হারলেও মহাকাব্যিক ফাইনালের লড়াইয়ে গর্বিত ফ্রান্স
ইতিহাস গড়ার হাতছানি ছিল ফ্রান্সের সামনে। ইতালি এবং ব্রাজিলের পর তৃতীয় দল হিসেবে পরপর দুইবার বিশ্বচ্যাম্পিয়ন হওয়ার লক্ষ্যে আর্জেন্টিনার বিপক্ষে ফাইনালে লড়তে নেমেছিল দিদিয়ের দেশমের দল। পেন্ডুলামের মতো দুলতে থাকা ম্যাচে টাইব্রেকারে ৪-২ গোলে হেরে ইতিহাস গড়া হয়নি লে ব্লুজদের।
তবে রানার্স-আপ হলেও মাথা উঁচুই আছে ফ্রান্সের, দলের অধিনায়ক হুগো লরিস এবং ডিফেন্ডার রাফায়েল ভারানের কথায় অন্তত সেটিরই বহিঃপ্রকাশ।
২০১৮ রাশিয়া বিশ্বকাপ জেতার পর ২০২২ কাতার বিশ্বকাপেও ফাইনালে উঠাকেও বড় অর্জন মনে করেন এই দুজন।
বিশ্বকাপে আসার আগেই দলের মাঝমাঠের নির্ভরযোগ্য দুই খেলোয়াড় পল পগবা এবং এনগোলো কান্তেকে হারায় ফ্রান্স। বিশ্বকাপে এসে ছিটকে যান ব্যালন ডি'অর জয়ী করিম বেনজেমা।
এতসব প্রতিবন্ধকতা পেরিয়ে ফাইনাল খেলাকে বড় অর্জন মনে করাটাই স্বাভাবিক। ম্যাচশেষে লরিস বলেন, 'আজকে প্রথম ৬০ মিনিটে আমরা ম্যাচে ছিলাম না। কিন্তু তারপরেও আমরা যেভাবে ফিরে এসে ম্যাচ জিতেই যাচ্ছিলাম, তাতে আমরা গর্বিত হতেই পারি।'
এদিকে ম্যাচের আগে 'ক্যামেল ফ্লু'তে আক্রান্ত শোনা গেলেও ফাইনালে খেলেছেন ভারানে, বিশ্বকাপ না জিতলেও দলের জন্য প্রশংসার কমতি নেই তার, 'আমাদের অনেক সমস্যার মুখোমুখি হতে হয়েছে পুরো টুর্নামেন্টজুড়েই। তবুও যেভাবে আমরা ফাইনালে এসেছি তাতে গর্ব করার অনেক কিছুই আছে আমাদের।'
চ্যাম্পিয়ন হওয়া আর্জেন্টিনার জন্যেও প্রশংসার বাক্য ছিল লরিসের, 'আর্জেন্টিনা দুর্দান্ত খেলেছে। তারা শুরু থেকেই আক্রমণাত্মক ছিল, আমরা বেশ চাপে ছিলাম।'
১৯৯৮ বিশ্বকাপে ব্রাজিলের ডিফেন্ডিং চ্যাম্পিয়ন হিসেবে ফাইনালে উঠার পর ফ্রান্সই প্রথম দল, যারা বিশ্বকাপ শিরোপা জেতার পরেরবার আবারও ফাইনালে উঠেছে। এ নিয়ে গর্ব করতেই পারে লে ব্লুজরা।