-আপ যুক্তরাষ্ট্রকে সামনে পেয়েছে নেদারল্যান্ডস। বিশ্বকাপের নক-আউট পর্বে ডাচরা একটু অন্যরকম, ফেভারিটের কাতারে না পরলেও জেতার কোনো একটা উপায় বের করেই ফেলে তারা। অপরদিকে যুক্তরাষ্ট্রের এই তরুণ কিন্তু প্রতিভাবান দলের গ্রুপ পর্বের খেলা দেখে মুগ্ধ অনেকেই।
দুই দলই অপরাজিত থেকে নক-আউটে উঠেছে।
দুই দলের মুখোমুখি হওয়ার আগে দেখে নেওয়া যাক কাতার বিশ্বকাপে তাদের পারফরম্যান্স-
নেদারল্যান্ডস
'এ' গ্রুপ থেকে অপরাজিত চ্যাম্পিয়ন হয়ে শেষ ষোলোয় এসেছে ডাচরা। সেনেগাল এবং স্বাগতিক কাতারকে হারানোর সাথে ইকুয়েডরের বিপক্ষে ড্র করেছেন ভার্জিল ভ্যান ডাইকরা।
গ্রুপ পর্বে নেদারল্যান্ডসের ফলাফল-
নেদারল্যান্ডস ২-০ সেনেগাল
নেদারল্যান্ডস ১-১ ইকুয়েডর
নেদারল্যান্ডস ২ -০ কাতার
গ্রুপ পর্বের তিন ম্যাচেই গোল করেছেন ২৪ বছর বয়সী উইঙ্গার কোডি গাকপো, ৩ গোল করে কাতারে গোল্ডেন বুটের লড়াইয়েও আছেন এই তরুণ তারকা।
যুক্তরাষ্ট্র
'বি' গ্রুপে যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিপক্ষ ছিল ইংল্যান্ড, ওয়েলস এবং ইরান। যুক্তরাজ্যের দুই দলের সঙ্গে ড্র করলেও রাজনৈতিক প্রতিপক্ষ ইরানকে হারিয়ে অপরাজিত থেকেই গ্রুপ রানার্স-আপ হয়ে শেষ ষোলো নিশ্চিত করেছে গ্রেগ বেরহালটারের দল।
গ্রুপ পর্বে যুক্তরাষ্ট্রের ফলাফল-
যুক্তরাষ্ট্র ১-১ ওয়েলশ
যুক্তরাষ্ট্র ০–০ ইংল্যান্ড
যুক্তরাষ্ট্র ১-০ ইরান
বিশ্বকাপে নেদারল্যান্ডস এবং যুক্তরাষ্ট্র এর আগে কখনো একে অপরের মুখোমুখি হয়নি।
নেদারল্যান্ডসের শক্তি এবং দুর্বলতা-
ডাচদের বড় শক্তির জায়গা তাদের রক্ষণভাগ। লিভারপুল ডিফেন্ডার এবং দলের অধিনায়ক ভার্জিল ভ্যান ডাইক অনেকের মতেই বিশ্বসেরা ডিফেন্ডার। এছাড়াও আছেন ম্যাথিস ডি লিট, নাথান একের মতো ডিফেন্ডাররা। গ্রুপ পর্বে মাত্র একটি গোলই হজম করেছে লুই ফন হালের দল।
তবে আক্রমণভাগে এক কোডি গাকপোর উপর বেশি নির্ভরশীল নেদারল্যান্ডস দলের করা ৫ গোলের ৩ টিই করেছে গাকপো।
যুক্তরাষ্ট্রের বিপক্ষে জিততে নিজের অন্য ফরোয়ার্ডদের দিকেও তাকিয়ে থাকবেন লুই ফন হাল।
যুক্তরাষ্ট্রের শক্তি এবং দুর্বলতা-
যুক্তরাষ্ট্রের সবথেকে বড় শক্তির দিক তাদের হার না মানা মানসিকতা। এবারের দলে ২৪ বছরের নিচে খেলোয়াড়দের সংখ্যাই বেশি। তারুণ্যের সাহসিকতা দেখিয়ে এখন পর্যন্ত অপরাজিত যুক্তরাষ্ট্র। নিজেদের থেকে বেশি শক্তির নেদারল্যান্ডসকে হারিয়ে শেষ আটে যেতে চাইলে যেটি থাকা জরুরি।
বিপরীতে নেদারল্যান্ডসের মতোই সমস্যা যুক্তরাষ্ট্রেও। গ্রুপ পর্বে নেদারল্যান্ডস ৫ গোল করলেও যুক্তরাষ্ট্রের গোল মাত্র ২ টি। দুর্দান্ত খেলে ভালো সুযোগ তৈরি করেও সেটি গোলে রূপান্তর করতে না পারাটা যুক্তরাষ্ট্রের জন্য কাল হয়ে দাঁড়াতে পারে ডাচদের সামনে।