‘সকলের সঙ্গে বন্ধুত্ব, কারও প্রতি বিদ্বেষ নয়’- যুক্ত হলো জাতিসংঘের রেজ্যুলেশনে
জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ঐতিহাসিক উক্তি 'সকলের সঙ্গে বন্ধুত্ব, কারও প্রতি বিদ্বেষ নয়'- যা বাংলাদেশের পররাষ্ট্রনীতির ভিত্তি হিসেবেও পরিচিত- জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদের (ইউএনজিএ) রেজ্যুলেশনের ১৪ তম অনুচ্ছেদে অন্তর্ভূক্ত করা হয়। এর শিরোনাম দেওয়া হয়েছে- 'ইন্টারন্যাশনাল ইয়ার অব ডায়ালগ অ্যাজ আ গ্যারান্টি অব পিস, ২০২৩'।
কোভিড-পরবর্তী বিশ্বব্যবস্থা ও রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের বৈশ্বিক প্রেক্ষাপটে তুর্কমেনিস্তান ইউএনজিএ'র পূর্ণাঙ্গ সভায় এই রেজ্যুলেশনটি পেশ করে।
মঙ্গলবার (৬ ডিসেম্বর) সর্বসম্মতিক্রমে তা গৃহীত হয়।
বিশ্ব মানবতা ও শান্তির দৃঢ় প্রবক্তা বঙ্গবন্ধুর ঐতিহাসিক উক্তিটি প্রথমবারের মতো জাতিসংঘের একটি প্রস্তাবে অন্তর্ভুক্ত হলো।
রেজ্যুলেশনের ১৪তম অনুচ্ছেদে বঙ্গবন্ধুর উদ্ধৃতিটি যেভাবে অন্তর্ভুক্ত হয়েছে: "দারিদ্র্য, ক্ষুধা, রোগ, নিরক্ষরতা ও বেকারত্বের বিরুদ্ধে লড়াইয়ের গুরুত্ব স্বীকার করে এবং গঠনমূলক সহযোগিতা, সংলাপ ও পারস্পরিক বোঝাপড়ার চেতনায় 'কারও প্রতি বিদ্বেষ নয়, আমরা চাই সকলের সঙ্গে বন্ধুত্ব'-এর প্রতি জোর দেওয়া এই উদ্দেশ্যগুলো অর্জনে সহায়তা করবে।"
এই অংশটি ১৯৭৪ সালের ২৫ সেপ্টেম্বর জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদে বঙ্গবন্ধুর দেওয়া প্রথম ভাষণের ভিত্তিতে তৈরি করা হয়; সে ভাষণে বঙ্গবন্ধু বিশ্ব শান্তি প্রতিষ্ঠার প্রয়োজনীয়তার ওপর জোর দিয়েছিলেন।
আজ বুধবার (৭ ডিসেম্বর) বাংলাদেশ মিশন জানায়, জাতিসংঘে বাংলাদেশের স্থায়ী প্রতিনিধি রাষ্ট্রদূত মোহাম্মদ আব্দুল মুহিতের নির্দেশনায় বাংলাদেশ মিশন রেজ্যুলেশনের প্রস্তুতিতে নিবিড়ভাবে কাজ করেছে।
উপ-স্থায়ী প্রতিনিধি ড. মনোয়ার হোসেন সক্রিয়ভাবে আলোচনায় অংশগ্রহণ করেন এবং রেজ্যুলেশনে জাতির পিতার ঐতিহাসিক উক্তি অন্তর্ভুক্ত করতে সক্ষম হন।
বাংলাদেশ ও অন্যান্য দক্ষিণ এশীয় দেশসহ ৭০টি দেশ রেজ্যুলেশনটি সমর্থন করে।