ভারতের কাছে অত্যাবশ্যকীয় ছয় নিত্যপণ্য আমদানির সংশোধিত কোটা প্রস্তাব দিয়েছে বাংলাদেশ
প্রতিবেশী ভারতের অনুরোধ অনুসারে, ছয়টি অত্যাবশ্যকীয় পণ্য আমদানির সংশোধিত কোটা প্রস্তাব পাঠিয়েছে বাংলাদেশের বাণিজ্য মন্ত্রণালয়।
গত বছরের ডিসেম্বরে ভারত সফরে গিয়ে রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ পরিস্থিতি বিবেচনায় ভারত সরকারের কাছে ছয়টি অত্যাবশ্যকীয় আমদানিতে বার্ষিক কোটা সুবিধা চান বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি।
এসময় বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে ৪৫ লাখ টন গম, ২০ লাখ টন চাল, ৭ লাখ টন পেঁয়াজ, ১৫ লাখ টন চিনি, এক লাখ ২৫ হাজার টন আদা, ৩০ হাজার টন ডাল ও ১০ হাজার টন রসুদ আমদানিতে বার্ষিক কোটা সুবিধা দেওয়ার প্রস্তাব করা হয়।
এর পরিপ্রেক্ষিতে ভারত সরকার প্রস্তাবে উল্লেখিত আমদানির পরিমাণ বাংলাদেশের জন্য খুবই বেশি বলে জানিয়ে, এটি সংশোধনের পরামর্শ দেয়।
ভারতের এই অনুরোধের পর গত সপ্তাহে এই ছয়টি অত্যাবশ্যকীয় পণ্যের সংশোধিত কোটা প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে বলে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের এক প্রজ্ঞাপনে জানানো হয়েছে।
এবিষয়ে বিস্তারিত আলোচনার জন্য আগামী মঙ্গলবার সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন মন্ত্রণালয়ের জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তাদের নিয়ে একটি জরুরি সভা করবে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়।
বাণিজ্যমন্ত্রী সম্প্রতি এক সংবাদ সম্মেলনে বলেছেন, 'বাংলাদেশে ভারতের সার্বিক শস্য রপ্তানি বছরে গড়ে প্রায় ৭ লাখ টন। সে তুলনায় কোটা প্রস্তাবে উল্লেখ করা পরিমাণ খুব বেশি হয়ে গেছে বলে মনে করছে দেশটি'।
স্থানীয় চাহিদা মেটাতে বিভিন্ন উৎস থেকে বাংলাদেশ বছরে প্রায় ৬৫ লাখ টন গম আমদানি করে থাকে। ইউক্রেন ও রাশিয়া থেকেও উল্লেখযোগ্য অংশ আমদানি করা হতো।