হাসপাতাল লকডাউন, খাবার হোটেলে চিকিৎসা
পুরো হাসপাতাল লকডাউনে। তাই সামনের একটি খাবার হোটেলে চালু করা হয়েছে বহির্বিভাগের চিকিৎসা সেবা। সেখানে বসেই সামাজিক দূরত্ব বজায় রেখে রোগী দেখছেন চিকিৎসকরা।
তিনদিন বন্ধ থাকার পর মঙ্গলবার দুপুর থেকে এভাবেই শুরু হয়েছে নেত্রকোনার খালিয়াজুরী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের চিকিৎসা কার্যক্রম।
জানা গেছে, গত শুক্রবার খালিয়াজুরী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে কর্মরত একজন সিনিয়র নার্সের শরীরের নমুনা পরীক্ষায় করোনাভাইরাসের সংক্রমণ ধরা পড়ে। ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মাইক্রোবায়োলজি বিভাগ থেকে এ রিপোর্ট পাওয়ার পরপরই স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সটি লকডাউন ঘোষণা করে স্থানীয় প্রশাসন।
একই সঙ্গে ওই নার্সের সংস্পর্শে আসা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের তিনজন চিকিৎসকসহ প্রায় ২০ কর্মচারীকে সেলফ কোয়ারেন্টিনে পাঠানো হয়।
এর ফলে হাসপাতালটির চিকিৎসা কার্যক্রম পুরোপুরি অচল হয়ে পড়ে। হাওরাঞ্চলের ওই উপজেলায় আর কোনো চিকিৎসাকেন্দ্র না থাকায় সেখানে চিকিৎসা সঙ্কট দেখা দেয়।
এমন পরিস্থিতিতে স্থানীয় উপজেলা প্রশাসন ও স্বাস্থ্যসেবা বিভাগ খালিয়াজুরী ডাকবাংলার সামনের মার্কেটের একটি খাবার হোটেলে হাসপাতালটির বহির্বিভাগের সেবা চালু করার সিদ্ধান্ত নেয়। সে অনুযায়ী মঙ্গলবার দুপুর থেকে 'রংধনু হোটেল' নামে ওই ঘরটিতে সেবা দেওয়া শুরু হয়। হোটেলটির বাণিজ্যিক কার্যক্রম সাময়িকভাবে বন্ধ রয়েছে।
খালিয়াজুরী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা এ এইচ এম আরিফুল ইসলাম বলেন, উপজেলাবাসীর স্বাস্থ্যসেবার কথা বিবেচনা করে আমরা আপাতত ওই খাবার হোটেলেই চিকিৎসা সেবা চালু করেছি। প্রয়োজনে সেটি অন্য কোথায়ও স্থানান্তর করা হবে।
উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা (ভারপ্রাপ্ত) ডা. মাসরুর সিয়াম জানান, হাসপাতালের যে ক'জন চিকিৎসক, নার্স ও কর্মচারী করোনাভাইরাসে আক্রান্ত নার্সের সংস্পর্শে যাননি, তারাই রুটিনমাফিক সেখানে বসে চিকিৎসা ও পরামর্শ দিচ্ছেন।
এদিকে বহির্বিভাগের সেবা চালু করা হলেও লকডাউনের কারণে অভ্যন্তরীণ সেবা (ইনডোর) অর্থাৎ রোগী ভর্তি কার্যক্রম বন্ধ রয়েছে।