খুলনা, রাজশাহী স্টেডিয়াম সংস্কারের পরিকল্পনা বিসিবির
গত কয়েক আসরের মতো এবারও তিনটি ভেন্যুতে রাখা হয়েছে বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগের (বিপিএল) ম্যাচ। ঢাকা-চট্টগ্রাম-ঢাকা হয়ে বিপিএল এখন সিলেটে। এই পর্ব শেষ হবে ৩১ জানুয়ারি। এবারের আসরে সিলেট স্ট্রাইকার্স দুর্বার ছন্দে, ঘরের মাঠের দলের খেলা দেখতে সিলেট আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামে দেখা গেছে দর্শকদের চরম উন্মাদনা। সিলেটের সব ম্যাচে গ্যালারি কানায় কানায় পূর্ণ হয়ে গেছে। যা আগে কখনই দেখা যায়নি।
সবুজের বুকে গড়ে ওঠা সিলেট স্টেডিয়ামের নান্দনিকতায় মুগ্ধ অনেকেই, বিসিবিরও পছন্দের ভেন্যু হয়ে উঠেছে সিলেট। এ কারণে ভবিষ্যতে সিলেটে আরও বেশি ম্যাচ রাখা হবে বলে জানিয়েছেন বিসিবি সভাপতি নাজমুল হাসান পাপন। পাশাপাশি ভেন্যুর সংখ্যা বাড়াতে খুলনা ও রাজশাহীর স্টেডিয়ামের সংস্কার কাজের পরিকল্পনা হাতে নিয়েছে বিসিবি।
একটা সময়ে খুলনার শেখ আবু নাসের স্টেডিয়ামে নিয়মিত আন্তর্জাতিক ম্যাচ হতো। বিপিএলের প্রথম দুই আসরের খেলাও এই মাঠে অনুষ্ঠিত হয়েছে। কিন্তু ঘরোয়া ক্রিকেট হলেও ২০১৬ সালের পর এখানে কোনো আন্তর্জাতিক ম্যাচ আয়োজন করা হয়নি। ২০১৬ সালের ৫ এপ্রিল ঝড়ে স্টেডিয়ামটির বেশ কিছু অংশ ক্ষতিগ্রস্ত হয়, সাত বছরেও যা সংস্কার করা হয়নি।
রাজশাহীর শহীদ কামরুজ্জামান স্টেডিয়ামে ঘরোয়া ক্রিকেটের ম্যাচ অনুষ্ঠিত হয়। তবে আন্তর্জাতিক ম্যাচ আয়োজনের সব সুযোগ-সুবিধা সেখানে নেই। যদিও রাজশাহীতে রাজশাহীতে বিমানবন্দর ও ভালো মানের হোটেল আছে। অবশেষে এই দুই মাঠের অপেক্ষা ফুরোতে পারে। মাঠ দুটির প্রয়োজনীয় সংস্কার ও উন্নয়ন কাজের পরিকল্পনা হাতে নিয়েছে বিসিবি।
সোমবার সিলেট স্টেডিয়ামে বিপিএলের ম্যাচের ফাঁকে সংবাদমাধ্যমকে নাজমুল হাসান বলেন, '(সিলেটে) এখন বিপিএল চলছে। ভবিষ্যতে আরও খেলা পাবে। এটা না পাওয়ার কারণ নেই। আমরা এখন স্টেডিয়ামগুলো আপগ্রেড করার চেষ্টা করছি। নতুন নতুন ভেন্যু… আরও কয়েকটি জায়গা আছে বাংলাদেশে, যে স্টেডিয়ামগুলো আমরা মনে করি যে স্ট্যান্ডার্ড একটু খারাপ হয়ে গেছে বা পুরনো হয়ে গেছে, ব্যবহার না করলেও কিন্তু নষ্ট হয়ে যায়, একটা স্টেডিয়াম যদি ফেলে রাখেন… এরকম কয়েকটা আমরা চিহ্নিত করেছি।'
সিলেট স্টেডিয়ামকে পছন্দের বললেও খুলনা ও রাজশাহী স্টেডিয়ামে নজর দিচ্ছে বিসিবি। বোর্ড সভাপতি বলেন, 'সিলেটের এই স্টেডিয়াম এখন আমাদের পছন্দের একটা, চট্টগ্রামের স্টেডিয়াম অবশ্যই অত্যন্ত ভালো। খুলনা স্টেডিয়ামের দিকে এখন আমরা নজর দিচ্ছি। খুলনা, রাজশাহী, এই স্টেডিয়ামগুলোতে কী কী কাজ বাকি আছে, এগুলো যদি করি ফেলি, তাহলে সারা দেশেই আন্তর্জাতিক মানের স্টেডিয়াম হবে। আইসিসি অ্যাফিলিয়েশন আছে, কিন্তু এটা বড় কথা নয়। মান উন্নত করার জন্য দেখছিলাম।'
সিলেট আন্তর্জাতিক স্টেডিয়ামের বাইরে তৈরি করা হয়েছে আরও একটি মাঠ। এটাকে গ্রাউন্ড-টু বলা হয়, আবার একাডেমি মাঠও বলা হয়। সব সুযোগ-সুবিধা থাকলেও এখানে সেভাবে আন্তর্জাতিক ম্যাচ দেওয়া হয় না। মাঠটিতে সর্বশেষ আন্তর্জাতিক ম্যাচ হয়েছে ২০২০ সালের মার্চে। তিন বছর পর আয়ারল্যান্ডের বিপক্ষে ম্যাচ দিয়ে অপেক্ষা ফুরাচ্ছে সিলেট স্টেডিয়ামের।