এমন দিনের কথা স্বপ্নেও ভাবেননি রামোস
শেষ ষোলোয় সুইজারল্যান্ডের বিপক্ষে পর্তুগালের একাদশে ক্রিশ্চিয়ানো রোনালদোকে না দেখে অনেকেরই চক্ষু চড়কগাছ হয়েছিল।
তার বদলে শুরুর একাদশে নামা ২১ বছর বয়সী গনসালো রামোসই কিনা করলেন কাতার বিশ্বকাপের প্রথম হ্যাটট্রিক! সুইসদেরকে বিধ্বস্ত করে পর্তুগালও উঠে গেছে শেষ আটে।
ম্যাচের পর নিজের প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করতে গিয়ে রামোস জানান নিজের দূরতম কল্পনাতেও ভাবেননি এই পরিস্থিতির কথা, 'সত্যি বলতে আমি নিজের সবথেকে দূরতম স্বপ্নেও ভাবিনি যে বিশ্বকাপের নক-আউট ম্যাচের শুরু থেকে খেলব, হ্যাটট্রিক করা তো দূরে থাক।'
এমন দুর্দান্ত পারফরম্যান্সের পরও মরক্কোর বিপক্ষে শেষ আটের লড়াইয়ে দলে শুরু থেকে খেলবেন কিনা সেই বিষয়ে নিশ্চিত নন রামোস।
কারণ যাকে বসিয়ে তাকে খেলানো হয়েছে সেই ক্রিশ্চিয়ানো রোনালদো যে এখনও সেরা সেটি নিয়ে কোনো সন্দেহ নেই রামোসের, 'রোনালদো এই দলের নেতা, তাকে বসিয়ে রাখা নিয়ে দলের মধ্যে কোনো সমস্যা তো নেই বরং সে সবাইকে সাহায্য করেছে এবং সাহস জুগিয়েছে।'
গনসালো রামোসকে দলে রেখে বেশ বড়সড় একটা ঝুঁকি নিয়েছিলেন পর্তুগাল কোচ সান্তোস, যাকে বসিয়ে রামোসকে নেয়া সেই রোনালদোর ঝুলিতে আছে ১১৮ আন্তর্জাতিক গোল।
আর রামোস এর আগে খেলেছেন ৩৩ মিনিটের আন্তর্জাতিক ফুটবল। চালটা কাজে না দিলে চাকরিই হয়তো থাকতো না সান্তোসের।
কিন্তু আস্থার প্রতিদান এর থেকে ভালোভাবে দেওয়া সম্ভব নয়, রামোস নিজেও স্মরণীয় করে রাখলেন পর্তুগালের হয়ে তার প্রথম একাদশের প্রথম শুরুটা। পেলের পর তিনিই এখন বিশ্বকাপের নক-আউট পর্বে সবথেকে কম বয়সে হ্যাট্রিক করা খেলোয়াড়।