নয়াপল্টনে পুলিশের 'ক্রাইম জোন', সাংবাদিকদের প্রবেশ নিষিদ্ধ
রাজধানীর নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে জড়ো হয়েছে পুলিশের কাউন্টার টেরোরিজম অ্যান্ড ট্রান্সন্যাশনাল ক্রাইমের বোম ডিস্পোজাল ইউনিট।
বিএনপি কেন্দ্রীয় কার্যালয় ঘিরে এলাকাটিকে ব্যারিকেড টেপ দিয়ে কর্ডন করে রাখা হয়েছে।
ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) যুগ্ম কমিশনার (অপারেশনস) বিপ্লব কুমার সরকার দ্য বিজনেস স্ট্যান্ডার্ডকে বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, "একাধিক ইম্প্রোভাইজড এক্সপ্লোসিভ ডিভাইস পাওয়ার পর বোম ডিস্পোজাল ইউনিটের গাড়িগুলো এখানে আনা হয়েছে।"
তিনি আরও বলেন, "পুলিশ 'ক্রাইম সিন'টি বিশ্লেষণ করছে যার অংশ হিসেবে বিএনপির দলীয় কার্যালয় সংলগ্ন এলাকায় নজরদারি বাড়ানোর জন্য সিসিটিভি ক্যামেরা স্থাপন করা হচ্ছে।"
পুলিশের এই কর্মকর্তা সাংবাদিকদের অবিলম্বে এলাকাটি ছেড়ে যাওয়ার অনুরোধ করেন।
এর আগে বুধবার (৮ ডিসেম্বর) পুলিশ দাবি করে, নয়াপল্টনে বিএনপি কার্যালয়ের ভেতরে প্রাপ্ত ইম্প্রোভাইজড এক্সপ্লোসিভ ডিভাইসগুলো (আইইডি) তারা প্রকাশ্যে নিষ্ক্রিয় করেছেন।
ডিএমপির যুগ্ম কমিশনার আরও দাবি করেন, বিএনপির প্রধান কার্যালয়ের দ্বিতীয় তলা থেকে পুলিশ সদস্যদের লক্ষ্য করে ক্রুড বোমা নিক্ষেপ করা হয়েছে।
পুলিশি অভিযানের পর এদিন ঘটনাস্থল থেকে ১১টি প্রিজন ভ্যানে করে অনেককে আটক করে নিয়ে যাওয়া হয়।
এছাড়াও নয়াপল্টনে বিএনপি কার্যালয়ে অভিযান চালিয়ে রান্না করে রাখা খিচুড়ি, রান্নার সরঞ্জামাদি ও থালাবাসন উদ্ধার করেছে পুলিশ।
বিএনপি কার্যালয়ের বাইরে পণ্যবাহী একটি কাভার্ড ভ্যানও জব্দ করেছে পুলিশ। গাড়িটির সামনের কাচ ভাঙা দেখা গেছে।
কার্যালয়ের পাশ থেকে অন্তত ৫০টি মোটরসাইকেল জব্দ করেও পুলিশ ভ্যানে করে পল্টন থানায় নিয়ে যাওয়া হয়েছে।