দেশের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা চুয়াডাঙ্গায়
তীব্র শীতে কাঁপছে চুয়াডাঙ্গা। শনিবার দেশের ও এ মৌসুমের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ৮ দশমিক ৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস রেকর্ড করা হয়েছে চুয়াডাঙ্গায়। আবহাওয়া অধিদপ্তর জানিয়েছে এ তথ্য।
চুয়াডাঙ্গার ওপর দিয়ে বয়ে যাচ্ছে মৃদু শৈত্যপ্রবাহ। শুক্রবার এ জেলায় সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ৯ ডিগ্রি সেলসিয়াস রেকর্ড করা হয়। আর বাতাসের আর্দ্রতার পরিমাণ আজ ৯৫ শতাংশ।
রোববার তাপমাত্রা আরও কমতে পারে বলে জানিয়েছে আবহাওয়া অফিস।
এদিকে বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে সূর্যের দেখা মেলেনি, বেড়েছে উত্তরের হিমেল হাওয়ায় ঠান্ডার মাত্রা। ফলে বিপর্যস্ত অবস্থায় রয়েছে এ এলাকার মানুষ।
তীব্র শীত ও ঠান্ডা বাতাস মিলিয়ে ব্যাহত হচ্ছে চুয়াডাঙ্গার সাধারণ মানুষের স্বাভাবিক জীবনযাত্রা। বেশি দুর্ভোগে পড়েছেন এ এলাকার খেটে খাওয়া মানুষ।
এলাকার বিভিন্ন মোড়ে মোড়ে ও চায়ের দোকানে শীত নিবারণের চেষ্টায় খড়কুটো জ্বালিয়ে উত্তাপ নিতে দেখা গেছে নিম্ন আয়ের মানুষদের।
তীব্র শীতে প্রয়োজনীয় কাজ ছাড়া কেউ ঘরের বাইরে বের হচ্ছেন না। শীত থেকে বাঁচতে সরকারি বিভিন্ন সাহায্য সহযোগিতা চেয়েছেন এসব সাধারণ মানুষ।
বেসরকারি চাকরিজীবী শারমিন মালিক বলেন, "চুয়াডাঙ্গা থেকে অন্যদিন ভোরে মেহেরপুরে অফিসের জন্য বের হই, কিন্তু শনিবার একটু বেলা করে বের হয়েও প্রচুর শীত লাগছে। আর রোদও উঠেনি, সঙ্গে ঠান্ডা বাতাস তো আছেই।"
জবান আলী নামের এক দিনমজুর বলেন, "শনিবার ভোরে কাজে যেতে পারিনি শুধু অতিরিক্ত শীতের কারণে। ঘরেও জমানো অর্থ নেই। খুব বিপদে আছি।"
এদিকে, শীতজনিত কারণে হাসপাতালগুলোতে নিউমোনিয়া ও ডায়রিয়া রোগীর সংখ্যা বেড়ে গেছে। বেশি আক্রান্ত হচ্ছে শিশু ও বৃদ্ধরা। চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালের শিশুওয়ার্ডসহ অন্যান্য ওয়ার্ডে বাড়ছে শীতজনিত রোগীর সংখ্যা।
চুয়াডাঙ্গা প্রথম শ্রেণির আবহাওয়া পর্যবেক্ষণাগারের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা রকিবুল হাসান জানান, এই পরিস্থিতি অব্যাহত থাকতে পারে আরও এক থেকে দু'দিন।